কে আগে বক্তব্য দেবেন, তা নিয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মারামারি
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলার বিষয়ে গণমাধ্যমে কে বক্তব্য দেবেন, তা নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে হাতাহাতি করেছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে পুরান ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাস প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় এক আইনজীবীর শার্ট ছিড়ে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। এর আগে এই আদালতের বিচারক আখতারুজ্জামান ৩ শর্তে জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে জামিন দেন। এরপর খালেদা জিয়া আদালত ত্যাগ করা মাত্রই শুরু হয় হাতাহাতি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপিপন্থী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মির্জা আল মাহমুদ ঢাকা বারের সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলমকে ধাক্কা দেন। পরে খোরশেদের সমর্থক আইনজীবীরা মির্জা মাহমুদের ওপর চড়াও হন। এ সময় উভয়পক্ষের আইনজীবীদের হাতাহাতির মধ্যে মির্জা মাহমুদের শার্ট ছিড়ে যায়। তিনি অনেকটা দৌড়ে আদালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে ঢাকা বারের সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম আরটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম, মির্জা মাহমুদ কনুই দিয়ে আমাকে ধাক্কা দেন। এ সময় তিনি আমাকে লাথিও মারেন।’ তিনি দাবি করেন, ‘এ ঘটনা দেখে উপস্থিত আইনজীবীরা ক্ষুব্ধ হন। তারা মির্জা মাহমুদের ওপর চড়াও হন। কিন্তু, আমরা তাকে রক্ষা করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মির্জা মাহমুদ বলেন, খোরশেদ মিয়া সিনিয়র আইনজীবী। আমি তাকে সম্মান করি। আমি পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ করে তিনি অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। আমি বেশ বিব্রত হয়ে যাই। শুধু বললাম, স্যার মাইন্ড ইয়োর ল্যাংগুয়েজ। এরপর তিনি আরো গালাগাল করেন। তখন তাকে ধাক্কা দিয়েছিলাম। এরপর তার অনুসারী জুনিয়র আইনজীবীরা আমাকে লাঞ্চিত করে। আর কি কি হয়েছে, সবই দেখেছেন আপনারা।
এসজে
মন্তব্য করুন