• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

মওদুদের বাড়ি ছাড়ার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

অনলাইন ডেস্ক
  ০৩ আগস্ট ২০১৬, ১১:৪৪

বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বাড়ি ছাড়ার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ প্রকাশ করা হয়েছে। ৩০ দিনের মধ্যে ইচ্ছে করলে তিনি রিভিউ আবেদন করতে পারবেন।

বুধবার সকালে আপিল বিভাগের ওয়েবসাইটে দু’টি বিষয়ে দেয়া ৮০ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় দেখা গেছে।

মঙ্গলবার মওদুদ আহমদের ভাই মনজুর আহমদের নামে মিউটেশন (নামজারি) করার জন্য হাইকোর্টের দেয়া রায় বাতিল করেন আপিল বিভাগ। একই রায়ে মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা বাড়ি আত্মসাতের মামলা বাতিল করেন সর্বোচ্চ আদালত।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সাহা জানিয়েছিলেন, এখন থেকে অপেক্ষমান থাকা (সিএভি) মামলার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিও রায়ের দিনই প্রকাশিত হবে।

রায় প্রকাশের পরই মওদুদ আহমদ জানিয়েছেন, রায়ের পুনর্বিবেচনা চেয়ে রিভিউ আবেদন জানাবেন।

গুলশান-২ এর ১৫৯ নম্বর প্লটের বাড়িটি নিয়ে মওদুদ আহমেদ ও মনজুর আহমেদের বিরুদ্ধে বাড়ি আত্মসাতের মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক হারুনুর রশীদ।

২০১৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর গুলশান থানায় করা মামলায় তিনশ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের সরকারি বাড়ি আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় মওদুদের বিরুদ্ধে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৯৬০ সালের ২৪ আগস্ট গুলশান আবাসিক এলাকার এক বিঘা ১৩ কাঠার (হোল্ডিং নং ১৫৯) প্লটটি পাকিস্তানি নাগরিক মো. এহসানকে হস্তান্তর করে তৎকালীন ডিআইটি (বর্তমানে রাজউক)। ১৯৬৫ সালে লিজ গ্রহীতার প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত আবেদনের ভিত্তিতে তার স্ত্রী ইনজে মারিয়া ফ্লাজের (অস্ট্রেলিয়ান) নামে প্লটটি রেজিস্ট্রি হয়। সরকারি পরিত্যক্ত সম্পত্তি তালিকা প্রণয়ন সংক্রান্ত ‘মিনিস্ট্রি অব ক্যাবিনেট অ্যাফেয়ার্স’ জারির আগেই ইনজে মারিয়া প্লাজ ও মুক্তিযুদ্ধের পরপরই মো. এহসান দেশত্যাগ করায় প্লটটি পরিত্যক্ত হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়।

মওদুদ আহমদ ওই সম্পত্তি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে নিজেকে ইনজে মারিয়া ফ্ল্যাজ প্রদত্ত আম মোক্তার নামার (পাওয়ার অব এ্যাটর্নি) দাবিদার দেখাতে ১৯৭৩ সালের ২ আগস্ট একটি আম মোক্তারনামা তৈরি করেন। সুবিধা মতো সময়ে এটি ব্যবহার করে নানা কৌশলে বাড়িটি দখলে নেন তিনি।

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh