অনুসন্ধান বন্ধে দুদককে দেয়া সুপ্রিম কোর্টের চিঠি
বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের বিষয়ে রায় মঙ্গলবার
আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান বন্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) দেয়া সুপ্রিম কোর্টের চিঠির বৈধতা নিয়ে আগামীকাল (মঙ্গলবার) রায় দেবেন হাইকোর্ট।
৩১ অক্টোবর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে বিষয়টি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন। এর ধারাবাহিকতায় ১৩ দিনের মাথায় বিষয়টি রায় ঘোষণার জন্য আসে।
২০১০ সালের ১৮ জুলাই সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দেয় দুদক। সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ পাঠায় দুদক।
দুদক সূত্র জানায়, জয়নুল আবেদীনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের একটি অভিযোগের প্রাথমিক তদন্তে আয়ের সঙ্গে অর্জিত সম্পদ সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচারেরও অভিযোগ করে দুদক।
এ বছরের ২ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের কাছে বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের বিষয়ে অনুসন্ধানের স্বার্থে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চেয়ে চিঠি দেয় দুদক।
এ চিঠির জবাবে আপিল বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্টার অরুণাভ চক্রবর্তী সই একটি চিঠি দুদকে পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। এতে বলা হয় বিচারপতি জয়নুল আবেদীন দীর্ঘকাল সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ এবং আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এ সময় তিনি অনেক ফৌজদারি মামলার রায় দিয়েছেন। তার রায়ে অনেক আসামির ফাঁসিও কার্যকর করা হয়েছে। এ অবস্থায় সর্বোচ্চ আদালতের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির বিরুদ্ধে দুদক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করলে তার দেয়া রায়সমূহ প্রশ্নবিদ্ধ হবে এবং জনমনে বিভ্রান্তির উদ্রেক ঘটবে। তাই তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের কোনোরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা সমীচীন হবে না।
দুদককে সুপ্রিম কোর্টের দেয়া চিঠিটি হাইকোর্টের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বদিউজ্জামান তরফদার।
এরপর গেলো ৯ অক্টোবর আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান বন্ধে দুদককে সুপ্রিম কোর্টের দেয়া চিঠি কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
জেএইচ
মন্তব্য করুন