• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

৭ মহররম থেকে ফোরাতের পানি নবী পরিবারের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়

অনলাইন ডেস্ক
  ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৩:১৪

হিজরি ৬১ সালের ৭ মহররম ইয়াজিদের সেনাপতি ওমর ইবনে সাদ হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) এবং তাঁর পরিবার ও সঙ্গীদের জন্য ফোরাত নদীর পানি বন্ধ করে দেয়।

৭ মহররম রাতে হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) অভিশপ্ত ওমর সাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন ও কথা বলেন। খুলি বিন ইয়াজিদ নামের এক ব্যক্তি এই ঘটনার সংবাদ ইয়াজিদের নিযুক্ত ইরাকের গভর্নর ইবনে জিয়াদের কাছে পৌঁছে দেয়। খুলি ইমামের প্রতি তীব্র বিদ্বেষ পোষণ করত। এ সাক্ষাতের খবর শুনে ওমর সাদের কাছে একটি চিঠি লেখে ইবনে জিয়াদ। এ ধরনের সাক্ষাতের ব্যাপারে সাদকে সতর্ক করে দেয় ইবনে জিয়াদ। একই সঙ্গে নবী-পরিবার ও হোসাইন (রা.) এর সঙ্গীদের জন্য ফোরাতের পানি বন্ধ করতে বলে। ইমাম শিবির যেন এক ফোটা পানিও নিতে না পারে ফোরাত থেকে সে নির্দেশ দেয় ইবনে জিয়াদ।

ইবনে জিয়াদ ইমাম হোসাইনের কাফেলার ওপর চাপ সৃষ্টি ও অবরোধ জোরদারের জন্য কারবালায় আরও সেনা পাঠাতে থাকে।

আমর ইবনে হাজ্জাজ যুবাইদি নামের এক যোদ্ধার নেতৃত্বে ইয়াজিদ বাহিনীর ৫০০ অশ্বারোহী সেনা ফোরাতের তীর নবী-পরিবার ও তাদের সঙ্গীদের জন্য নিষিদ্ধ করে।

অবশ্য ইমাম হোসাইন (রা.) এর সৎ ভাই ( আশুরার দিনে তাঁর অন্যতম সেনাপাতি) আবুল ফজল আব্বাস রাতের বেলায় এক অভিযান চালিয়ে ফোরাত থেকে কিছু পানি আনতে সক্ষম হন এবং তাতে নবী-পরিবার আরও একদিন পানি ব্যবহারের সুযোগ পান। কিন্তু পরের দিন থেকে ১০ মহররম পর্যন্ত তিন দিন ইমাম শিবিরে আর এক ফোটা পানিও যায়নি। অথচ সৃষ্টির পর থেকে এখন পর্যন্ত ফোরাতের পানি কখনও কোনো পশুর জন্যও নিষিদ্ধ হয়নি।

পাপিষ্ঠ ও জালিম ইয়াজিদের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করতে ইমাম হোসাইন (রা.) ও তাঁর পরিবার এবং সঙ্গীদেরকে বাধ্য করাই ছিল পানি-অবরোধের উদ্দেশ্য। কিন্তু ইমাম ও তাঁর সঙ্গীরা শাহাদাতের অমিয় সুধা পান করাকেই প্রাধান্য দিয়েছিলেন।

ফলে (১০ মহররম) মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও লড়াই করে শহীদ হন ইমাম (রা.) ও তাঁর পরিবারের অনেক সদস্যসহ ইমামের সংগ্রামী সাথীরা। এভাবে সৃষ্টি হয় ইতিহাসের অনন্য বীরত্বের ঘটনা।

এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh