র্যাম্প মডেল থেকে জঙ্গি হওয়া মেহেদী ৪ দিনের রিমান্ডে
জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ’র (জেএমবি) সদস্য ইমাম মেহেদী হাসান ওরফে আবু জিবরিলের (২৯) চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
র্যাম্প মডেল থেকে জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ’র (জেএমবি) সারোয়ার-তামিম গ্রুপের সদস্য হন তিনি। পরে তাদেরই নতুন শাখা ব্রিগেড আদ-দার-ই-কুতনী’র কমান্ডারের দায়্ত্বি পালন করেন মেহেদী।
বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সাব্বির ইয়াসির আহসান চৌধুরী এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বনানী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় মেহেদীর বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এদিন দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ জানান, গেলো বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর খিলগাঁও বনশ্রী এলাকা থেকে মেহেদীকে আটক করা হয়।
তিনি জানান, মেহেদী একসময় র্যাম্প মডেলিং করতেন। কয়েকটি প্রতিযোগিতায়ও অংশ নেন তিনি। রাজধানীর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক শেষ করেন তিনি। পাশাপাশি বিভিন্ন গিফট আইটেমের(শো-পিচ) ব্যবসা করতেন।
র্যাব-৩ এর অধিনায়ক জানান, ২০১৫ সালে সারোয়ার-তামিম গ্রুপের সংস্পর্শে আসেন মেহেদী। কর্মী সংগ্রহের পাশাপাশি ‘আইটি এক্সপার্ট’ হিসেবে ঊর্ধ্বতন জঙ্গি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ ও সাংগঠনিক কাজগুলো অনলাইনে পরিচালনা করতেন তিনি।
তিনি আরো জানান, ঢাকা, টাঙ্গাইল ও রাজশাহীর বেশ ক’জন নতুন কর্মীকে বাইয়্যাত(শপথ) পাঠ করিয়েছেন তিনি। ‘ব্রিগেড আদ-দার-ই কুতনি’তে আনসার(সাহায্যকারী), মুজাহির(যোদ্ধা), সালাফি আলেম বোর্ড এবং অর্থ প্রদানকারী বিভিন্ন ব্যক্তি রয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে মেহেদী জানিয়েছেন।
কে/জেএইচ
মন্তব্য করুন