হজের ফজিলত ও করণীয়
ফজিলত : হজের অনেক ফজিলত রয়েছে, যা আমরা কমবেশি সবাই কিছু না কিছু জানি। তাই আসুন আমরা কিছু ফজিলত জেনে নেই। হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে হজ গুনাহ এবং খারাপ থেকে পবিত্র করে, আর জান্নাতই হলো তার পুরস্কার।
(বুখারী ও মুসলিম শরীফ)
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে আরো বর্ণিত আছে। তিনি বলেন নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হজ করে এবং হজের সময় অশ্লীল কথা ও কাজ এবং পাপাচার থেকে বিরত থাকে সে মায়ের পেট থেকে জন্মগ্রহণের দিনের ন্যায় নিষ্পাপ হয়ে ফিরে আসে।
(বুখারী ও মুসলিম শরীফ)
প্রথম হাদিসে উল্লেখ আছে, ‘ জান্নাতই হলো তার জন্য পুরস্কার। আর দ্বিতীয় হাদিসে উল্লেখ আছে, সে শিশু বাচ্ছার ন্যায় নিস্পাপ হয়ে যাবে।
এর চেয়ে বেশি ফজিলত আর কী হতে পারে। আকবর হজের ফজিলত সম্পর্কিত আরো বহু হাদিস আছে। অন্য একটি হাদিসে কত সুন্দরভাবে পুরস্কারের কথা বলা হয়েছে।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, একাধারে হজ ওমরাহ করতে থাকো। এটা পাপ ও দরিদ্রতাকে এমনভাবে মিটিয়ে দেয়, যেমন আগুন লোহার ময়লা দূর করে দেয়। (তিরমিজি ও নাসারি শরীফ)
আমরা যেনো হজ করেই সীমাবদ্ধ না হই। আমাদের ওমরাহ হজও করতে হবে। সামর্থবানদের জন্য একবার হক যেমন ফরজ, ঠিক তেমনি ওমরাহ করাও জীবনে একবার সুন্নাত।
হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এক ওমরার পর আরেক ওমরা করলে দুই ওমরার মধ্যেবর্তী সব গুনাহ মোচন হয়ে যায়।
(বুখারী ও মুসলিম শরীফ)
হাজীদের করণীয় : প্রথমেই নিয়ত খালেছ করে নিবেন। অর্থ্যাৎ একমাত্র আল্লাহকে রাজি-খুশি করার নিয়ত রাখবেন। নাম শোহরাত বা নাম ফুটানো, দেশ ভ্রমণ, হাজী উপাধি ইত্যাদি নিয়ত রাখবেন না। খাঁটি অন্তরে তওবা করতে হবে। সফর থেকে ফিরে আসা পর্যন্ত সময়ের জন্য পরিবার ও অধীনস্তদের প্রয়োজনীয় খরচের ব্যবস্থা করে যেতে হবে। কোনো ঋণ নগদ আদায় থাকলে পাওনাদারের অনুমতি ব্যতীত হজে গমন করা মাকরুহ।
নিজের কাছে কারো আমানত থাকলে তা মালিককে বুঝিয়ে দিয়ে যাওয়া অপরিহার্য।
আল্লাহ আমাদের সকলকে কবুল করুন।
(আমিন)
মন্তব্য করুন