• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

হাইকোর্ট কেন রাখবেন, উঠিয়ে দেন : প্রধান বিচারপতি

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ৩০ জুলাই ২০১৭, ১৮:১৩

নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট যে সুপারিশ করেছে আইনমন্ত্রণালয় দিয়েছে তার উল্টোটা। এরকম হলে হাইকোর্ট কেন রাখবেন? উঠিয়ে দেন। বললেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।

রোববার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ মাসদার হোসেন মামলার শুনানিতে এসব কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, আইনমন্ত্রী আসলেন, কথা হলো। উনি খসড়া দিয়ে গেলেন। আমি তো খুশি হয়ে গেলাম। যদিও খসড়া খুলে দেখিনি। কিন্তু এটা কী। এখানে বলা হলো ‘উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ’। এটার মানে কী? সব আইনে ব্যাখ্যা থাকে। কিন্তু এখানে কোনো ব্যাখ্যা নেই।

এখানে বলা হলো, কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত হবে। তাহলে হাইকোর্টের তো কিছু থাকলো না। সব মন্ত্রণালয়ের। ১৮৬১ সালে কলকাতা হাইকোর্ট হয়েছে। তখন থেকে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকরা নিম্ন আদালত পরিদর্শন করেন। এ ব্যবস্থা চলে আসছে। তাহলে হাইকোর্ট কেন রাখবেন। হাইকোর্ট উঠিয়ে দেন।

এসকে সিনহা বলেন, শৃঙ্খলাবিধির বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসেন। রোববার থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে আমি এবং আপিল বিভাগের বিচারপতিরা রাত ১২টা পর্যন্ত আপনাদের সময় দেবো।

বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণবিধি নিয়ে আর রশি টানাটানি নয়। আইনমন্ত্রীসহ সরকারের যেকোনো এক্সপার্ট আসবেন, বৈঠকে বসবো। অ্যাটর্নি জেনারেল আপনিও থাকবেন।

এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমি থাকবো না। তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনি সাক্ষী হিসেবে থাকবেন। আসছে ৬ আগস্ট এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে।

নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধি গেলো ২৭ জুলাই বিকেলে প্রধান বিচারপতির হাতে তুলে দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

প্রধান বিচারপতি বলেন, খসড়ায় বলা হয়েছে, সরকার নির্ধারিত তারিখে বিধিমালার গেজেট কার্যকর হবে। অথচ মাসদার হোসেন মামলার রায়ে আদালত বলেছে, সুপ্রিম কোর্টে পরামর্শ মোতাবেক গেজেট হবে। কিন্তু আমরা কী দেখলাম? আমরা যেটা বলেছি তার উল্টোটা খসড়া করে পাঠিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। মাসদার হোসেন মামলার রায়ের ১৬ বছরে এটা হয়নি। আর নির্ধারিত তারিখে গেজেট না হলে এটি ১৬শ’ বছরেও হবে না।

এইচটি/জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh