• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

গ্রামেও বেড়েছে সিজারিয়ান ডেলিভারি

আতিকা রহমান

  ০৬ জানুয়ারি ২০১৭, ১২:২৬

বর্তমানে শুধু শহরেই নয় গ্রাম পর্যায়েও বাড়ছে অস্ত্রোপচারে শিশুজন্মের সংখ্যা। এতে গ্রামের নারীরা যেমন আর্থিকভাবে চাপে পড়ছেন, তেমনি পর্যাপ্ত সেবা না পাওয়ায় দ্রুত গৃহস্থালী কাজেও ফিরতে পারছেন না তারা। সারাদেশের চিত্র প্রায় একই রকম।

গ্রামের মহিলারা কেউ কেউ হাসপাতালমুখি হলেও অনেকের আবার সিজারিয়ান অপারেশনে রীতিমতো রয়েছে আতঙ্ক। এদেরমধ্যে এমনি একজন কুষ্টিয়ার সোনাইডাঙ্গা গ্রামের ভ্যানচালক নজরুল ইসলামের স্ত্রী শাবানা। প্রথম সন্তান স্বাভাবিকভাবে হলেও চিকিৎসকের পরামর্শে দ্বিতীয় সন্তান হয় সিজারিয়ান ডেলিভারিতে। আর তৃতীয় সন্তান জন্মের সময় আগের অপারেশনের সেলাইয়ে পেঁচিয়ে মারা যায় শিশুটি। সে যাত্রায় অনেক টাকা-পয়সা খরচ করে রক্ষা করা হয় শাবানার জীবন।

শাবানা এখন আবার পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা কিন্তু চিকিৎসকরা এখন আবার অস্ত্রোপচারের ইঙ্গিত দেয়ায় বেশ আতঙ্কেই দিন কাটছে তার।

এখন রাজধানীর মতো প্রাইভেট ক্লিনিকের দৌরাত্মা বেড়েছে জেলা-উপজেলা পর্যায়েও। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে’র ‘স্বাস্থ্য বুলেটিন ২০১৫’-তে বলা হয়েছে ২০১৩ সালে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হওয়া এক লাখ ৬৬ হাজার ৭২১টির মধ্যে ৪৭ হাজার ৮৬৮টি ছিলো নরমাল ডেলিভারি। আর অস্ত্রোপচারে জন্ম হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ১৬৪ শিশুর।

২০১৪ সালে নরমালে জন্ম নেয় ৪২ হাজার ৯৫২ এবং সিজারে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪৩টি। আর ২০১৫ সালে ব্যবধান আরো বেড়ে সিজারিয়ান অপারেশনের সংখ্যা হয়েছে প্রায় আটগুণ।

তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মানতে পারছেন না এমন অবস্থা। তাদের মতে বিনামূল্যে নরমাল ডেলিভারি নিশ্চিত করা এবং দরিদ্র মায়েদের কম খরচে চিকিৎসা নিশ্চিত করা জরুরি। এ বিষয়ে পরিস্থিতি উত্তরণে চিকিৎসকদের পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা পর্যায় প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী বাড়ানোর তাগিদ দিলেন তারা।

আরকে/জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh