শিশির রাজনের কবিতা
রোহিঙ্গা
শান্তি ভেসে যায়; সাগর সঙ্গমে
রক্ত ধারায়...
ঘুমের উত্তাপে ক্লান্ত স্বপ্ন-এক জোড়া শিশু চোখ; অজস্র চোখের বেদনা...
ধিক...ঘৃণার আগুনে
যেসব রাষ্ট্র পদ্ধতি মানুষকে বানায় সংখ্যালঘু; রক্তের হলিতে নাচে…ধর্মকে করে আধুলি
বুদ্ধের বাণী আহত;
ভেসে আসা শিশুটির চোখে পৃথিবীকে মরে যেতে দেখি; মানুষকে মরে যেতে দেখি..
ক্ষমা করো আত্মার রঙ..নিকশ অন্ধকার
দেবতা শিশুদের নিষ্পাপ চোখের তরঙ্গে কাঁটাতার বিদীর্ণ হবে..
সবুজ অরণ্য মাটির সৌরভে পৃথিবী হবে মানুষের...
অদৃশ্য মুখের ধারাপাত
আদিম নামতা; বনজ তারায় খয়েরি অন্ধকার।
বৃষ্টি নামলো! নিরল রাতে পাখির উঠোন...তোমার মুখ; ফুলের সুবাসে ঝাঁপসা হয়ে গেলো!
সমুদ্র জোৎস্নায় আমিই জোনাক...ঘুঙ্গুর পায়ে, ছায়ার দৃশ্যে তোমার শব্দ শুনি..মনে পড়ে?? লাল শাপলা; আমাদের পুতুল ঘর।
শহর নিয়নে কী লিখেছিলে সে দিন! ঠোঁটের কোরাসে তোমারই আদিম নামতা...
আজো মুখ দেখি; দেখি
নদীর নাচন
স্নানের জলে সরিয়ে নিও আঁচল আশ্রয়; ধানের ওম।
চিতার নিঃশ্বাসে বাড়ে রাত
আমাদের ভৈরবী বেদনা...
সবুজ পায়েল ও সমুদ্র মালা
বর্ষার শ্রাবণে ভিজে ফেরারি রাস্তা
সমুদ্র মাঝে মাঝে গোলাপ হয়
জলের বৃক্ষ;
বাজার এক দুর্দান্ত সভ্যতা
মিহি নিয়নে রাখাইন তরুণীরা সহজেই বলে যেতে থাকে
পা ও হাঁটার ইতিহাস
কবেকার পাথরের গাঁয়ে ফুটেছিল সমুদ্র মালা
আমাদের চোখ কাঁচের আয়না...
মাঝে মাঝে রাখাইন কন্যা মিনথিলা’দি হয়ে উঠে হাসির ঝর্ণা
ক্রেতার চোখের ইশারায় বুঝে যায় পায়েল ও মালার রঙ..সবুজ পায়েলে বাজুক সুরেলা উঠান
রাতের হৃদয়ে সমুদ্র মালার গান।...
জেবি/এমকে
মন্তব্য করুন