• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

অ্যাপস বন্ধ হলে বাড়বে অবৈধ ভিওআইপি

মাজহার খন্দকার

  ২৮ নভেম্বর ২০১৬, ১২:০৪

স্কাইপি, ভাইবার, ইমো বা হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ হলে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসাকে উৎসাহিত করা হবে। তাছাড়া সরকার যতই চেষ্টা করুক এই অ্যাপস বন্ধ করতে পারবে না। বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে রয়েছে ম্যাসেঞ্জার। সেখানে কলিং সিস্টেম রয়েছে। যার মাধ্যমে ফোন কল অব্যাহত থাকবে। বললেন প্রযুক্তিবিদ সুমন আহমেদ।

তিনি আরটিভি অনলাইনকে বলেন, ১৫ বছর আগে আইএসডি কলিং রেট বেশি থাকার কারণে মানুষ নেট-টু-ফোন বা এধরনের কিছু মাধ্যমে কথা বলতো। এক পর্যায়ে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু স্কাইপি, ভাইবার, হোয়াটঅ্যাপ ব্যবহারের কারণে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা অনেক কমে গেছে। সরকার এ অ্যাপসগুলো বন্ধ করার চিন্তাভাবনা না করে এ থেকে কিভাবে রাজস্ব পেতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করতে পারে।

সুমন বলেন, উন্নত বিশ্ব জোর দিচ্ছে ডেটার প্রতি। খুব দ্রুতই সব জায়গায় ফোন কল ফ্রি হয়ে যাবে। প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদেরও উন্নত বিশ্বকে অনুসরণ করতে হবে।

ফেসবুক, ইয়াহু বা গুগলসহ আরো কিছু যোগাযোগ মাধ্যমের ম্যাসেঞ্জারে ফ্রি কল করা যায়। প্রতিনিয়তই ফ্রি কলের প্রতি আগ্রহী করে তুলছে বিশ্ব প্রযুক্তি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ইউরোপ আমেরিকায় কল ফ্রি করে দিয়ে ডেটা থেকে আয়ের পরিমাণ আরো বাড়িয়েছে। আগামী বিশ্ব এদিকেই এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশের প্রযুক্তি বিষয়ে যে পরিকল্পনা করা হচ্ছে তা ৩০ বছরের পুরনো।

আন্তর্জাতিক টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থায় সরকারের পরিকল্পনার বিরাট ভুল রয়েছে বলে মনে করেন প্রযুক্তি ব্যবসায়ী ও ট্রেসার ইলেক্ট্রনিক্স এর স্বত্বাধিকারী আবুল কালাম আজাদ। তিনি আরটিভি অনলাইনকে বলেন, বাংলাদেশের সবগুলো ভিওআইপি ভেন্ডর কল টার্মিনেশন করে। আর টার্মিনেশন মানেই রাজস্ব অন্যকোন দেশে দিয়ে দেয়া। সরকার অদৃশ্য কোন কারণেই টার্মিনেশন থেকে বেড়িয়ে নিজস্ব ভেন্ডরিং করতে পারছে না। যদি সরকারের নিজস্ব কল জেনারেট পদ্ধতি থাকতো তাহলে কল খরচ ১০ সেন্টের জায়গায় ২ সেন্ট হতো।

তিনি বলেন, আসছে তিন বছর পর সারা পৃথিবী ভয়েজের জন্য কোন চার্জ নেবে না। শুধু ডেটা ব্যবহারের জন্য চার্জ করবে। যদি ভয়েজ কল ব্যবহার কমে যায় তাহলে ইন্টারনেট ব্যবহার কমে যাবে। আর একারণেই ডেটা ব্যবহারও পড়ে যাবে।

বাংলাদেশ যেহেতু নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কল জেনারেট করে না। তাই আন্তর্জাতিক গেটওয়ে অপারেটরগুলোর সিদ্ধান্তের ওপর দেশের আইএসডি কল রেট উঠা-নামা করে।

২০১৫ সালে হঠাৎ করেই আইজিডব্লিউ আন্তর্জাতিক কলরেট দেড় সেন্ট থেকে বাড়িয়ে দু’ সেন্ট করে। আবার তার আগের বছর এই রেট তিন সেন্ট থেকে কমিয়ে দেড় সেন্ট করে। আইএসডি কলের এই অস্বাভাবিক উঠা-নামার জন্যই সাধারণ গ্রাহক অবৈধ ভিওআইপির প্রতি ঝুকে পড়ে। কিন্তু মোবাইল অ্যাপসগুলোর ব্যবহার আরো সহজ হওয়ায় এগুলো দিনদিন জনপ্রিয়তা পায়। অ্যাপস ব্যবহার বাড়ার ফলে দিনদিন বাড়ছে ইন্টারনেট ব্যবহার, বাড়ছে ডেটার ব্যবহার। যা থেকে সরকার পাচ্ছে রাজস্ব। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ডেটা ব্যবহার থেকে সরকার কিভাবে আরো রাজস্ব পেতে পারে সে বিষয়ে এখনই কার্যকরী উদ্যোগ নেয়া দরকার।

এদিকে রোববার ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, অবৈধ ভিওআইপি বন্ধে জোরদার অভিযান চলছে, চলবে। এক্ষেত্রে ইমো, ভাইবার ও হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ হচ্ছে না। ইমো, ভাইবার ও হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ করার কোনো প্রশ্নই আসে না। এমন কোনো সিদ্ধান্ত সরকার নেয়নি।

এমকে/এফএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh