ঢাবি ছাত্রীকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে নেয়ার অভিযোগ ডিবির বিরুদ্ধে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হলের সামনে থেকে শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি নামে এক ছাত্রীকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে তুলে নেয়ার কারণ সম্পর্কে জানা যায়নি।
জানা গেছে, তাসনিম আফরোজ ইমি কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিল। এছাড়াও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন স্লোগান ৭১-এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
বিষয়টি সম্পর্কে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী আরটিভি আনলাইকে বলেন, তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেয়া হয়েছে। তবে কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেয়া হয়েছে সে সম্পর্কে জানাননি তিনি।
আরও পড়ুন :
এসএস
মন্তব্য করুন
বৃষ্টি কতদিন থাকবে জানাল আবহাওয়া অফিস
পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। ফলে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি ঝরছে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাতে বৃষ্টি কতদিন থাকবে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
সংস্থাটির সহকারী আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা জানিয়েছেন, শুক্রবার (২২ মার্চ) এই অবস্থা কিছুটা কমতে পারে। তবে আগামী ২৬ ও ২৭ মার্চ সারাদেশে ফের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা-ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে।
শনিবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা থেকে কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলসহ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা-ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে।
সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ-বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
রোজায় সহবাসে মানতে হবে যেসব বিধান
চলছে পবিত্র রমজান মাস। এ মাসটি হলো কোরআন নাজিলের মাস, সংযমের মাস ও ত্যাগের মাস। এ মাসটি হলো ইবাদত-বন্দেগির মাস। আর মহিমান্বিত এই মাসে আমরা অনেকেই জেনে না জেনে সহবাসে লিপ্ত হই। এতে করে আমাদের রোজা ভেঙ্গে যায়। তাই চলুন, বরকতের এই মাসে সহবাস সংক্রান্ত বিধি বিধানগুলো জেনে নেই।
পবিত্র রমজান মাসে স্ত্রী সহবাস সম্পর্কে সূরা আল-বাকারা’র ১৮৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে, রোজার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সঙ্গে সহবাস করা তোমাদের জন্য সম্পূর্ণ হালাল করা হয়েছে। আর পবিত্র কোরআনের এই আয়াত থেকে এটা প্রমাণিত হয় যে, রোজাদারের জন্য দিনের বেলা সহবাস হালাল করা হয়নি।
সিয়ামের রাতে তোমাদের জন্যে তোমাদের স্ত্রীদেরকে বৈধ করা হয়েছে। তারা তোমাদের জন্যে এবং তোমরাও তাদের জন্যে পরিচ্ছদ। আল্লাহ জেনেছেন যে, তোমরা তোমাদের নিজেদের সঙ্গে খিয়ানত করছিলে, অতঃপর তিনি তোমাদের তওবা কবুল করেছেন এবং তোমাদেরকে মার্জনা করেছেন, সুতরাং এখন তোমরা তাদের সঙ্গে সংগত হও এবং আল্লাহ তোমাদের জন্যে যা নির্ধারণ করে রেখেছেন (অর্থাৎ সন্তান) তা অন্বেষণ করো। আর তোমরা আহার করো ও পান করো যতক্ষণ তোমাদের জন্যে (রাত্রির) কালো রেখা থেকে ফজরের সাদা রেখা স্পষ্ট হয়ে যায়। এরপর রাত পর্যন্ত সিয়াম পূর্ণ করো। আর তোমরা মসজিদে ইতিকাফ অবস্থায় তাদের সঙ্গে সংগত হয়ো না। এগুলো আল্লাহর (নির্ধারিত) সীমা, সুতরাং এর নিকটবর্তী হইও না। এভাবেই আল্লাহ মানুষের জন্যে তার আয়াতসমূহ স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন, যাতে তারা তাকওয়া বা আল্লাহভীরুতা অবলম্বন করতে পারে।’ (সূরা বাকারাহ-১৮৭)
শরিয়তে যৌন সম্পর্ক বলতে পুরুষাঙ্গের সঙ্গে স্ত্রী-অঙ্গের মিলনকে বোঝানো হয়েছে। এখানে বীর্যপাত শর্ত নয়। এই দুই অঙ্গ সংস্পর্শে আসলেই ভেঙে যাবে রোজা। এমনকি বীর্যপাত না ঘটলেও। তবে যৌন মিলনের দ্বারা কেউ রোজা ভাঙলে সেটি পরবর্তীতে কাযা করতে হবে এবং কাফফারাও দিতে হবে।
স্বামী-স্ত্রীর মাঝে শারীরিক স্পর্শ বা শুধু চুমুর কারণে রোজা ভাঙবে না। তবে এর ফলে যদি বীর্যপাত ঘটে, সেক্ষেত্রে রোজা ভেঙে যাবে। তাই রোজার সময় এগুলো পরিহার করাটাই উত্তম। আবার, কেউ যদি স্বপ্রণোদিত হয়ে নিজের বীর্যপাত ঘটান, সেক্ষেত্রে তার রোজা ভেঙে যাবে। যেমন- নিজে বা স্ত্রী কর্তৃক হস্তমৈথুনের মাধ্যমে যদি বীর্যপাত ঘটে, এক্ষেত্রে রোজা ভেঙে যাবে।
ইচ্ছেকৃতভাবে বীর্যপাত ঘটালে রোজা ভাঙবে। এ বিষয়ে বুখারি শরিফের একটি হাদিসে বলা হয়, সে (বান্দা) আমার জন্যই খাদ্য, পানীয় ও কামনা-বাসনা পরিত্যাগ করে। তবে এভাবে রোজা ভেঙে গেলে, কাযা করাই যথেষ্ট।
সহবাসের ক্ষেত্রে যে কাফ্ফারা দিতে হয়, এক্ষেত্রে সেটি দিতে হবে না। তবে বীর্যপাত যদি স্বতঃপ্রণোদিত না হলে, সেক্ষেত্রে রোজা ভাঙবে না। যেমনঃ স্বপ্নদোষের ফলে রোজা ভাঙবে না।
তাছাড়া, কোনো ব্যক্তির চিন্তায় যদি আচমকা যৌন ভাবনার উদয় হয় যা সে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মাথায় আনেনি। এবং যদি বীর্যপাত ঘটে, সে ক্ষেত্রে রোজা ভাঙবে না।
তাই আসুন আমরা শরিয়াতের বিধি বিধান মেনে চলি। রোজা রেখে দিনের বেলায় সহবাস থেকে বিরত থাকি। শারীরিক ও মানসিক শুদ্ধির মাধ্যমে রমজানের পবিত্রতা বজায় রাখি।
ব্যাংকে যত টাকা থাকলে জাকাত দিতে হবে
জাকাত ইসলামের মৌলিক পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম একটি। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি বিষয়ের ওপর। এই কথার সাক্ষ্য দেওয়া যে আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই এবং মোহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল, নামাজ প্রতিষ্ঠা করা, জাকাত আদায় করা, হজ পালন ও রমজান মাসে রোজা রাখা।’
জাকাত আদায়কে পবিত্র কোরআনে ‘মুমিন বান্দার সাফল্য’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহ তা’য়ালা বলেন, ‘অবশ্যই মুমিনরা সফল, যারা নামাজে বিনম্র থাকে, অনর্থক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকে, যারা জাকাত আদায় করে এবং নিজেদের লজ্জাস্থান সংযত রাখে (সুরা মুমিনুন, আয়াত : ১-৫)।’
পবিত্র কোরআনে জাকাত আদায়ের নির্দেশ দিয়ে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা সালাত আদায় করো এবং জাকাত প্রদান করো। তোমরা যে উত্তম কাজ নিজেদের জন্য অগ্রে প্রেরণ করবে তা আল্লাহর কাছে পাবে। নিশ্চয়ই তোমরা যা করো, আল্লাহ তা দেখছেন। (সুরা বাকারা, আয়াত: ১১০) এ ছাড়াও জাকাতের ফজিলত ও গুরুত্ববিষয়ক অসংখ্য আয়াত ও হাদিস রয়েছে। তাই আমাদের মধ্যে যাদের ওপর জাকাত ফরজ, তাদের যথাসময়ে তা আদায় করা অবশ্য কর্তব্য।
জাকাত না দিলে দুনিয়ায় বড় ক্ষতি ও আখেরাতে মহাশাস্তির কথা ইসলামে রয়েছে। বর্তমান সময়ে ব্যাংকের বিভিন্ন খাত রয়েছে, তার ওপর জাকাত আসবে কি না, তা নিয়ে অনেকে সন্দীহান থাকেন।
সেসবের সমাধান তুলে ধরা হলো:
প্রভিডেন্ট ফান্ড : সরকারি কর্মচারীদের বেতন থেকে প্রভিডেন্ট ফান্ডের জন্য বাধ্যতামূলক যে পরিমাণ টাকা কেটে করে রাখা হয়, সে পরিমাণ অর্থ উত্তোলনের আগে কর্মচারীর মালিকানায় আসে না। তাই সরকারি প্রভিডেন্ট ফান্ডে অর্থ থাকাকালীন তার ওপর জাকাত দিতে হবে না। এ কারণে ওই ফান্ডের টাকা পাওয়ার পর বিগত বছরের জাকাতও দিতে হবে না। তবে যদি কর্মচারী ওই প্রভিডেন্ট ফান্ডের সঞ্চিত অর্থ অন্য কোনো ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে স্থানান্তর করিয়ে নেয়, সে ক্ষেত্রে ওই অর্থ স্বতন্ত্রভাবে বা অন্য জাকাতযোগ্য মালের সঙ্গে যোগ হয়ে নেসাব পরিমাণ হলে যথানিয়মে তার ওপর জাকাত ওয়াজিব হবে (আহসানুল ফাতাওয়া : ৪/২৬০)।
ব্যাংকে সঞ্চয়কৃত টাকা : কোনো ব্যক্তি সঞ্চয়ের জন্য যদি ব্যাংকে টাকা জমা রাখে, তাহলে ঋণমুক্ত অবস্থায় যেদিন তার জমাকৃত টাকা নেসাব পরিমাণ হবে, সেদিন থেকে এক বছর পূর্ণ হলে ওই টাকার ওপর জাকাত দিতে হবে। (ফতোয়ায়ে আলমগিরি : ১/২৭০)।
বীমা কোম্পানিতে জমাকৃত টাকা : বীমায় যে পরিমাণের টাকা কাজে লাগানো হয়েছে, তার ওপর জাকাত ওয়াজিব। প্রতিবছর জাকাত আদায় করার সময় নিজ সম্পদের হিসাব করতে হবে। (ফতোয়ায়ে উসমানি : ২/৩৯)।
কোম্পানির শেয়ার : কোম্পানির অংশ ক্রয় করা এ শর্তে জায়েজ আছে যে, যদি এর লেনদেন বৈধ হয়, এ ক্ষেত্রে তার অংশের মূল্যের ওপর জাকাত ওয়াজিব হবে। (ফতোয়ায়ে উসমানি : ২/৩৯)।
রাত ১টার মধ্যে যেসব জায়গায় ঝড়ের শঙ্কা
দেশের তিন অঞ্চলের ওপর দিয়ে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শনিবার (২৩ মার্চ) দিনগত রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, কুমিল্লা, সিলেট এবং ময়মনসিংহ অঞ্চল সমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া শনিবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
এ অবস্থায় রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে।
বিয়ে করেছেন রিয়েলিটি সিরিজে খ্যাতিমান মার্কিন সংযুক্ত যমজ অ্যাবি হেনসেল
টিএলসি রিয়েলিটি সিরিজ "অ্যাবি অ্যান্ড ব্রিটানি" তে খ্যাতি অর্জনকারী মার্কিন সংযুক্ত যমজ অ্যাবি ও ব্রিটানি হেনসেল বিয়ে করেছেন। তিন বছর আগে গোপনে বিয়ে করেছেন মার্কিন সেনাবাহিনীর একজন অভিজ্ঞ জোশ বোলিংকে। যমজ অ্যাবি এবং ব্রিটানি হেনসেল আমেরিকার সবচেয়ে বিখ্যাত সংযুক্ত যমজ। খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম দ্যা স্ট্যান্ডার্ডের।
সম্প্রতি, TikTok অ্যাকাউন্ট @abbyandbrittanyhensel অ্যাবির বড় দিন উদযাপন করার একটি ক্লিপ শেয়ার করেছে, ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্রিট এবং অ্যাবি দম্পতির একটি ছবি পোস্ট করেছে।
১৯৯০ সালে জন্মগ্রহণ করা এই যমজের দুটি মাথা, দুটি হৃদয় এবং দুটি ফুসফুস রয়েছে। তবে অন্য সবকিছু ভাগ করে নেয় তারা। প্রতিটি যমজ তার শরীরের অর্ধেক নিয়ন্ত্রণ করে, তাই তাদের আশ্চর্যজনক সমন্বয় রয়েছে। তারা গাড়ি চালাতে পারে। উভয়ই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক।
মেয়েরা ডাইসেফালিক প্যারাপাগাস, যার অর্থ তারা দুটি মাথার সাথে পাশাপাশি মিশ্রিত।
তাদের পেলভিসে দুটি মেরুদণ্ড, দুটি হৃৎপিণ্ড, দুটি অন্ননালী, দুটি পাকস্থলী, তিনটি কিডনি, দুটি পিত্তথলি, চারটি ফুসফুস- দুটি যুক্ত হয়েছে। একটি যকৃত, একটি পাঁজর, একটি ভাগ করা সংবহনতন্ত্র এবং আংশিকভাবে ভাগ করা স্নায়ুতন্ত্র। কোমর থেকে নীচে, প্রজনন অঙ্গ সহ সমস্ত অঙ্গ আলাদা।
তারা ১৯৯০ সালে একটি আংশিক-গঠিত তৃতীয় বাহু নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন যা ১২ বছর বয়সে অপসারণ করা হয়েছিল। মেরুদণ্ডের বক্রতা সংশোধন করতে এবং তাদের শ্বাস-প্রশ্বাসে সহায়তা করার জন্য অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল।
১৯৯৬ সালে দ্য অপরাহ উইনফ্রে শো এবং লাইফ ম্যাগাজিনের কভারে উপস্থিতির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ করে তারা। তারা মিনেসোটাতে বসবাস করতেন, ১৬ বছর বয়সে একটি টিএলসি ডকুমেন্টারিতে অভিনয় করা পর্যন্ত মিডিয়া এড়িয়ে চলেন।
তাদের বাবার নাম প্যাটি ও মা মাইক। জন্মের সময় যমজ সন্তানদের আলাদা করলে তাদের বাঁচানো যেত না। তাই অপারেশন করে তাদের আলাদা করার সিদ্ধান্ত নেননি তারা।
২ বার রমজান ও ৩টি ঈদ হবে যে বছর
ইংরেজি বর্ষপঞ্জি ও চন্দ্র বছরের মাসগুলোর পার্থক্যের কারণে আগামী ২০৩০ ও ২০৩৩ সালে দুই মাস রোজা পালন ও তিনটি ঈদ হতে পারে মুসলিমদের। এর মধ্যে একটি রমজান ৩৬ দিনের হবে।
দুবাই অ্যাস্ট্রোনমি গ্রুপের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার হাসান আহমেদ আল হারিরি সম্প্রতি এমন তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ইংরেজি বর্ষপঞ্জি ও চন্দ্র বছরের মাসগুলোর পার্থক্যের কারণে ২০৩০ সালে দুটি রমজান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চন্দ্র বছরের মাসগুলো ২৯ অথবা ৩০ দিনে নির্ধারিত হয়। অন্যদিকে, ইংরেজি বছরের মাসগুলো ৩০ অথবা ৩১ দিনে নির্ধারিত থাকে। ফলে ইংরেজি বছর শেষে চন্দ্র বছর ১১ দিন কমে যায়। এই পার্থক্যের কারণেই ২০৩০ সালে মুসলিমরা দুবার রমজান মাস পাবেন।
দুই মাস রোজা পালন ও তিনটি ঈদের বিষয়ে ২০৩০ সালের গ্লোবাল ইসলামিক ক্যালেন্ডারেও সত্যতা পাওয়া গেছে। ২০৩৩ সালেও দুবার পূর্ণ রমজান মাস আসবে এবং ওই বছরও মোট তিনটি ঈদ হবে।
এ বিষয়ে সৌদি আরব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের জলবায়ুর অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল মুসনাদ জানান, ২০৩০ সালের ৫ জানুয়ারি ১৪৫১ হিজরির পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়ে ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখে শেষ হবে। এটি ৩০ দিনের হবে। একই বছর ১৪৫২ হিজরির দ্বিতীয় রমজান মাসটি শুরু হবে ২৬ ডিসেম্বর, যা শেষ হবে ২০৩১ সালের ২৪ জানুয়ারি। সুতরাং, অপর রমজানের ঈদুল ফিতর ঈদটি অনুষ্ঠিত হবে ২০৩১ সালে।
সারাহর কিডনি নেওয়া শামীমাও মারা গেলেন
সারাহ ইসলামের মরণোত্তর কিডনি নেওয়া শামীমা আক্তার মারা গেছেন। এর ফলে ‘ব্রেন ডেড’ ওই তরুণীর কিডনি নেওয়া দুই নারীরই মৃত্যু হলো।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) আইসিইউতে শামীমার মৃত্যু হয়। তার গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায়।
শামীমার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএসএমএমইউর ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল।
তিনি বলেন, শামীমা শেষ ছয় মাস আমাদের আওতার বাইরে ছিলেন। কিছুদিন আগে তার ভাই আমাদের জানান, শামীমার ক্রিয়েটিনিন বেড়েছে, একেবারে শুকিয়ে গেছে। পরে তিন সপ্তাহ আগে তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। শুরুর দিকে কিছুটা উন্নতি হলেও পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কোনো উপায় না দেখে চার দিন আগে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। এরমধ্যে তার সি ভাইরাস ও বিরল নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। আমরা তার ডায়ালাইসিসও শুরু করেছিলাম, কিন্তু উন্নতি হয়নি। সবশেষ আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
গত বছরের ১৯ জানুয়ারি সারাহ ইসলাম নামে ২০ বছরের এক তরুণীকে ব্রেন ডেড ঘোষণা করেন বিএসএমএমইউ চিকিৎসকরা। ওই রাতেই তার কিডনি শামীমা আক্তার এবং হাসিনা নামে দুই নারীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। সেসময় দেশে প্রথমবারের মতো এই ক্যাডাভেরিক কিডনি ট্রান্সপ্লান্টকে সফল বলে দাবি করেছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু এর মাত্র ৯ মাস পর অক্টোবরে হাসিনা মারা যান। তবে শামীমা আক্তার বেঁচে ছিলেন। এখন তিনিও না ফেরার দেশে চলে গেলেন।
অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, প্রথমজন ফুসফুসের সংক্রমণে মারা গেছেন। এবার দ্বিতীয়জনও চলে গেলেন। এটি আমাদের জন্য খুবই কষ্টের।