• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা

‘প্রভাবমুক্ত থেকে রায় দেবেন’ বিচারকের উদ্দেশে খালেদা জিয়া

অনলাইন ডেস্ক
  ০৯ নভেম্বর ২০১৭, ২১:৪৪

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে আদালতে আজও (বৃহস্পতিবার) বক্তব্য দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ঢাকার বকশিবাজারে ঢাকার ৫ম বিশেষ জজ আদালতে প্রায় দেড় ঘণ্টা বক্তব্য উপস্থাপন করেন তিনি।

এসময় বিচারকের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, আমি বিশ্বাস করতে চাই, আপনি দলীয় প্রভাবমুক্ত থেকে রায় দেবেন। ক্ষমতাসীনরা চায়, আমার বিরুদ্ধে অন্তত একটি মামলায় রায় যেন দেয়া হয়।

বিএনপি চেয়ারপাসন বলেন, এ মামলার রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হবে, বিচারকগণ স্বাধীন ও আইনসম্মতভাবে বিচারকার্য পরিচালনা করতে সক্ষম কি না?

খালেদা জিয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মহাত্মা গান্ধী, সুভাষ চন্দ্র বসু, চিত্তরঞ্জন দাশ, জওহরলাল নেহরু, নেলসন ম্যান্ডেলা, মার্টিন লুথার কিংয়ের মতো নেতাদেরও ‘অবিচারের মাধ্যমে’ কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।

তিনি বলেন, ‘ফখরুদ্দিন-মঈনউদ্দিনের অবৈধ সরকার’ মিথ্যা মামলায় আমাকে এবং আমার দুই ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছিল। বন্দি অবস্থায় পৈশাচিক নির্যাতন চালিয়ে তাদেরকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। বড় ছেলে তারেক রহমান সেই নির্যাতনে পঙ্গু হয়ে এখনো বিদেশে চিকিৎসাধীন। আমার ছোট ছেলেটি আর সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন ফিরে পায়নি। বিদেশে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই আমাদেরকে ছেড়ে চির বিদায় নিয়েছে।

খালেদা বলেন, আমি এবং শেখ হাসিনা, এ দু’জনকেই জোর করে ‘মাইনাস’ করার উদ্দেশ্যে তারা সব ধরনের তৎপরতা শুরু করে। আমাকে গৃহবন্দি করা হয়। শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হলে আমি এর প্রতিবাদ জানাই। তার মুক্তি দাবি জানাই।

তিনি বলেন, আমার ও জিয়াউর রহমানের পরিবারের ওপর শেখ হাসিনা যে বৈরী আচরণ করেছেন, তার জন্য আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। প্রতিহিংসার আচরণ আমি করব না।

বৃহস্পতিবার শুনানির শুরুতে জিয়া এতিমখানা ও দাতব্য ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল এর বিরোধিতা করেন।

শুনানি শেষে বিচারক স্থায়ী জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন এবং ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত খালেদাকে জামিন দেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুদক।

২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক হারুন আর রশিদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে খালেদা জিয়ার বাসভবনে বিএনপি নেতারা
যেভাবে কাটছে খালেদা জিয়ার ঈদ
যেখানে ঈদ করবেন খালেদা জিয়া
বিএনপি নেতারা কে কোথায় ঈদ করবেন
X
Fresh