মাদকাসক্তের পাশে পরিবারের কাউকে দাঁড়াতে হবে
আরটিভি’র সরাসরি ইসলামি প্রশ্নোত্তর মূলক বিশেষ আয়োজন শরিফ মেটাল প্রশ্ন করুন। এ আনুষ্ঠানে কোরআন ও হাসিদের আলোকে দর্শক শ্রোতার বিভিন্ন প্রশ্নের সমাধান দেয়া হয়। আজকের পর্বে উত্তর দিবেন ইসলামী চিন্তাবিদ হাফেজ মুফতি কাজী মুহাম্মদ ইব্রাহিম।
১. পরিবারের কোনো সদস্য যদি মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন তাহলে তাকে কিভাবে ফেরানো যায়?
উত্তর : মাদকাসক্তদের জন্য ইসলামে কিছু শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। শারীরিকভাবে শাসন ও বোঝানোর মাধ্যমে তাকে এ পথ থেকে ফেরানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। পরিবারের পক্ষ থেকে ভাই, বোন বা বাবা মাকে দায়িত্ব নিতে হবে। তাকে বুঝিয়ে বলতে হবে তুমি একা নও, তোমার সাথে আমরা আছি। এভাবে বোঝানোর মাধ্যেমেই তাকে এ পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে।
২. ছেলে-মেয়ে এক সঙ্গে ক্লাস করার সময় অনেক মেয়ে পর্দা করে ক্লাসে আসে না। আবার পড়াশোনার বিষয়ে মেয়েদের সঙ্গে অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে হয়। এসব ক্ষেত্রে করণীয় কী?
উত্তর : ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে ছেলে-মেয়ে এক সঙ্গে ক্লাস করা শরীয়া সম্মত নয়। আবার বৈজ্ঞানিকভাবেও এটি ছেলে-মেয়েদের জন্য কল্যাণকর নয়। আমেরিকার একজন বিজ্ঞানী এ বিষয়ে একটি বই লিখেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন ছেলে-মেয়ে এক সঙ্গে ক্লাস করলে বিশেষ করে ছেলেদের শরীরে এক ধরনের হরমোন তৈরি হয়। যা তাদের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। আর এ জন্য তার মতে, ছেলে ও মেয়েদের আলাদাভাবে শিক্ষা গ্রহণ করাই উত্তম।
৩. জন্মদিনের অনুষ্ঠান করা ও সেই অনুষ্ঠানে দাওয়াত খেতে যাওয়া ঠিক কিনা। আবার এসব অনুষ্ঠানে গান-বাজনার আয়োজন করলে গুনাহ হবে কিনা।
উত্তর : জন্মদিনের অনুষ্ঠান আমাদের মহা নবী (সা.) এর যুগে ছিলো না। জন্মদিনের অনুষ্ঠান হবে জীবনে একবার। যে বার সে জন্ম নিয়েছেন সে বার থেকে তার ঠিক সপ্তম দিনে তার আকিকার অনুষ্ঠান করা। এটাই হচ্ছে জন্মদিনের উৎসব।
আরকে/এমকে
মন্তব্য করুন