• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

প্রতিবেশীর প্রধানতম হক তাকে কষ্ট না দেয়া

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

  ২০ নভেম্বর ২০১৭, ২১:৫৫

মানুষ যেখানেই থাকুক না কেন সেখানেই তার কিছু না কিছু প্রতিবেশী থাকে। সেই প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়ে বা সঙ্গ দিয়েই তাকে জীবন-যাপন করতে হয়। একজন মানুষ যত দূরের যত অপরিচিত স্থানেই অবস্থান করুক, ধীরে ধীরে তার প্রতিবেশী বা পাশের মানুষটির সাথে স্বভাবগতভাবেই একটি পরিচিত এবং পরিচিতি থেকে ঘনিষ্ঠতা ও আত্মার বন্ধন গড়ে উঠতে থাকে।ভিনদেশ, ভিন্নজতি বা ভিন্ন মতাবলম্বী সবার বেলায়ই বিষয়টি বাস্তব। যখন এদের পারস্পরিক সহযোগিতা, সহমর্মিতা, উদারতা ও সমবেদনার সম্মিলন ঘটে তখনই এ ঘনিষ্ঠতা আরো শক্তিশালী ও মজবুত হয়। ফলে সেখানে তৈরি হয় একটি নিরাপদ ও সুখি স্বাচ্ছন্দ্যময় পরিবেশ।

পক্ষান্তরে যখন একজন প্রতিবেশী অপর প্রতিবেশীর প্রতি লক্ষ্য না রাখে, পরস্পর উদারতা ও সহযোগিতার মনোভাব পোষণ না করে তখনই তাদের পরস্পরের জীবন কষ্টকর হয়। একে অপরের কষ্টের কারণ হয় এবং খুব সহজেই সে পরিবেশে অত্যন্ত অসহনীয় হয়ে উঠে।আল্লাহতায়ালা পবিত্র কুরআনে পিতা-মাতার হক উল্লেখ করেছেন, নিকটাত্মীয়, দূরবর্তী আত্মীয়, এতিম, গরিব, সকলের হকের বিবরণের পরও পৃথকভাবে প্রতিবেশীদের হকের বিবরণ এবং এ ব্যাপারে যত্নবান হওয়ার প্রতি বিশেষভাবে নির্দেশ দিয়েছেন। কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, ‘‘ তোমরা একমাত্র আল্লাহর ইবাদত কর। তার সাথে কাউকে শরীক করো না আর পিতা-মাতার সাথে সদাচরণ কর এবং নিকটাত্মীয়, এতিম, মিসকিন, নিকট প্রতিবেশী, দূর প্রতিবেশী, পাশে অবস্থানকারী মুসাফির ও কৃতদাসদের প্রতি সদাচরণ কর। আল্লাহ আত্মাভিমানী এবং অহংকারীদেরকে পছন্দ করেন না।” (সুরা নিসা, আয়াত : ৩৬)

উল্লেখিত আয়াতে যে লোকদের ব্যাপারে হক বা অধিকারের আলোচনা করা হয়েছে তা সবগুলো তো আল্লাহতায়ালার আদেশে তা অবশ্যই আমাদের মানতে হবে। না মানলে আমরা গুনাহগার হবো। আল্লাহতায়ালার অবাধ্য বান্দা বলে প্রমাণিত হবো।

প্রতিবেশীর প্রধানতম হক তাকে কষ্ট না দেয়া। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘‘ আল্লাহর কসম, ওই ব্যক্তি মুমিন নয়; আল্লাহর কসম, ওই ব্যক্তি মুমিন নয়; আল্লাহর কসম, ওই ব্যক্তি মুমিন নয়।” সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ, কোনো ব্যক্তি মুমিন নয়? উত্তরে তিনি বলেন, যারা প্রতিবেশীর অনিষ্ট থেকে নিরাপদ নয়।”( বুখারী ও মুসলিম শরীফ)

অন্য এক হাদিসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘‘ওই ব্যক্তি আমার প্রতি ঈমান আনেনি যে রাত যাপন করল পরিতৃপ্ত অবস্থায় অথচ তার পাশে তার প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত এবং সে তার খবর রাখেনি।”( মুসলিম ওমেশকতি শরীফ)

এই হাদিসে শুধু খাবারের কথা উল্লেখ করা হলেও উদ্দেশ্য শুধু তা-ই নয়, বরং কারো প্রতিবেশী যদি এ জাতীয় অন্য কারণেও কষ্ট ভোগ করে আর পাশে থেকে সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও তার খোঁজ না নেওয়া হয়, তবে তার ক্ষেত্রেও উক্ত হাদিসের হুঁশিয়ারি বানী প্রযোজ্য হবে। একটু ভেবে দেখা দরকার, আমরা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি ঈমান ও ভালবাসা দাবি করি। আমাদের অবস্থা দেখলে কি কেউ বিশ্বাস করবে, যেই নবীর এই শিক্ষা, আমরা সেই নবীর উম্মত এবং তার অনুসারী? আমাদের সমাজের দিকে একটু চোখ বুলিয়ে দেখুন, তারা প্রতি আমাদের ঈমানের দাবিটা কতটুকু যথার্থ?

আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুন।

(আমিন)

আরকে/ এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সামরিক সহযোগিতা বাড়াতে জাপান-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক
‘স্কাউটিংকে এগিয়ে নিতে সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে’ 
বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বাড়াতে ভারত ও নেপালকে প্রস্তাব পাঠিয়েছে বাংলাদেশ 
উন্নয়নে ঢাকা-থিম্পু একযোগে কাজের তাগিদ রাষ্ট্রপতির
X
Fresh