আপিল বিভাগের আদেশ
লেকহেড স্কুল আপাতত বন্ধ, ৭ দিনের মধ্যে ম্যানেজিং কমিটি
রাজধানীর লেকহেড গ্রামার স্কুলের ধানমন্ডি ও গুলশান শাখা এখনই খুলছে না। আপাতত বন্ধই থাকছে। স্কুলটি খুলে দিতে হাইকোর্টের রায় সাত দিনের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
আজ (মঙ্গলবার) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম জানান, এই সময়ের মধ্যে স্কুলটির নতুন করে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ম্যানেজিং কমিটিতে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারকে সভাপতি ও স্কুলের অধ্যক্ষ হিসেবে সেনাবাহিনীর কোনো কর্মকর্তাকে রাখতে বলা হয়েছে। এরপর স্কুল পরিচালনা করতে আর বাধা থাকবে না।
জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ৬ নভেম্বর গুলশান ও ধানমন্ডির দুটি শাখাসহ লেকহেড স্কুলের সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যুগ্ম-সচিব সালমা জাহান সই করা এক চিঠির মাধ্যমে ঢাকা জেলা প্রশাসককে এই নির্দেশনা দেয়া হয়।
এতে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি ধর্মীয় উগ্রবাদ, উগ্রবাদী সংগঠন সৃষ্টি, জঙ্গি কার্যক্রমের পৃষ্ঠপোষকতাসহ স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত। স্কুলটি পরিচালনায় সরকারের অনুমোদন নেই।
পরে স্কুল বন্ধের নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হলে আদালত ৯ নভেম্বর রুল জারি করেন। এতে স্কুলটি বন্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।
পরে রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ নভেম্বর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই স্কুলের ধানমন্ডি ও গুলশানের শাখা খুলে দেয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। ওই আপিলের পরিপ্রেক্ষিতেই আজ এই রায় ঘোষণা।
১৫ নভেম্বর হাইকোর্টের দেয়া আদেশ ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করেছিলেন চেম্বার জজ আদালত। তারপর ১৯ নভেম্বর আপিল বিভাগ আপিল আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে লেকহেড স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীদের কেউ জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত কি না- সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে একটি প্রতিবেদন অ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে দিতে বলা হয়েছে। সেদিন আপিল বিভাগের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষকে লিভ টু আপিল করার জন্যও বলেছিলেন।
আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অন্যদিকে লেকহেড স্কুলের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আখতার ইমাম, অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার, অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু। তাদের সঙ্গে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ ও ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম।
জেএইচ
মন্তব্য করুন