প্রতিটি বাড়িই হবে একেকটি ভার্চুয়াল বিদ্যালয় : এনআই খান (ভিডিও)

দর্শকপ্রিয়তায় কোটির কোটায় এখন আরটিভি ফেসবুক ফ্যানপেজ। কোটি ছাড়িয়ে এ সংখ্যা শত কোটিতে পৌঁছাবে। সবক্ষেত্রে সারাদেশ এগিয়ে যাবে ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে। এমনই আশা জানালেন বিশিষ্টজনরা।

আরটিভির এ পথচলায় কোটি ভক্ত সঙ্গী হওয়ার উদযাপন অনুষ্ঠানে অতিধি ছিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে আরটিভির অগণিত ভক্ত ও আরটিভি কর্তৃপক্ষকে অভিনন্দন জানান বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব নজরুল ইসলাম খান।

এনআই খান বলেন, আনন্দ ভাগাভাগি করলে বাড়ে। আমি আরটিভিতে মাঝে মাঝে আসি । আরটিভি’র ফেসবুকের ভক্তর সংখ্যা ১ কোটি ছাড়িয়ে যাবার আনন্দে আমিও আনন্দের ভাগ নিচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, আমি কখনো ভাবিনি ফেসবুক লাইভ হবে। প্রতিটি মানুষ যাদের ফেসবুক আছে তারা টেলিভিশনের মালিক হবে। টেলিভিশনে শুধু একদিকে কথা বলা যায়, কিন্তু ফেসবুকে বহু লোকে প্রশ্ন করতে পারে, জবাবও দেয়া যায়। এমনটা হবে সেটা আমি ভাবিনি।

তবে ভেবেছিলাম আমাদের প্রতিটি বাড়িতে হাই-স্পিড ইন্টারনেট কানেকশন থাকবে। তারা সবাই ফেসবুক, ইউটিউব ব্যবহার করতে পারবে। তারা শিখতে পারবে বাড়ি বসে। প্রতিটি বাড়ি একেকটি ভার্চুয়াল স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় হবে। আজ তাই হচ্ছে। তবে গ্রাম আর শহরের বৈষম্য আজও রয়ে গেছে। গ্রামে নেটের স্পিড খুব কম। ২০১৫ সালের আইসিটি পলিসিতে বলা আছে প্রতিটি বাড়িতে হাই-স্পিড ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করতে হবে।

সেই স্বপ্নটা মনে হয় অনেকে বাস্তবায়নে মনোযোগী হননি। অথবা সেই স্বপ্নটা আমরা সবাই মিলে দেখছি না। স্বপ্ন সবাই মিলে দেখতে হয়। একা নেতা দেখলে হয় না। নেতার সঙ্গে অনুসারীদেরও স্বপ্নকে ভাগাভাগি করে নিতে হয়। যেমনটি বঙ্গবন্ধু করেছিলেন, আর এখন যেমনটি করছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।

২০০৯ সালে যাত্রা শুরু করেছিল দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভির ফেসবুক ফ্যানপেজ । মাত্র ৮ বছরের মাথায় সেই পেজে ফ্যান বা ভক্তের সংখ্যা এক কোটির মাইলফলক অতিক্রম করলো। বাড়তি বিজ্ঞাপন বা প্রচার কৌশল ব্যবহার না করেই গ্রহণযোগ্য সংবাদ-বিনোদন দিয়ে অনেকটা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ক্রমাগত দর্শক-পাঠকদের আগ্রহেই অর্জন করেছে এ মাইলফলক।

যাত্রা শুরুর পর খুব দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করে পেজটি। লাইক-কমেন্ট-শেয়ারের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়তে থাকে ফ্যানপেজটি। ২০১৪ সালে যাচাই-বাছাই করে পেজের যথার্থতা নিশ্চিত করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রথম কোনো চ্যানেল হিসেবে ফেসবুক পেজে ভেরিফাইড হয় আরটিভি।

বর্তমানে ফেসবুকে বাংলাদেশে টিভি ক্যাটাগরিতে আরটিভি শীর্ষে অবস্থান করছে। পাশাপাশি মিডিয়া ক্যাটাগরিতে তৃতীয় এবং সব ক্যাটাগরি মিলিয়ে সপ্তমে অবস্থান নিয়েছে।

এছাড়া বিশ্বে টিভি ক্যাটাগরিতে ৬০তম ও মিডিয়া ক্যাটাগরিতে ১৩১তম অবস্থানে আছে আরটিভি। এই বিভাগে এক নম্বরে আছে ফেসবুক, ন্যাশনাল জিওগ্রাফি চ্যানেল, ইউটিউবের মতো প্রতিষ্ঠান।

এপি/এমকে