বক্সকালভার্টগুলো পরিষ্কার করলে রাজধানীর জলাবদ্ধতা কমে আসবে
রাজধানীর খালগুলো এখন মৃতপ্রায়। নেই পানিপ্রবাহ। জায়গায় জায়গায় দখলের ফলে খাল পরিণত হয়েছে সরু নালায়। শুধু খালই নয় রাজধানীর বক্সকালভার্টগুলোও ভরে আছে শক্ত বর্জ্যে। এসব কালভার্ট পরিষ্কারে নেই কোনো কার্যকর পদক্ষেপ। ফলে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে রাজধানী।
ওয়াসার দেয়া সাইনবোর্ডগুলো দেখে মনে হতে পারে পাশেই কোনো খাল আছে। তবে বাস্তব অবস্থা হলো এসব সাইনবোর্ডের পাশে কোনো খালেরই অস্তিত্ব নেই!
স্থানীয়রা খালের হদিস দিতে না পারলেও আধা কিলোমিটারের মতো দূরে গিয়ে দেখা মিললো খালের অস্তিত্ব। এবার জানা গেলো আসল তথ্য। এ অংশে ওয়াসা বক্সকালভার্ট তৈরি করায় ঢেকে গেছে পুরো খালটি। কালভার্টের মুখের এই চিত্রই বলে দিচ্ছে এর ভেতরের অবস্থা।
এদিকে ওয়াসার তথ্য মতে, রাজধানীতে প্রায় ১৫ কিলোমিটার বক্সকালভার্ট রয়েছে। যেগুলো এখন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হিসেবেও ব্যবহার হচ্ছে। অথচ তৈরির পর বহু বছর কেটে গেলেও এই বক্স কালভার্টগুলো পরিষ্কার করা হয়নি। ফলে ভরে আছে ময়লা আবর্জনায়। আর এ কারণে একটু বেশি বৃষ্টি হলেই রাজধানী জুড়ে তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। যা এবার ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বক্সকালভার্টগুলো দ্রুত পরিষ্কার না করলে ক্রমেই বাড়তে থাকবে জলাবদ্ধতা।
এ বিষয়টি নিয়ে হাত গুটিয়ে বসে আছে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। এমনকি কোনো কথা বলতেও রাজি হয়নি তারা। তবে এ নিয়ে ওয়াসা মুখ না খুললেও স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক জানান, শিগগিরই বক্স কালভার্টগুলো পরিষ্কার করা হবে।
এ বিষয়ে নগরবাসীরা বলছেন, লোকচক্ষুর আড়ালে থাকা এই বক্সকালভার্টগুলো নামমাত্র নয় যথাযথভাবে পরিষ্কার করলেই আগামী বর্ষায় জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে নগরবাসী।
আরকে/জেবি
মন্তব্য করুন