• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

লক্ষ্মীপুরের সেই এডিসির নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা মঞ্জুর

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭, ১২:৩৩

লক্ষ্মীপুরের সাবেক সিভিল সার্জনকে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় এডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা মঞ্জুর ও রুল নিষ্পত্তি করেছেন আদালত।

বুধবার সকালে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দিয়েছেন।

এর আগে সকালে আদালতের কাছে তারা নি:শ্বর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আদালতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) শেখ মুর্শিদুল ইসলামের পক্ষে অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার এবং নির্বাহী হাকিম (ম্যাজিস্ট্রেট) মো. নুরুজ্জামানের পক্ষে অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ন আবেদন দাখিল করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে চিকিৎসকের কারাদণ্ডের বিষয়ে ৬ ডিসেম্বর জনস্বার্থে দুজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন।

ওই রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এডিসি শেখ মুর্শিদুল ইসলাম ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরজ্জামানকে ১৩ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় হাইকোর্টে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ হাজির থাকতে তলব করেছেন। এ সময় ডা. সালাহ উদ্দিনকেও উপস্থিত থাকতে বলা হয়।

কথাকাটাকাটিকে কেন্দ্র করে এডিসি শেখ মুর্শিদুল ইসলামের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে ডা. শরীফকে ভ্রাম্যমাণ আদালত তিন মাসের কারাদণ্ড দেন। ওই ঘটনার পর মুর্শিদুল ইসলামকে লক্ষ্মীপুর থেকে প্রত্যাহার করা হয়। পরে পুলিশ ডেকে চিকিৎসককে আটক করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয় সালাহ উদ্দিন শরীফকে।

গেলো ৪ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর ডিসি কলোনির ভেতরে জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত কাকলি শিশু অঙ্গন বিদ্যালয়ে প্রবেশকে কেন্দ্র করে উদ্দিন শরীফ ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মুর্শিদুল ইসলামের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। পরে পুলিশ তাকে কারাগারে পাঠায়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুজ্জামান।

খবর পেয়ে জেলায় কর্মরত চিকিৎসকরা ক্ষুব্ধ হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ছুটে যান। বিক্ষুব্ধ অবস্থায় চিকিৎসকরা প্রশাসনের সব সেবা কার্যক্রম ও সব হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধ রাখার হুমকি দিয়ে ওই চিকিৎসকের মুক্তি দাবি করেন।

পরে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ২৪ ঘণ্টার পর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আপিলের পর বিচারক মীর শওকত হোসেন ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় ওই চিকিৎসকের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

অন্যদিকে মঙ্গলবার অভিযুক্ত এডিসি শেখ মুর্শিদুল ইসলামকে ওএসডি করা হয়েছে। এক প্রজ্ঞাপনে তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) হিসেবে পদায়ন করা হয়।

এমসি/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ইউপি নির্বাচনে এমপির হস্তক্ষেপের অভিযোগ, সুষ্ঠুভোট নিয়ে শঙ্কা 
লক্ষ্মীপুরে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭
এডিসি ও এসি পদমর্যাদার ৬ কর্মকর্তাকে বদলি
লক্ষ্মীপুরে হামলায় আহত ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু 
X
Fresh