• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

মার্কিন নির্বাচন

পছন্দ না হলে পাল্টানো যায় ভোট

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৭ নভেম্বর ২০১৬, ২২:০৮

আর কয়েক ঘণ্টা পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ভোটগ্রহণ শুরু ৮ নভেম্বর স্থানীয় সময় সকাল ৭টায়। চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত। ৫০টি রাজ্যের প্রায় ১২ কোটি মানুষ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন তাদের পরবর্তী নেতা। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রচারণা, নির্বাচনের দিন পর্যন্ত তা চলবে। আর এ নির্বাচন নিয়ে মজার কিছু তথ্য জানাচ্ছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশি ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ।

ভোটের দিনেও ছুটি নেই
বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রক্রিয়া ভিন্ন। আমেরিকা এবং বাংলাদেশের নির্বাচনের মধ্যে বেশ কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। এ দেশে নির্বাচনের দিন সরকারি ছুটি থাকে। অন্যদিকে মার্কিন নির্বাচনে সবকিছু খোলা থাকে। মানুষ তার কাজের ফাঁকেই ভোট দেয়। যেহেতু ৭-৮ দিন আগে থেকে ভোট দেয়া শুরু হয়, সেহেতু সবাই তাদের সুবিধা মতো ভোট দিতে পারে।

ভোট পাল্টানো
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা নির্ধারিত দিনের আগেও ভোট দিতে পারেন। তাই কখনো যদি মনে হয়, যে প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন তিনি অযোগ্য, তাহলে নির্ধারিত দিনের আগে আবারো তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন ভোটার। অর্থাৎ ব্যালট পেপার পরিবর্তনের সুযোগ পাবেন। তবে যতোবারই ভোট দেন না কেন, একটাই গণনা হবে।

কমপক্ষে ৭টি অঙ্গরাজ্যে এ নীতির অনুমোদন আছে। যে কারণে এ বছর রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের ভোটারদের দ্বিতীয়বার ভোট দেবার অনুরোধ জানান। ওই রাজ্যে ৩ বার সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে। মিনেসোটা, পেনসিলভ্যানিয়া, নিউইয়র্ক, কানেকটিকাট ও মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যেও আছে এ সুযোগ।

ভোট দেয়া যায় পোস্ট করেও
ভোটাররা চাইলে নির্বাচনের আগ পর্যন্ত পোস্ট অফিসে গিয়ে ভোট দিতে পারেন। তবে সেই ভোট গণনা করা হবে নির্বাচনের নির্ধারিত সময়ের পর। কিছু কিছু জায়গায় ভোটের যথাযথ ব্যবস্থা করা সম্ভব হয় না। ওইসব জায়গায় পোস্ট অফিসে গিয়ে ভোট দিতে পারেন ভোটাররা।

ভোটিং বুথে অবস্থানের সময়সীমা
যুক্তরাষ্ট্রে একজন নাগরিক ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য ভোটিং বুথে কত সময় অবস্থান করতে পারবেন, এক্ষেত্রেও রয়েছে ভিন্নতা। ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের ভোটাররা প্রাথমিক নির্বাচনে ৩ মিনিট এবং সাধারণ ও পৌর নির্বাচনে ২ মিনিট সময় বুথে থাকতে পারেন। আলবামা অঙ্গরাজ্যে ভোটাররা পান ৪ মিনিট। তবে দরকার হলে আরো অতিরিক্ত ৫ মিনিট সময় দেয়া হয়।

মহাকাশ থেকেও দেয়া যায় ভোট
১৯৯৭ সালে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে নভোচারীদের ভোট প্রয়োগের জন্য একটি বিল পাস হয়। তৎকালীন গভর্নর জর্জ ডব্লিউ বুশের সই করা এ আইনের মাধ্যমে মহাকাশ থেকেই প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে ভোট দেয়ার পদ্ধতি চালু করা হয়। নাসার সহযোগিতায় নভোচারীরা ভোট দিতে ই-মেইলের মাধ্যমে নিজ নামে একটি ব্যালট পেপার পান। ভোট দেবার পর তা অঙ্গরাজ্যের কাউন্টি অফিসে ই-মেইলটি রেকর্ডভূক্ত হয়। নভোচারী কেট রুবিনস ও শেন কিম্বু তাদের ভোট মহাকাশ থেকে দিয়েছিলেন।

হিলারিকেই পছন্দ প্রবাসী বাঙালিদের
আমেরিকান প্রবাসী বাঙালিরা হিলারিকেই সমর্থন দিচ্ছেন। মূলত তাদের পছন্দ সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। তাকে ভোট দিলে সেটি যোগ হচ্ছে হিলারির ঝুলিতে। তবে আমেরিকার বিদেশ নীতি (পররাষ্ট্র নীতি) বেশ শক্তিশালী। ট্রাম্প নির্বাচিত হলেই যে, সব অভিবাসন বন্ধ হয়ে যাবে তা ঠিক নয়। অভিবাসন বন্ধে সংশোধন করতে হবে অনেক আইন। যা প্রেসিডেন্টের পক্ষে সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন পড়বে সিনেটরের। আইন পরিবর্তন করতে হলে প্রেসিডেন্ট ও সিনেটর, দু’মতই প্রয়োজন। যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন তাকে নজর রাখতে হবে জনগণের পছন্দের ওপর।

এপি/ এস

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh