• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

চোর আতঙ্কে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

জাবি সংবাদদাতা

  ০৫ জুন ২০১৮, ২৩:০৭

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একের পর এক চুরির ঘটনা বেড়েই চলেছে। রীতিমতো চোর আতঙ্কে দিন পার করছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

দিনে অথবা রাতে বিশেষ কায়দায় সুযোগ মত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বন্ধ দোকানের গ্রিল কেটে মালপত্র, টাকা পয়সা চুরি করে দোকানদারদের সর্বস্বান্ত করছে চোররা। শুধু তাই নয়, দিনে-দুপুরে তালা ভেঙে নিয়মিত সাইকেল চুরি, আবাসিক হল কক্ষ থেকে মোবাইল, ল্যাপটপ, মানিব্যাগ, চার্জার, ব্যাটারিসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস চুরির ঘটনা ঘটছে।

ঈদের ছুটিতে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে যাওয়ার সুযোগ কাজে লাগিয়ে সন্ধ্যা নামলেই চোরের উৎপাত আরও বেড়ে যায়। এটি এই ক্যাম্পাসের এখন নিত্যদিনের ঘটনা বলে জানায় অনেক শিক্ষার্থীরা।

সর্বশেষ ১ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে এক চোরকে হাতেনাতে ধরে মুচলেকা দিয়ে প্রশাসনের হাতে তুলে দেয় শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রশাসনের নজরদারি আর নিরাপত্তার ব্যবস্থার ঘাটতির কারণে একের পর এক চুরি বা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের টার্রজান পয়েন্ট এলাকা থেকে দুটি দোকানের তালা ভেঙে মালপত্র এবং মোটা অঙ্কের টাকা চুরির ঘটনা ঘটে। এর আগেও টার্রজান পয়েন্ট ও পরিবহণ চত্বরসহ বিভিন্ন এলাকায় অন্যান্য দোকানে একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটেছে। কয়েকবার নিরাপত্তা শাখায় জানানোর পরেও তেমন কোনো সাড়া মিলেনি বলে দাবি করছেন দোকান ব্যবসায়ীরা।

গেলো মার্চ মাসে প্রধান প্রবেশ গেট থেকে শিক্ষার্থীদের একাধিক সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে। এছাড়াও আবাসিক হলগুলোতে গত ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত নিয়মিত সাইকেল, মোবাইল, ল্যাপটপ চুরির ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গত তিন মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের আ ফ ম কামালউদ্দিন হল, মওলানা ভাসানী হল, মীর মশাররফ হোসেন হল, শহীদ সালাম বরকত হল, প্রীতিলতা হল, জাহানারা ইমাম হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল এবং শহীদ রফিক-জব্বার হল থেকে অত্যন্ত ৫০টি চুরির ঘটনা ঘটে।

শুধু আবাসিক হলেই নয় বিভিন্ন বিভাগের সামনে থেকে বিদ্যুতের তার, ইন্টারনেটের তার, পানির পাম্প, চুরির একাধিক ঘটনা ঘটছে। সেইসঙ্গে ক্যাম্পাসে যত্রতত্র ঘটছে ছিনতাইয়ের ঘটনাও।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি, প্রশাসনের সামনেই এ ধরনের ঘটনা ঘটেই চলছে, কিন্তু নেই কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ।

ভুক্তভোগী একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয়। হলের সামনে নিরাপত্তা কর্মী থাকা সত্ত্বেও কিভাবে হল থেকে মোবাইল, ল্যাপটপ চুরি হয়। গার্ডদের ভূমিকা নিয়েও তাদের প্রশ্ন।

নিরাপত্তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিন আরটিভি অনলাইনকে বলেন, আমরা আসন্ন ঈদ উপলক্ষে ক্যাম্পাসে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য সর্বদা সজাগ রয়েছি। কোথাও কোনো ঘটনা ঘটার আভাস পেলেই দ্রুত যথাযথ পদক্ষেপ নিব।

এসব বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার আবু বকর সিদ্দিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আরটিভি অনলাইনকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত রয়েছে। প্রায় বিভিন্ন হলে চুরির ঘটনা ঘটছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। ঈদ উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে। ক্যাম্পাসের সব জায়গায় গার্ড রয়েছে। গার্ড থাকা সত্ত্বেও কিভাবে চুরি হচ্ছে তা আমি খতিয়ে দেখবো। হলে চুরি ঠেকাতে হল প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলবো।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
যৌন হয়রানির অভিযোগে ঢাবি শিক্ষকের নিয়োগ স্থগিত
জাবিতে বেড়াতে যাওয়া চার কিশোরকে আটকে টাকা আদায়ের অভিযোগ 
জাবিতে নিপীড়নবিরোধী মঞ্চের মানববন্ধন
জাবিতে হলের তালা ভেঙে কক্ষ দখলের চেষ্টা, শিক্ষার্থীকে মারধর
X
Fresh