• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

কোরবানি হজরত ইবরাহিম (আ.) এর সুন্নত

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

  ৩০ আগস্ট ২০১৭, ১৫:২৬

কোরবানির প্রচলন ছিল হজরত আদম (আ.) থেকে শুরু করে সব নবীর আমলে। দুনিয়ার প্রথম মহামানব হজরত আদম (আ.)এর সন্তান হাবিল ও কাবিলের মধ্যে বিবাহ নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দিলে হযরত (আ.) তাদের দ্বন্দ্বের সমাধান করতে উভয়কে ইখলাসের সঙ্গে কোনবানি করার নির্দেশ প্রদান করেন।

অতপর আল্লাহ তায়ালা তাকওয়ার ভিত্তিতে হাবিলের কোরবানি কবুল করলেন এবং কাবিলের কোরবানি প্রত্যাখ্যান করলেন। আর এভাবেই মানব ইতিহাসে কোরবানির প্রচলন শুরু হয়। মুসলমানরা ঈদুল আজহায় যে কোরবানি দেয় এর সঙ্গে জড়িত হযরত ইব্রাহিম (আ.) ও তার পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.) স্মৃতি। পবিত্র কোরআনে এই ঘটনাটি উল্লেখ করে ইরশাদ করা হয়েছে, অতপর সে (অর্থ্যাৎ ইসমাইল)যখন পিতার সঙ্গে চলাফেরা করার বয়সে উপনিত হলো, তখন ইব্রাহিম তাকে বলল: হে পুত্র! আমি স্বপ্নে দেখি যে, তোমাকে জবেহ করেছি; এখন তোমার অভিমত কি? সে বলল: হে পিতা। আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে, তাই করুন। আল্লাহ চাহে তো আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন।

যখন পিতা-পুত্র আনুগত্য প্রকাশ করলো, তখন আমি তাকে ডেকে বললাম, হে ইব্রাহিম, তুমি তো স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করে দেখালে। আমি এভাবেই সৎকর্মীদের প্রতিদান দিয়ে থাকি। নিশ্চয়ই এটা এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা।

(সুরা সাফফাত:)

আমি তার পরিবর্তে দিলাম জবেহ করার জন্য এক জন্তু। জিলহাস মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ এই তিন দিন কোরবানি দেয়া যায়।এ সময় নিসাব পরিমাণ মালের মালিক যিনি হবেন তার ওপর কোরবানি দেওয়া যায়। এ সময় নিসাব পরিমাণ মালের মালিক যিনি হবেন তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। বকরি ও দুম্বা হলে একজনে একটি কোরবানি দিতে হবে। আর গরু, মহিষ, উঠ হলে সাতজন একসঙ্গে কোরবানি দিতে পারবে। সুতরাং জোর সংখ্যা বা বেজোর সংখ্যা যাই হোক দুই, চার, ছয়জনে কিংবা তিন, পাঁচ ও সাতজনে(১) কিংবা তিন, পাঁচ ও সাতজনেও দিতে পারবে।

হাদিসে স্পষ্ট করা হয়েছে হযরত ইব্রাহিম (আ) এর সুন্নাত হিসেবে কোরবানি মুসলমানদের জন্য পালনীয়। যাদের আর্থিক সামর্থ্য আছে, তাদের জন্য কোরবানির তাগিদ দেয়া হয়েছে। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, হে লোক সকল (জেনে রাখ) তোমাদের প্রত্যেক (সামর্থ্যবান) পরিবারের পক্ষে প্রত্যেক বছরই কোরবানি করা আবশ্যক। ( আবু দাউদ ও নাসারী শরীফঃ)

হজরত আবু হুরায় (রা:) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি কোরকানি করল না সে ঈদগাহের কাছেও যেন না আসে।’ (ইবনে মাযাহ:)

হজরত আলী (রা:) বলেন, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে অসিয়ত করে গেছেন আমি যেন তার পক্ষ হতে কোরবানি করি। সুতরাং আমি তার পক্ষ থেকে কোরবানি করছি।(তিরমিজি ও আবু দাউদ শরীঃ)

কোরবানি আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত ও নির্দিষ্ট একটি বিধান। যাকে আল্লাহতায়ালা অর্থ-সম্পদ দিয়ে সচ্ছলতা দিয়েছেন, তার জন্য কোরবানি করা আবশ্যক। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিকভাবে কোরবানি দেওয়ার তাউফিক দান করুক (আমিন)

জেবি/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh