চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পেট্রোল, পুষ্পস্তবকে আগুন
চট্টগ্রামের কাপাশগোলায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পেট্রোল ও পুষ্পস্তবকে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নগরীর পাঁচলাইশ থানার কাপাসগোলা এলাকায় সড়কের মোড়ে বছর খানেক আগে বঙ্গবন্ধুর এই প্রতিকৃতিটি স্থাপন করা হয়। সেখানে একইসঙ্গে জাতির জনকের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতিও আছে।
পাঁচলাইশ থানার ওসি মহিউদ্দীন মাহমুদ আরটিভি অনলাইনকে জানান, বুধবার গভীর রাতে কাপাশগোলায় স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে দুর্বৃত্তরা পেট্রোল ছিটিয়ে দিয়েছে এবং পুষ্পস্তবকে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেবি/এসএস
মন্তব্য করুন
৩০ ফেব্রুয়ারি : ইতিহাসে যে দিনটি মাত্র একবারই এসেছিল
বহু বছর ধরে প্রতি চার বছর পর পর লিপ ইয়ারের মাধ্যমে বছর গণনাকে সমন্বয় করায় আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। সাধারণত এক বছর বলতে ৩৬৫ দিনের হিসাব করা হলেও এবারে ২০২৪ সালে বছরের গণনা করা হবে ৩৬৬ দিনে। কারণ চলতি বছর হল লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষ।
লিপ ইয়ার হলো প্রতি চার বছর পর পর ৩৬৫ দিনের ক্যালেন্ডারে ফেব্রুয়ারির শেষে বাড়তি একটি দিন যোগ হওয়া। তাই ২৯ ফেব্রুয়ারি অবশ্যই বিশেষ একটি দিন।
এই বাড়তি এক দিন যোগ হওয়া মানে মাসের শেষে বিল পরিশোধ করতে যেমন বাড়তি একদিন সময় পাওয়া যায়, তেমনি অনেকের ক্ষেত্রে বেতন আসার জন্য আরেকটা দিন বেশি অপেক্ষা করতে হয়।
যারা এই তারিখে জন্মগ্রহণ করেছেন তারা প্রতি চার বছরে পর পর তাদের প্রকৃত জন্মদিন পালন করতে পারেন। কিন্তু ইতিহাসে শুধুমাত্র একবার এমন সময় এসেছিল যখন ক্যালেন্ডারে ৩০শে ফেব্রুয়ারি যোগ করতে হয়েছিল। সুইডেন একটি ডাবল লিপ ইয়ারের অংশ হিসেবে ১৭১২ সালের ক্যালেন্ডারে ৩০শে ফেব্রুয়ারি যুক্ত করেছিল।
তাহলে ভেবে দেখুন, সেই তারিখে যারা জন্মগ্রহণ করেছিলেন তাদের ভাগ্যে কী হয়েছে? তারা তাদের জীবদ্দশায় কখনই সত্যিকারের জন্মদিন উদযাপন করতে পারেননি।
এই ৩০শে ফেব্রুয়ারি কেন যুক্ত করতে হয়েছিল সেই ব্যাখ্যার আগে লিপ ইয়ার কেন আসে, কবে থেকে লিপ ইয়ার যুক্ত হয়েছে সেই ইতিহাস জানা প্রয়োজন।
লিপ ইয়ার কেন আসে?
প্রতি চার বছর পর পর ক্যালেন্ডারে যে অসঙ্গতি থাকে, সেটিকে সমন্বয় করতে লিপ ইয়ারের আবির্ভাব। কখন থেকে এই লিপ ইয়ারের প্রচলন হয়েছে, সে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য দুই সহস্রাব্দেরও বেশি আগে প্রাচীন রোমের ইতিহাসের দিকে তাকাতে হবে। কারণ সেই সময় প্রথম আবিষ্কার হয়েছিল, তারা যে সৌর ক্যালেন্ডার ধরে বছর গণনা করছেন সেটি সৌর বছরের সাথে সম্পূর্ণভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না। এই ক্যালেন্ডারের প্রাথমিক ধারণা এসেছিল রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজারের কাছ থেকে। তিনি সেসময় আলেকজান্দ্রিয়ান জ্যোতির্বিজ্ঞানী সোসিজেনেসকে রোমান ক্যালেন্ডারের একটি বিকল্প তৈরি করতে সাহায্য করতে বলেছিলেন। যে ক্যালেন্ডার হবে সূর্যের চারিদিকে পৃথিবীর পরিভ্রমণের সাথে আরও ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত এবং বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
কারো কারো মতে, পৃথিবী সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে কাঁটায় কাঁটায় ৩৬৫ দিন সময় নেয় না। এতে ৩৬৫ দিনের সাথে পাঁচ ঘণ্টা, ৪৮ মিনিট এবং ৫৬ সেকেন্ড বেশি সময় লাগে।
এই বাড়তি সময়কে সমন্বয় করতে সোসিজেনেস একটি ক্যালেন্ডার তৈরির প্রস্তাব করেছিলেন, যা মিশরীয়দের ক্যালেন্ডারের সাথে প্রায় হুবহু মিলে যায়। সৌর বছরের সাথে সন্নিবেশ করতে প্রতি চার বছরে ৩৬৫ দিনের সাথে একটি অতিরিক্ত দিন যোগ করা হয়। এভাবে জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের জন্ম হয়, এর প্রবর্তক জুলিয়াস সিজারের সম্মানে এই নামকরণ করা হয়েছিল।
একটি বাড়তি দিন
কিন্তু এই জুলিয়ান ক্যালেন্ডারও বেশিদিন টেকেনি। ওই ক্যালেন্ডারে কিছু ফাঁক থাকার কারণে ১৫৮২ সাল থেকে ক্রমান্বয়ে জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের জায়গা প্রতিস্থাপন করে নেয় আজকের গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার।
জুলিয়ান ক্যালেন্ডারে বছর শুরু হতো মার্চ থেকে।
যেহেতু প্রতি চার বছরে একটি অতিরিক্ত দিনের প্রয়োজন ছিল, তাই রোমানরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে এটি ফেব্রুয়ারিতে হবে, যা তখন বছরের শেষ মাস ছিল। লিপ নামটি ল্যাটিন বাক্য থেকে এসেছে। যার অর্থ মার্চ মাস শুরুর ছয় দিন আগে, অর্থাৎ ২৪শে ফেব্রুয়ারি। সেসময় ওই দিনটি লিপ ইয়ার হিসেবে পালন করা হত। বাক্যটি কিছুটা দীর্ঘ হওয়ায় একে সংক্ষেপে ‘বিস সেক্সটাস’ বলা হয়ে থাকে যার অর্থ লিপ ইয়ার বা বাংলায় অধিবর্ষ।
কয়েক বছর পরে, ত্রয়োদশ পোপ গ্রেগরি এক ডিক্রি জারির মাধ্যমে ক্যালেন্ডারটিকে 'নিখুঁত' করার সিদ্ধান্ত নেন।
তার আনা পরিবর্তনগুলোর মধ্যে একটি ছিল যে লিপ ইয়ারের অতিরিক্ত দিনটি হবে ২৯শে ফেব্রুয়ারি এবং জুলিয়ান ক্যালেন্ডার দ্বারা নির্ধারিত ২৪ তারিখ নয়।
একটি গাণিতিক সমাধান-
জ্যোতির্বিজ্ঞানী ক্রিস্টোফার ক্ল্যাভিয়াসের পরামর্শে, তখনকার জ্ঞানী ব্যক্তিরা বছরের হিসেবে এই সমন্বয় আনার জন্য সিদ্ধান্ত নেন যে, ১৫৮২ সালে চৌঠা অক্টোবরের পরের দিনটি হবে ১৫ই অক্টোবর। অর্থাৎ মাঝে ১০ দিন গায়েব হয়ে যাবে। মূলত এই উপায়ে সৌর বছরের মাঝে সময়ের যে ব্যবধান হয়েছিল সেটা দূর করা হয়।
এবং পরবর্তীতে যেন এই ভারসাম্যহীনতা আবার না ঘটে, সেজন্য তখন লিপ ইয়ারের প্রবর্তন করা হয়।
সময়ের হেরফের-
সময়কে মূলত গণনা করা হয়, দিন, মাস এবং বছরের হিসেবে। এই গণনা প্রক্রিয়া মানুষেরই আবিষ্কার। চন্দ্র আবর্তন অনুসরণ করে দেখা গেছে, দুইটি পূর্ণিমার মধ্যে কমবেশি সাড়ে ২৯ দিনের পার্থক্য থাকে।
অন্যদিকে, সৌর পরিভ্রমণ অনুযায়ী, পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘুরতে সময় নেয় কমবেশি ৩৬৫ দিন ছয় ঘণ্টার মতো।
তবে এটি এমন এক গণনা পদ্ধতি যা হেরফের হতে পারে। ইতিহাস জুড়ে বিভিন্ন শাসক এক বছরকে কয়েক মাসে ভাগ করেছেন। অর্থাৎ সব সময়ে ১২ মাসে এক বছর ছিল না, মাসের সংখ্যায় হেরফের ছিল।
ওই শাসকদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাহিদা-প্রয়োজন, বা তাদের ব্যক্তিগত ইচ্ছা অনুসারে সেই মাসগুলোয় বাড়তি দিন যোগ করা হতো নাহলে সরিয়ে নেয়া হতো।
ফলে সৌর বছরের সাথে এই ক্যালেন্ডারগুলোকে সমন্বয় করা প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে, যা উপেক্ষা করার উপায় ছিল না।
সম্রাট জুলিয়াস সিজার, প্রায় দুই হাজার বছর আগে, আমরা বর্তমানে যে ক্যালেন্ডার ব্যবহার করি তার অনুরূপ একটি ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করেছিলেন।
সেই তথাকথিত জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১২ মাসে এক বছর ছিল। এবং মাসগুলোর কিছু ৩০ দিন এবং কিছু ৩১ দিনে গণনা করা হতো।
শুধুমাত্র ফেব্রুয়ারি মাস গণনা হতো ২৮ বা ২৯ দিনে।
বছর শুরু হতো মার্চ মাস থেকে। কারণ এটি বসন্তের শুরু। এজন্য বছরের শেষ মাস ফেব্রুয়ারিকে লিপ ইয়ারের জন্য বেছে নেয়া হয়।
এক বছর যেহেতু ৩৬৫ দিন ছয় ঘণ্টায় হয়, তাই বাড়তি এই ছয় ঘণ্টাকে সমন্বয় করার জন্য সেই রোমান সময় থেকে লিপ ইয়ার চিহ্নিত করা হয়েছে।
গ্রেট গ্রেগরিয়ান লিপ-
এই গণনা শতাব্দী ধরে চলে আসছে, কিন্তু এই গণনা পদ্ধতি সঠিক নয়। সৌর বছর আসলে একটু ছোট - সুনির্দিষ্টভাবে বললে ১১ মিনিট ১৪ দশমিক ৭৮৪ সেকেন্ড কম। আদতে মনে হতে পারে এটি এমন কোন বড় পার্থক্য নয়, যা তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলতে পারে।
তবে বছরের পর বছর ধরে, এই বাড়তি মিনিট/ সেকেন্ড যোগ হয়ে সেটি বড় ব্যবধান তৈরি করে। এ কারণেই ত্রয়োদশ পোপ গ্রেগরি ১৫৮২ সালে তার ক্যালেন্ডারে থাকা অসঙ্গতিগুলো ঠিক করার জন্য কিছু পরিবর্তন এনেছিলেন।
এটি প্রধানত ধর্মীয় কারণে করা হয়েছিল, কেননা এই সময়ের ব্যবধানের কারণে কয়েকশ বছরে ইস্টারের সূচনা তিন দিন আগপিছ হয়ে যায়।
তবে যাই হোক না কেন, গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার এখন পর্যন্ত বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত মানসম্মত প্রতিষ্ঠিত ক্যালেন্ডার। যদিও সব দেশ একই সময়ে তা গ্রহণ করেনি।
যারা ক্যাথলিক চার্চের সাথে যুক্ত ছিল, প্রথমে তারা এই ক্যালেন্ডার গ্রহণ করে। পরবর্তী চার দশকে লিপ ইয়ার নির্মূল করার পরিবর্তে, তারা অক্টোবর মাস থেকে এক লাফে ১০ দিন কমিয়ে দেয়।
১৫৮২ সালে ৫ই অক্টোবর বৃহস্পতিবারের পরের দিন ১৪ই অক্টোবর শুক্রবার করা হয়।
অন্যান্য প্রোটেস্ট্যান্ট জাতি এবং সাম্রাজ্যগুলো শুরুতে এই ক্যালেন্ডার গ্রহণে অনিচ্ছুক ছিল, কিন্তু অবশেষে তারাও এই পরিবর্তিত ক্যালেন্ডার গ্রহণ করে।
যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং এর আমেরিকান উপনিবেশগুলো এই পরিবর্তন সাদরে গ্রহণ করে। তবে নতুন ক্যালেন্ডারে সমন্বয় করতে গিয়ে ১৭৫২ সালে তাদেরকেও ১২ দিন কমাতে হয়েছিল।
তারা দোসরা সেপ্টেম্বর থেকে এক লাফে ১৪ই সেপ্টেম্বরে পদার্পণ করে।
সুইডিশ পার্সিমনি এবং ৩০শে ফেব্রুয়ারির প্রবর্তন-
কিন্তু তার আগে, সুইডেন যখন গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়, তখন তারা হঠাৎ করে ওই দিনগুলোকে একসাথে বাদ দিতে চায়নি।
তারা ধীরে ধীরে এই পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়াকে উপযুক্ত বলে মনে করেছিল।
এজন্য তারা টানা ৪০ বছরের জন্য ফেব্রুয়ারির লিপ দিনগুলো এড়িয়ে যায়, যতক্ষণ না সেগুলো সামঞ্জস্যপূর্ণ হচ্ছে।
তাদের এতদিনের অনুসরণ করা জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে ১৭০০ সালে একটি লিপ ইয়ার ছিল, কিন্তু তারা ফেব্রুয়ারি মাস শুধুমাত্র ২৮ দিনেই কাটায়।
একইভাবে ১৭০৪, ১৭০৮ সাল লিপ ইয়ার হলেও তারা ফেব্রুয়ারি মাস ২৮ দিনেই সীমাবদ্ধ রাখতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু, ওই সময়ে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায় এবং অন্যান্য অগ্রাধিকারমূলক কাজের মধ্যে এই লিপ ইয়ার না কাটানোর পরিবর্তনের কথা তারা ভুলে যায়।
কয়েক বছর পরে, সম্রাট দ্বাদশ চার্লস বুঝতে পেরেছিলেন যে সুইডেনের ক্যালেন্ডারটি জুলিয়ান বা গ্রেগরিয়ান কোনটিই নয়।
এরপর তিনি ক্যালেন্ডার প্রণয়নে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন এবং আগের সব পরিবর্তন বাতিল করেন।
কিন্তু, যেহেতু তারা ইতিমধ্যেই ১৭০০ সালের অধিবর্ষ বাদ দিয়েছিল, তাই তিনি আদেশ দেন যেন ১৭১২ অর্থাৎ আরেকটি লিপ ইয়ারে ২৯শে ফেব্রুয়ারির পাশাপাশি আরেকটি অতিরিক্ত দিন যোগ করা হয়।
এভাবে জুলিয়াস সিজারের সময় থেকে ইতিহাসে প্রথম এবং একটিমাত্র বারের জন্য ৩০শে ফেব্রুয়ারি তারিখটি তৈরি করা হয়েছিল।
ওই ৩০শে ফেব্রুয়ারি যারা জন্মগ্রহণ করেছিলেন তাদের জন্ম তারিখ বা জন্ম দিন পালনের বিষয়ে কী হয়েছিল তা জানা যায়নি।
তবে তারা যে কোনদিনই সত্যিকারের জন্মদিন উদযাপন করতে পারেনি তাতে কোন সন্দেহ নেই।
শেষ পর্যন্ত, সুইডেন উত্তর ইউরোপে তার প্রতিবেশী দেশগুলোর উদাহরণ অনুসরণ করে।
দেশটি ১৭৫৩ সালে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার গ্রহণ করে এবং একই পদ্ধতিতে বছরে ১০ দিন এক সাথে ক্যালেন্ডার থেকে বাদ দিয়ে দেয়।
অন্যান্য ৩০শে ফেব্রুয়ারি-
তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৩০ থেকে ১৯৩১ সালের মধ্যে একটি বিপ্লবী ক্যালেন্ডার চালু করেছিল।
যেখানে পাঁচ দিনে এক সপ্তাহ নির্ধারণ করা হয়েছে। এবং সব মাস ধরা হয় ৩০ দিনে। এতে বছরের শেষে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় দিন বাড়তি থেকে যায়, যা 'ছুটি' হিসাবে বিবেচিত হয়।
সাত দিনের সপ্তাহ বাতিল করার উদ্দেশ্য ছিল সপ্তাহে ছুটির দিনের বাধা ছাড়াই শিল্প উৎপাদন উন্নত করা।
কিন্তু শিগগিরই এটি উপলব্ধি করা হয় যে, রবিবারের প্রথাগত বিশ্রামের অভ্যাস দূর করা কঠিন হবে এবং ধারণাটি এক পর্যায়ে বাতিল হয়ে যায়।
এদিকে, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীতে ৩০শে ফেব্রুয়ারি তারিখটি ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে।
রে ব্র্যাডবিউরির ছোট গল্প "দ্য লাস্ট নাইট অফ দ্য ওয়ার্ল্ড"-এ ৩০শে ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ ঘটনা ঘটবে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।
ব্রিটিশ লেখক জন রোনাল্ড রিয়েল টলকিয়েন তার ফ্যান্টাসি উপন্যাস ‘দ্য হবিট এবং দ্য লর্ড অফ দ্য রিংসে’ ৩০শে ফেব্রুয়ারির কথা উল্লেখ করেছেন।
তার বই অনুযায়ী হবিটরা একটি ক্যালেন্ডার তৈরি করে যেখানে ফেব্রুয়ারি মাস ছিল ৩০ দিনে।
তবে বাস্তব জগতেও এই তারিখের ব্যবহার হতে দেখা গিয়েছে। যখন কোন মানুষের মৃত্যুর তারিখ অজানা থাকে তখন তাদের সমাধি প্রস্তর বা এপিটাফে জন্ম তারিখ হিসেবে ৩০শে ফেব্রুয়ারি দিনটিকে রেকর্ড করা হয়।
ধর্মীয় রেফারেন্স ছাড়া ক্যালেন্ডার-
সংস্কারের এ ধারা আধুনিক ক্যালেন্ডারের পথ তৈরি করে দিয়েছে, যা আমরা বর্তমানে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার হিসাবে জানি।
সর্বশেষ সংস্কারের পর থেকে ক্যালেন্ডার ব্যবস্থায় কোনো নতুন পরিবর্তন হয়নি।
যদিও ফ্রান্সের মতো কিছু দেশে নতুন এই ক্যালেন্ডার সংশোধনের জন্য আন্দোলন হয়েছিল।
তবে, ১৭৯২ সালে ফরাসি বিপ্লব চলাকালে দেশটি তাদের গণিতবিদ গিলবার্ট রোমের ডিজাইন করা একটি 'প্রজাতন্ত্রী' ক্যালেন্ডার গ্রহণ করে।
এই ক্যালেন্ডারে ধর্মীয় রেফারেন্স বাদ দেওয়া হয় এবং মাসগুলোর নতুন নাম দেওয়ার চেষ্টা করা হয় – নতুন নামে প্রাকৃতিক ঘটনা এবং কৃষি খাতের নানা বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ক্যালেন্ডারের নতুন এ সংস্করণের স্থায়িত্ব ছিল খুব সংক্ষিপ্ত।
এরপর ১৮১৪ সালে নেপোলিয়নের উৎখাতের পর, ফ্রান্স দ্রুতই ত্রয়োদশ গ্রেগরির তৈরি এবং জুলিয়াস সিজারের সংস্করণের ক্যালেন্ডারে ফিরে আসে।
সূত্র : বিবিসি
এইচএসসি হবে দুইবার, পাল্টাচ্ছে এসএসসি পরীক্ষাও
এ বছরের জানুয়ারি থেকেই শুরু হয়েছে নতুন কারিকুলামে পাঠদান। নতুন কারিকুলামে শুধু দশম শ্রেণির সিলেবাসে হবে এসএসসি পরীক্ষা। আর একাদশ ও দ্বাদশে দুইবার হবে এইচএসসি পরীক্ষা।
নতুন কারিকুলামে এসএসসি ও এইচএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষা কেমন হবে এখন সবার প্রশ্ন এটাই।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষা নেওয়ার সঙ্গে যুক্ত বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলছেন, নতুন কারিকুলামে এসএসসি পরীক্ষা হবে শুধুমাত্র দশম শ্রেণির সিলেবাসের ভিত্তিতে, আর নবম শ্রেণির শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে।
তিনি বলেন, একাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় ৭০ শতাংশ এবং শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে ৩০ শতাংশ। একইভাবে দ্বাদশ শ্রেণির মূল্যায়নও করা হবে।
অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, এসএসসি ও এইচএসসি পর্যায়ে দুই শ্রেণি একসাথে পরীক্ষা না নেওয়ায় শিক্ষার্থীদের ওপর পরীক্ষার বোঝা কমবে। নতুন কারিকুলামের মূল চিন্তা হচ্ছে শিক্ষার্থীরা প্র্যাকটিকালি শিখবে। নিজেদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর ফলে শিক্ষার্থীদের ওপর মুখস্থ করার চাপ কমবে, পরীক্ষার বোঝাও কমবে।
শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল জানিয়েছেন, এসএসসি ও এইচএসসির মূল্যায়ন পদ্ধতি সহজতর করতে চেষ্টা করা হচ্ছে। মূল্যায়ন পদ্ধতিতে আসতে পারে সংস্কার।
প্রসঙ্গত, নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী ২০২৬ সালের এসএসসি ও ২০২৮ সালে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
টেলিগ্রাম থেকে টাকা আয় করবেন যেভাবে
টেলিগ্রাম বর্তমানে একটি জনপ্রিয় অ্যাপ। অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার মতো টেলিগ্রাম অনেকেই ব্যবহার করেন। কিন্তু তা থেকে টাকা উপার্জন করার উপায় খুবই কম। তবে সেই ছবি পালটাতে চলেছে কোম্পানি।
টেলিগ্রামের সিইও জানান, টেলিগ্রাম থেকে এবার মোটা টাকা আয় করতে পারবেন চ্যানেল মালিকরা।
প্ল্যাটফর্মটি কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের পাশাপাশি সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য একাধিক ফিচার আনতে চলেছে কোম্পানি। চ্যাটিংয়ের পাশাপাশি গ্ৰুপ ও চ্যানেলেও দারুণ সব সুবিধা যোগ হবে এমনটা ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। হোয়াটসঅ্যাপকে জোর টেক্কা দিচ্ছে মেসেজিং অ্যাপ; যা এখন আর শুধু মেসেজিংয়ে সীমাবদ্ধ নেই, হয়ে উঠেছে ওপেন সোর্স প্ল্যাটফর্ম।
সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, টেলিগ্রাম চ্যানেল মালিকেরা বিভিন্ন উপায়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। মেসেজিং অ্যাপে ব্যবহারকারীদের অ্যাড দেখানো হবে। সেখান থেকে আয় করা টাকার একটি বড় অংশ দেওয়া হবে চ্যানেল মালিকদের। তিনি জানিয়েছেন, অ্যাড থেকে আসা রেভেনিউয়ের অর্ধেক দেওয়া হবে চ্যানেল মালিকদের।
এছাড়াও ফাইন্যান্সিয়াল রিওয়ার্ড দেওয়া হবে তাদের। টিওএন ব্লকচেইনের ভিত্তিতে তৈরি হবে অ্যাড প্ল্যাটফর্ম। টোনকয়েন ক্রিপটোকারেন্সিতে এই রিওয়ার্ড পাবেন তারা। ১০০টি দেশে কন্টেন্ট এবং টেলিগ্রাম চ্যানেল মনিটাইজ করার অপশন আনা হচ্ছে। যার ফলে লাভবান হবেন টেলিগ্রামের কন্টেন্ট ক্রিয়েটর।
এক নজরে দেখে যাক কীভাবে টেলিগ্রাম থেকে আয় করা সম্ভব-
চ্যানেলে অ্যাড দিন : চ্যানেলে অ্যাড দিয়ে টেলিগ্রাম থেকে প্রচুর আয় করা সম্ভব। ইদানিং টেলিগ্রাম ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। আপনার চ্যানেলটি যারা সাবস্ক্রাইব করবে, তাদের ওই বিজ্ঞাপন দেখাবে। এর ফলে লাভ হবে আপনার।
ভার্চুয়াল টেলিগ্রাম অ্যাসিট্যান্ট : টেলিগ্রাম থেকে অর্থ আয় করতে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হতে পারেন আপনি। একজন ভার্চুয়াল টেলিগ্রাম অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে আপনাকে টেলিগ্রাম ব্যবহারকারীদের সাহায্যের করতে হবে। এর জন্য আপওয়ার্ক বা ফাইভারে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে প্রথমে। এই কাজ করতে পারলেই মোটা টাকা আয়ের সুযোগ আছে।
অনলাইন ক্লাস : টেলিগ্রামের মাধ্যমে খুব সহজেই অনলাইন ক্লাস করানো যায়। এর জন্য একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। তারপর সেখানে ছাত্রছাত্রীদের যোগ করুন। একবার যোগ হলে তারা সহজেই আপনার পোস্টগুলো দেখতে পারবে।
চ্যানেল তৈরি করুন : সবার কাজে লাগে এমন একটি বিষয় নিয়ে চ্যানেল বানান। তাতে কন্টেন্ট আপলোড করুন নিয়মিত। চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করতে হলে একটি মূল্য ধার্য করুন। এতেই বাড়বে আয়ের পরিমাণ।
দেশে কওমি মাদরাসা থাকা নিয়ে নিজের বক্তব্য তুলে ধরলেন শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, কওমি মাদরাসা বাংলাদেশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীদেরও যাতে কর্মসংস্থান হয় সেটাও আমরা চাই। এ জন্য তাদের সঙ্গে কাজ করতে চাই।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিকেলে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
গত ৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া জেলা প্রশাসক সম্মেলনের প্রথম দিন কওমি মাদরাসা নিয়ে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। তার এ বক্তব্যকে বিকৃত করে একটি রাজনৈতিক দল প্রচার করছে বলে দাবি করেন তিনি।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একটি জেলা থেকে একটি আলোচনা এসেছিল, অনিবন্ধিত, নাম-পরিচয়হীন নুরানি মাদরাসার নামে কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। সেগুলো নিবন্ধনের প্রক্রিয়া কী? সেই প্রেক্ষিতে আমি বলেছিলাম, যেসব নুরানি মাদরাসা গড়ে উঠছে, সেগুলোর যথাযথ নিবন্ধন আছে কি না, সেগুলোতে কীভাবে শিক্ষাক্রম পরিচালিত হচ্ছে? অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যাতে সাংঘর্ষিক না হয়, সে বিষয়ে আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব, কীভাবে তা ইউনিফরমিটির মধ্যে আনা যায়।
বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, নুরানি বা কওমি মাদরাসার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে এবং সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে—এই ধরনের মন্তব্য (কওমি মাদরাসা বন্ধ) আমি করিনি। এই আলোচনা সৃষ্টি করে এক পক্ষ গুজব রটাচ্ছে। গুজব রটিয়ে কওমি মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মধ্যে এক ধরনের উত্তেজনা সৃষ্টির নোংরা অপচেষ্টা করছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তারা আগে আরও অনেক ধরনের মানহানিকর এবং আপত্তিকর কথা বলছে।
তিনি বলেন, বারবার বলছি, কওমি মাদরাসা বাংলাদেশে আছে, অবশ্যই থাকবে। কারণ আমরা আইন দিয়ে কওমি মাদরাসা শিক্ষাকে স্বীকৃতি দিয়েছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কওমি মাদরাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ ডিগ্রি দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স স্বীকৃতি দিয়েছেন। কওমি মাদরাসা বাংলাদেশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু সেখানকার শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও ন্যূনতম লিটারিসির কথা বলছি, তারা যাতে কর্মসংস্থান পায়, সে সমস্ত বিষয় নিশ্চিত করার জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করতে চাচ্ছি, আগামীতেও কাজ করব। তাদের বারবার আমন্ত্রণও জানিয়েছি। এখানে মাদরাসা বন্ধ করে দেওয়ার মতো কথা কেউ কখনো বলেননি।
তিনি আরও বলেন, একটি পরিকল্পনার মধ্যে থেকে, নিবন্ধনের মধ্যে থেকে, কী পড়ানো হচ্ছে সেসব প্রতিষ্ঠানগুলোতে, আমার শিক্ষার্থী, আমাদের এই প্রজন্মকে কী পড়াচ্ছি, সেটা জাতীয় শিক্ষাক্রম হোক, কওমি মাদরাসা হোক বা ইংরেজি মাধ্যমে হোক, সেটির ওপর রাষ্ট্রের নজর তো অবশ্যই থাকতে হবে। রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কিছু যদি পড়ানো হয়, সেটা যেকোনো প্রতিষ্ঠানে হোক; আমরা দেখেছি, অনেক পাবলিশিং হাউজের নাম করে উসকানি দেওয়ার জন্য বই ছাপানো হয়েছে এবং পড়ানো হচ্ছে, সেগুলো আমাদের অবশ্যই দেখতে হবে এবং ব্যবস্থা নিতে হবে।
ফেসবুকের সমস্যা নিয়ে ইলন মাস্কের হাস্যরস
মেটার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার ও ইনস্টাগ্রামের বিভ্রাট নিয়ে রসিকতা করেছেন এক্সের (সাবেক টুইটার) মালিক মাস্ক।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাত ৯টার পর থেকে ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারে সমস্যার সম্মুখীন হন এর ব্যবহারকারীরা। বিশ্বজুড়ে অনেকের আইডি লগআউট হয়ে যায়। তারা পুনরায় লগিন হতেও পারছিলেন না।
এর কিছুক্ষণ পর মেটার মুখপাত্র অ্যান্ডি স্টোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বলেন, ‘মানুষ আমাদের পরিষেবাগুলো ব্যবহারে সমস্যায় পড়ছেন- এ বিষয়ে আমরা অবগত। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি।’
এরপর অ্যান্ডি স্টোনের এই পোস্টের স্ক্রিনশটসহ এক্সে একটি ছবি শেয়ার করেন ইলন মাস্ক।
তার পোস্ট করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি পেঙ্গুইনকে স্যালুট করছে তিনটি পেঙ্গুইন। যে তিনটি পেঙ্গুইন স্যালুট করছে তাদের গায়ে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম আর থ্রেডের লোগো। যেগুলো মেটার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। আর যেই পেঙ্গুইনকে স্যালুট দেওয়া হচ্ছে সেটির গায়ে ইলন মাস্কের এক্সের লোগো। এতে আর বুঝতে বাকি নেই মাস্ক ছবিটির মাধ্যমে কী বুঝাতে চেয়েছেন।
এক্সে করা ইলন মাস্কের ওই পোস্টটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। এক্সে এই মুহূর্তে ট্রেন্ডে আছে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং মার্ক জাকারবার্গ।
ফেসবুক ও মেসেঞ্জারে এখন যা করা যাবে না
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাত ৯টার পর থেকে হঠাৎ ফেসবুকে বিভ্রাট দেখা দেয়। একইসঙ্গে ইনস্টাগ্রামও কাজ করছিল না। তবে রাত সোয়া ১০টার পর থেকে পুনরায় অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারছেন ব্যবহারকারীরা। তবে ফেসবুক ও মেসেঞ্জারে এখন কিছু কাজ করতে নিষেধ করেছেন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।
ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান ডাউন ডিটেকটরের গ্রাফে দেখা গেছে, রাত ৯টা থেকে ৯টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত ৩ লাখ ৫২ হাজার ২৯ জন ফেসবুক ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন তারা ফেসবুক ব্যবহারে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।
ব্যবহারকারীরা জানান, রাত ৯টার পর হঠাৎ করেই তাদের ফেসবুক আইডি লগআউট হয়ে গেছে। শুধু মুঠোফোন ব্যবহারকারীরা নয়, কম্পিউটারে ফেসবুক ব্যবহারকারীরাও একই সমস্যায় পড়েছেন।
অনেকে পুনরায় লগিন হওয়ার চেষ্টা করলে পাসওয়ার্ড ভুল দেখায়। কেউ কেউ পাসওয়ার্ড রিসেট করার পরও লগিন হতে পারেননি। ফেসবুকে প্রবেশ করতে না পেরে ব্যবহারকারীদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দেয়।
রাত ১০টার দিকে থ্রেডসে এক বার্তায় মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সবাইকে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করতে বলেছেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফেসবুকের সমস্যা দূর হয়। আবার এটি ব্যবহার করা যাচ্ছে, তবে ইনস্টাগ্রাম ও মেসেঞ্জার এখনো ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণের ওয়েবসাইট ডাউনডিটেক্টরে আজ রাত ৯ টা থেকে ৯টা ৫৩ মিনিট পর্যন্ত ৪ লাখ ৬১ হাজা ৪৮ জন ব্যবহারকারী হুট করে লগ–আউট হয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষক জেনিফার আলম বলেন, সারা পৃথিবীতে এই সমস্যা হচ্ছে। অ্যাকাউন্ট লগ–আউট হয়ে যাওয়া, দ্বিস্তরের যাচাই পদ্ধতি (টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন) কাজ করছেনা ইত্যাদি সমস্যা দেখা যাচ্ছে।
এই অবস্থায় ব্যবহারকারীদের কিছু বিষয়ে সচেতন থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। তারা ফেসবুক ব্যবহারকারিদের কিছু কাজ করতে নিষেধ করেছেন।
তারা বলছেন, এখন ফেসবুক পেইজে ফরগেট পাসওয়ার্ডে ক্লিক না করা। ফেসবুক অ্যাপ আনইন্সটল করা যাবে না। এছাড়া বারবার টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশনের কোড না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। পাশিাপাশি অ্যাপের ডেটা ক্লিয়ার না করার পরামর্শ দিয়েছেন।
এক ঘণ্টায় ফেসবুকের কত ক্ষতি হলো?
মেটা দ্বারা পরিচালিত প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, থ্রেড এবং মেসেঞ্জার সাময়িক সার্ভার ত্রুটির কারণে এক ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর আবারও সচল হয়।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাত ৯টার পর থেকে হঠাৎ ফেসবুকে বিভ্রাট দেখা দেয়। একইসঙ্গে ইনস্টাগ্রাম-থ্রেডও কাজ করছিল না। তবে রাত সোয়া ১০টার পর থেকে পুনরায় অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারেন ব্যবহারকারীরা। এই এক ঘণ্টায় প্রতিষ্ঠানটির কতটা ক্ষতি হয়েছে তা জানা গেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী মেটার এসব মাধ্যম এক ঘণ্টা বন্ধ থাকায় মেটার শেয়ারের দামও ১.৫ শতাংশ কমে গেছে। একই সঙ্গে এর কারণে মার্ক জাকারবার্গ প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার রাজস্ব হারিয়েছেন।
এর আগে ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান ডাউন ডিটেকটরের গ্রাফে দেখানো হয়েছিল, রাত ৯টা থেকে ৯টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত ৩ লাখ ৫২ হাজার ২৯ জন ফেসবুক ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন তারা ফেসবুক ব্যবহারে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।
ব্যবহারকারীরা জানান, রাত ৯টার পর হঠাৎ করেই তাদের ফেসবুক আইডি লগআউট হয়ে গেছে। শুধু মুঠোফোন ব্যবহারকারীরা নয়, কম্পিউটারে ফেসবুক ব্যবহারকারীরাও একই সমস্যায় পড়েছেন।
অনেকে পুনরায় লগিন হওয়ার চেষ্টা করলে পাসওয়ার্ড ভুল দেখায়। কেউ কেউ পাসওয়ার্ড রিসেট করার পরও লগিন হতে পারেননি। ফেসবুকে প্রবেশ করতে না পেরে ব্যবহারকারীদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দেয়।
রাত ১০টার দিকে থ্রেডসে এক বার্তায় মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সবাইকে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করতে বলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফেসবুকের সমস্যা দূর হয়।
এদিকে সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষক জেনিফার আলম বলেন, সারা পৃথিবীতে এই সমস্যা হচ্ছে। অ্যাকাউন্ট লগ–আউট হয়ে যাওয়া, দ্বিস্তরের যাচাই পদ্ধতি (টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন) কাজ করছেনা ইত্যাদি সমস্যা দেখা যাচ্ছে।
এই অবস্থায় ব্যবহারকারীদের কিছু বিষয়ে সচেতন থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। তারা ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কিছু কাজ করতে নিষেধ করেছেন।
তারা বলছেন, এখন ফেসবুক পেইজে ফরগেট পাসওয়ার্ডে ক্লিক না করা। ফেসবুক অ্যাপ আনইন্সটল করা যাবে না। এছাড়া বারবার টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশনের কোড না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি অ্যাপের ডেটা ক্লিয়ার না করার পরামর্শ দিয়েছেন।