• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

ধর্মীয় শিক্ষা ছাড়া শিশুদের আদর্শ জীবন গড়া সম্ভব নয়

মাওলানা নাসির উদ্দিন

  ০৩ নভেম্বর ২০১৭, ১৭:৪৭

সন্তানকে মায়া-মমতা দিয়ে লালন-পালন করা এবং তাদের আদর্শ জীবন গঠন করা পিতা-মাতার কর্তব্য। এ ক্ষেত্রে ইসলামের অনুপম শিক্ষা ও নীতিমালা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ধর্মীয় শিক্ষা ছাড়া শিশুদের প্রকৃত আদর্শ জীবন গড়ে তোলা সম্ভব নয়। শিশু আল্লাহ তাআলার প্রদত্ত উত্তম নিয়ামত। এ জন্য তাদের নৈতিক শিক্ষা দেওয়া প্রতিটি শিশুর মা-বাবার পবিত্র দায়িত্ব।

আজকের শিশুদের মধ্যে লুকিয়ে আছে আগামী দিনের সুন্দর পৃথিবী। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘ধন-সম্পদ ও সন্তানসন্ততি বা শিশুরা পার্থিব জীবনের শোভা এবং স্থায়ী সৎকর্ম তোমার প্রতিপালকের কাছে পুরস্কারপ্রাপ্তির জন্য শ্রেষ্ঠ এবং বাঞ্ছিত হিসেবেও উৎকৃষ্ট।’ (সূরা আল-কাহ্ফ, আয়াত: ৪৬)

আধুনিক যুগে পরিবারই শিশুর মূল শিক্ষাকেন্দ্র হওয়া উচিত। মা-বাবাই শিশুর জন্য জগতের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, আর ঘর হলো শ্রেষ্ঠ পাঠশালা। শিশুদের মনের মতো করে গড়ে তোলা খুবই কঠিন। শান্ত হলেও শিশু শিশুই। তারা অনুভূতিপ্রবণ ও অনুকরণপ্রিয়। শিশুর সামনে যা কিছুই বলা হবে বা করা হবে, এর একটা চিত্র তার মনে অঙ্কিত হয়ে যায়; যা ভবিষ্যতে বহিঃপ্রকাশ ঘটে। তাই যে সংসারে মা-বাবা নিজেদের মধ্যে ভালো ব্যবহার করে, ভদ্রভাবে চলে, সুন্দর কথা বলে, সে সংসারের শিশুরাও ভালো হয়।

যে সমাজসংসারে স্বামী-স্ত্রীর মনোমালিন্য, ঝগড়া-বিবাদ, পারিবারিক অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা লেগে থাকে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই, সেসব সংসারের শিশুরা হয় অবাধ্য ও দুর্বিনীত।তারা বড় হয়ে মাদকাসক্ত ও সন্ত্রাসীর খাতায় নাম লেখায়। এ জন্য মা-বাবাকে শিশুদের সামনে সংযত হয়ে চলা বা কথা বলা উচিত; যাতে পরিবারে শিশুরা সুশিক্ষা পায়। শিশুদের শারীরিক নির্যাতন না করে তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহারের মাধ্যমে নৈতিক শিক্ষাদানের বিষয়ে নবী করিম (সা.) ঘোষণা করেছেন, ‘তোমরা সন্তানদের (শিশুদের) স্নেহ কোরো, তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার কোরো এবং সদাচরণ ও শিষ্টাচার শিক্ষা দাও।’ (তিরমিজি)

শিশুকালে অন্যান্য শিক্ষার পাশাপাশি সন্তানকে অবশ্যই দীনের শিক্ষা দিতে হবে। এই বয়সেই শুদ্ধভাবে কোরআন পড়া ও তা আমল করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, জেনে রেখ তোমরা প্রত্যেকে দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেককে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। পুরুষ তার পরিবারের ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে। তাদের ব্যাপারে তাকে জবাবদিহি করতে হবে। (বুখারি শরিফ)

অন্য হাদিসে আছে, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রত্যেক শিশু(ইসলামের) ফিততরের ওপর জন্মগ্রহণ করে। ‍কিন্তু পিতা-মাতা তাকে ইহুদি, খৃস্টান বা অগ্নিপূজক বানায়।(বুখারি ও মুসলিম শরিফ)

সন্তান নিজের, সমাজ বা দেশের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। তাকে অবহেলা না করে আদর্শবাদী ও ঈমানদার করে গড়ে তোলা সবার কর্তব্য।

এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh