• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

'৫ নম্বর কেটে নেয়া মানে মেডিক্যালে ভর্তির সুযোগ না দেয়া'

জয়নুল আবেদীন, চট্টগ্রাম

  ০৮ জুন ২০১৭, ২০:০৭

মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর থেকে ৫ নম্বর কেটে নেয়ার সিদ্ধান্তকে প্রহসনমূলক জানিয়ে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ করেছে দ্বিতীয়বার মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণেচ্ছু শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ম বাতিলের দাবিতে দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানবনন্ধনে তারা ক্ষোভের কথা জানান।

দুপুর ১২টা থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে শতশত শিক্ষার্থীরা প্রেসক্লাবের সামনে এসে জড়ো হন।

বিভিন্ন শ্লোগান লেখা প্লেকার্ড ও ব্যানার হাতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করতে থাকেন। এসময় প্রেসক্লাবের সামনে সৃষ্টি হয় যানজট।

'শুরুতেই ৫ নম্বর কেটে ফেললে পরীক্ষা দিয়ে লাভ কি' 'স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের হটকারী সিদ্ধান্ত বাতিল কর করতে হবে' এ ধরণের নানা শ্লোগান শিক্ষার্থীদের হাতে ছিল। শিক্ষার্থীদের এই বিক্ষোভের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে অনেক অভিভাবকও শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে অংশ নেন।

দ্বিতীয়বারের মতো মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক শিক্ষার্থী ওমর ফারুক আরটিভি অনলাইনকে জানান, ভর্তি পরীক্ষার ৪ মাস আগেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেয় দ্বিতীয়বার পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর থেকে ৫ নম্বর কেটে নেয়া হবে। এটি একটি হঠকারী সিদ্ধান্ত। সারা বছর মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। এ সিদ্ধান্তের কারণে আমাদের মাথায় বাজ পড়েছে। হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্ত আমাদেরকে মানসিকভাবে দূর্বল করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, ৫ নম্বর কেটে নেয়া মানে পরোক্ষভাবে দ্বিতীয়বার পরীক্ষার্থীদেরকে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ না দেয়া। এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যথায় আমরা বৃহত্তর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।

সরকারি মহসিন কলেজ থেকে পাশ করা আরেক পরীক্ষার্থী শাহারাজ আরটিভি অনলাইনকে জানান, গেলো বছর ৯০ হাজার পরীক্ষার্থীর বাছাই করে ৩ হাজার ৫শ' জনকে ভর্তি করানো হয়। এর মধ্যে বেশিরভাগই দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা মেডিক্যালে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। যেখানে দশমিক ২৫ নম্বরের জন্য চরম প্রতিযোগিতা হয়।

সেখানে শুরুতেই ৫ নম্বর কেটে নেয়া মানে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদেরকে অনুৎসাহিত করা। তার চেয়ে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দিতে না দেয়ায় ভাল। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে নেয়া এ সিদ্ধান্ত গতবার ভর্তি পরীক্ষার পরপরই নেয়া যেতো। তাহলে পরীক্ষার্থীরা আগে থেকেই প্রস্তুতি নেয়ার সময় থাকতো। সেপ্টেম্বরের দিকে ভর্তি পরীক্ষা হলে সময় আছে আর মাত্র ৩ মাস। এই ৩ মাসে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়া আমাদের জন্য কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে।

এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, আমার ছেলে মহসিন কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেছে। গেলোবার ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে টিকেনি। গেল ৮মাস ধরে পরিশ্রম করেছে এবারে মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার জন্য। তার মধ্যে আস্থাও গড়ে উঠেছে। কিন্তু হঠাৎ ৫ নম্বর কেটে নেয়ার সিদ্ধান্তে মুষড়ে পড়েছে আমার ছেলে। এ অবস্থা হলেতো আমার ছেলে ভর্তি পরীক্ষায় টিকবে না। সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আগের নিয়মেই মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হোক।

এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh