মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ড বহাল, রিভিউ খারিজ
ফাঁসির রায়ের পুনর্বিবেচনা (রিভিউ ) চেয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মীর কাসেম আলীর আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর মধ্য দিয়ে আইনী চূড়ান্ত রায়ের অপেক্ষা শেষ। বহাল থাকল যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ড।
মঙ্গলবার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চে এই রায় দেন।
মীর কাসেমের আবেদনের ওপর দু’দিনের শুনানি শেষ গেল রোববার। পরে রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখা হয়।
মঙ্গলবার চূড়ান্ত রায়ে জামায়াতের বিত্তশালী এ নেতার মামলার নিষ্পত্তি হল।
রিভিউ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন মীর কাসেম আলীর প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিনে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
২০১৪ সালের ২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মীর কাসেম আলীর মুত্যুদণ্ড দেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর দেয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে গেল ৮ মার্চ তার আপিল মামলার সংক্ষিপ্ত রায় দেন সর্বোচ্চ আদালত। গেল ৬ জুন ২৪৪ পৃষ্ঠার পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়।
রায়টি রাতেই বিচারিক আদালতে গেলে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন বিচারিক আদালত ট্রাইব্যুনাল। এর পর পরই মৃত্যু পরোয়ানাসহ পূর্ণাঙ্গ রায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসহ স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়, ঢাকার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট (জেলা প্রশাসক) কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
৭ জুন সকালে কাশিমপুর কারাগার পার্ট-২ এর কনডেম সেলে থাকা কাসেম আলীকে মৃত্যু পরোয়ানা ও পূর্ণাঙ্গ রায় পড়ে শোনানো হয়।
গেল ১৯ জুন ৬৮ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদন করেন মীর কাসেম আলী। এরপর শুনানির দিন ২৫ জুলাই ঠিক হলেও আসামিপক্ষের সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে একমাস পিছিয়ে ২৪ আগস্ট পুনর্নির্ধারণ করেন আপিল বিভাগ।
এর পর ২৪ আগস্ট ও ২৮ আগস্ট রিভিউ আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
৩০ আগস্ট রায়ে রিভিউ আবেদন খারিজ হয়।
আপিলে মীর কাসেমের ছ’টি অভিযোগে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়। একটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড হয়। অভিযোগটি হচ্ছে কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিমকে হত্যা।
- ফাঁসি বহালে সন্তুষ্ট মানিকগঞ্জবাসী
- মীর কাসেমের যত অপরাধ
- ‘মিথ্যা সাক্ষ্যের ওপর সাজা হয়েছে’
- ফাঁসি বহালে খুশি আওয়ামী লীগ
- বুধবার সারাদেশে জামায়াতের হরতাল
- ‘প্রাণ ভিক্ষা ছাড়া অন্য পথ নেই’
- কার্যতালিকার প্রথমে মীর কাসেমের রিভিউ আবেদন
মন্তব্য করুন