• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নতুন প্রজন্ম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বে : শিক্ষামন্ত্রী

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৫ অক্টোবর ২০১৭, ২১:৩৬

আমাদের শিক্ষার মূল লক্ষ্য নতুন প্রজন্মকে আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে প্রস্তুত করা। তারা আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলবে এবং ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবে। বললেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভের (ইউডা) ষষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় শিক্ষামন্ত্রী একথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এমাজউদ্দিন আহমদ। অন্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, ইউডা’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম শরীফ, ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক মুজিব খান এবং উপ-উপাচার্য ড. আহমদ উল্লাহ মিয়া বক্তব্য রাখেন।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের শিক্ষার মূল লক্ষ্য নতুন প্রজন্মকে আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে প্রস্তুত করা। প্রচলিত গতানুগতিক শিক্ষায় তা সম্ভব নয়। বর্তমান যুগের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ বিশ্বমানের শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে দক্ষ, নৈতিক মূল্যবোধ ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ এক পরিপূর্ণ মানুষ তৈরি করা আমাদের প্রধান লক্ষ্য। তারা আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলবে এবং ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্জিত জ্ঞান সমাজের কম-আলোকিত মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে আরো শক্তিশালী ও কার্যপোযোগী করার লক্ষ্যে ‘উচ্চশিক্ষা কমিশন আইন’ তৈরি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জ্ঞানচর্চা, গবেষণা ও নতুন জ্ঞান অনুসন্ধান করতে হবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সৃষ্ট জ্ঞান জাতির মৌলিক ও বিশেষ সমস্যাগুলোর সমাধান দিতে পারে। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সে ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে’।

তিনি বলেন, ‘উচ্চ শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো এমন মানবসম্পদ সৃষ্টি যারা আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির চেতনায় লালিত হয়ে জাতীয় সমস্যা সমাধানে অবদান রাখতে সক্ষম হবে। যাদের চিন্তায় থাকবে সৃষ্টিশীলতা, উদার নৈতিকতা, মানবপ্রেম ও বিজ্ঞানমনষ্কতা। উচ্চশিক্ষা যাতে কেবল সীমাবদ্ধ আনুষ্ঠানিক বিদ্যায় পরিণত না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে’।

সমাবর্তনে স্নাতক পর্যায়ে ৮৫৯ জন এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ৭৭০ জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য একজন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক, ৬ জনকে উপাচার্য অ্যাওয়ার্ড এবং ১৪ জনকে ডিনস্ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

ওয়াই/জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh