• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মুক্তামনির অস্ত্রোপচার সম্পন্ন

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৫ আগস্ট ২০১৭, ১১:১৭

বিরল রোগে আক্রান্ত মুক্তামনির বায়োপসি সম্পন্ন হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টা পর তার রিপোর্ট পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন বার্ন ও সার্জারি বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।

শনিবার সকাল ১০টায় তার বায়োপসি সম্পন্ন হয়। এর আগে সকাল ৭টা ৫০মিনিটে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়। এর পর প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে সকাল সাড়ে ৯টায় অস্ত্রোপচার শুরু হয়।

অপারেশনের পর বার্ন ইউনিউটের পরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, বায়োপসির জন্য মুক্তামনির হাত থেকে টিস্যু সংগ্রহ করা হয়েছে। সেটা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। মুক্তামনির বায়োপসির রিপোর্ট আসার পর পরবর্তী করণীয় বিষয় নিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড ৭ আগস্ট আবারো বসবে।

মুক্তামনিকে এখন আইসিইউতে রাখা হয়েছে, বিকেলে কেবিনে স্থানান্তর করা হতে পারে।

এদিকে মুক্তামনির অপারেশন যাতে সফল হয় সেজন্যে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন মুক্তামনির মা আসমা খাতুন ও বাবা ইব্রাহিম হোসেন।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মুক্তামণিকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা করাতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। কিন্তু সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডাক্তার বি.কে টাং তার অস্ত্রোপচারে অপারগতা প্রকাশ করেন। এরপরই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল তার অস্ত্রোপচারের উদ্যোগ নেই।

এবিষয়ে ডা. সামন্ত লাল বলেন, গেলো মাসের ২৪ ও ২৫ তারিখ তার রোগ বিষয়ে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান বি. কে ট্যাংয়ের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কয়েক ঘণ্টা কথা হয়।

ভিডিওতে মুক্তামণিকে দেখানো হয়। সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাগজপত্রও দেয়া হয়। কিন্তু ২৮ জুলাই ডাক্তার বি.কে ট্যাং সাফ জানিয়ে দেন তাদের পক্ষে মুক্তামণির চিকিৎসা করা সম্ভব নয়।

সামন্ত লাল সেন বলেন, ১২ বছর বয়সী মুক্তামণি প্রায় ১ মাস ধরে বার্ন ইউনিটে ভর্তি রয়েছে। তার ডান হাতে গাছের ছালের মতো বিরাট একটি স্তূপ রয়েছে, যার ওজন প্রায় ৮/১০ কেজি হবে। একই সঙ্গে এ রোগটি তার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে।

সাতক্ষীরার সদর উপজেলার কামারবায়সা গ্রামের মুদি দোকানি ইব্রাহীম হোসেনের মেয়ে মুক্তামনি(১২)। জন্মের দেড় বছর পর মুক্তামনির দেহে একটি ছোট মার্বেলের মতো গোটা দেখা দেয়। এরপর থেকে সেটি বাড়তে থাকে। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়েও তার কোনো চিকিৎসা হয়নি।

সম্প্রতি মুক্তামনির এই বিরল রোগ নিয়ে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপরই তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসার উদ্যোগ নেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

গেলো ১১ জুলাই মুক্তামনিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে ৬০৮ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন।

এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh