১০৯ প্রতিষ্ঠানের পাস করেনি কেউ
২০১৮ সালে মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় এবার মোট ১০৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো পরীক্ষার্থী পাস করেনি। ২০১৭ সালে ৯৩টি প্রতিষ্ঠানে সব শিক্ষার্থী ফেল করেছে। সে হিসেবে এবার শতভাগ ফেলের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬টি।
রোববার সকাল ১০টার দিকে এই পরীক্ষার ফলাফলের অনুলিপি গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানগুলো দিনাজপুর বোর্ডে ৫টি, ঢাকা ও বরিশাল বোর্ডে তিনটি করে এবং রাজশাহী ও যশোর বোর্ডে একটি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পরীক্ষার্থী ফেল করেছে। মাদ্রাসা বোর্ডের ৯৬টি প্রতিষ্ঠানের সব পরীক্ষার্থী এবার ফেল করেছে।
এবার সারা দেশে মোট ২৮ হাজার ৫৫৮টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। গতবছর এ সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৩৫৯টি। এছাড়া এক হাজার ৫৭৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
চলতি বছরে সারা দেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছে ৭৭.৭৭ শতাংশ, যা গতবছর ছিল ৮০.৩৫ শতাংশ, কমেছে ২.৫৮ শতাংশ। ৮টি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৯.৪০ শতাংশ, যা গতবছর ছিল ৮০.৩৫ শতাংশ।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : জেএসসি পরীক্ষার বিষয় কমাতে শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশ
--------------------------------------------------------
১০ বোর্ডে পাস করেছে ১৫ লাখ ৭৪ হাজার ১০৪ জন। ফেল করেছে ৪ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৫ জন। এবার ২০ লাখ ২৬ হাজার ৫৭৪ জন পরীক্ষা দিয়েছিল। এর মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ২৩ হাজার ২১২ জন এবং ছাত্রী ১০ লাখ ৮ হাজার ৬৮৭ জন।
১০ শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৬২৯ জন। যা গত বছর ছিল ১ লাখ ৪ হাজার ৭৬১ জন। ফলে জিপিএ ৫ বেড়েছে ৫ হাজার ৮শ’ ৬৮ জন।
৮টি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৯.৪০ শতাংশ। ১৬ লাখ ২৪ হাজার ৪২৩ জন পরীক্ষার মধ্যে ১২ লাখ ৭৯ হাজার ৮০৫ জন পাস করেছে। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ লাখ ২ হাজার ৮শ’ ৪৫ জন।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষা দেয় ২ লাখ ৮৬ হাজার ৯১৭ জন, পাস করেছে ২ লাখ ৩ হাজার ৩৮২ জন। পাসের হার ৭০.৮৯ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছেন তিন হাজার ৩৭১ জন।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষা দেয় ১ লাখ ১৫ হাজার ২শ’ ৩৪ জন, পাস করেছে ৮২ হাজার ৯১৭ জন। পাসের হার ৭১. ৯৬ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ৪১৩ জন।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের মধ্য দিয়ে গেলো ১ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হয় ২৫ ফেব্রুয়ারি। ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৬ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে শেষ হয় ৪ মার্চ।
আরও পড়ুন :
এমসি/এসএস
মন্তব্য করুন