• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

চিনে নিন ফুল

এম রবিউল ইসলাম

  ০৭ জুন ২০১৭, ১৬:১৯

ফুল ভালোবাসে না এমন মানুষ হয়েতো জগতে পাওয়া যাবে না। দেশি বিদেশি হরেক রকম ফুল ফোটে আমাদের এই বসুন্ধরায়। তবে যুগে যুগে কালের আবর্তে পরিবর্তন হচ্ছে ফুলের নাম-জাত।

গেলো শতাব্দিতে অনেক জাত হারিয়ে গেছে। আবার অনেক জাত এসেছে। সেরকম পরিচিত কয়েকটি ফুলের পরিচয় তুলে ধরা হলো।

স্থলপদ্ম

এর বৈজ্ঞানিক নাম: Hibiscus mutabilis । ইংরেজি নাম Cotton Rose. সকাল-বিকেল এই ফুলের রং বদলে যায় বলে একে Changeable Rose ও বলা হয়। স্থলপদ্ম ঝোপালো প্রকৃতির পত্রমোচী উদ্ভিদ।

স্থলপদ্ম গাছের উচ্চতা সাধারণত ৩-৪ মিটার হয়ে থাকে। কাণ্ড খসখসে ও লোমশ। পাতা দেখতে অনেকটা ঢ্যাঁড়শ পাতার মতো। তবে দু'পাশ রোমশ হলেও ততোটা খসখসে নয়। ফুল বড়ো সিঙ্গেল বা ডাবল হয়ে থাকে। পাতার কক্ষে একেকটি ফুল ফোটে।

শরৎ এ এই ফুল ফোটে। তবে শীতের প্রথমভাগেও ফুল ফুটতে দেখা যায়। আবার কোন কোন গাছে গ্রীষ্মকালেও ফোটতে দেখা যায়। এর রং সাদা কিংবা গাঢ় বা হালকা গোলাপি। এতে মৃদু সুগন্ধ আছে। সকালের গোলাপি ফুলগুলো বেলা গড়াতেই লালচে রং ধারণ করে।

ফুলে ভরা স্থলপদ্ম গাছ দারুণ দৃষ্টিনন্দন হয়। এর বংশবৃদ্ধি ঘটানো হয় শাখা কলমের মাধ্যমে। বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলের বাগানেই স্থলপদ্মের দেখা মেলে। এর আদিনিবাস চীন।

গেলো ৩ মে বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ময়মনসিংহ ক্যাম্পাস থেকে ছবিগুলো তোলা।

বোতল ব্রাশ

প্রথম দেখাতেই মোটরবাইক বা সাইকেলের রিং ব্রাশের মতই মনে হবে। এর ইংরেজি নাম Callistemon. জানা যায় এর আদিনিবাস অস্ট্রেলিয়া।

মাঝারি আকারের চিরল চিরল পাতা সমৃদ্ধ চমৎকার চিরসবুজ গাছ এটি। এর উচ্চতা সাধারণত ১৫-২০ ফুট হয়ে থাকে।

তবে মাটি খাদ্যের উপকরণ ও অনুকুল পরিবেশে কিছুটা বেশিও হতে পারে। একে বড়ো আকৃতির গুল্মও বলা যেতে পারে। এর প্রচুর শাখা-প্রশাখা নিচের দিকে ঝুলে থাকে।

পাতা সরু, বর্শাফলাকৃতি, ৫-৬ সে.মি. লম্বা। পাতা ও ফুল দেখতে ঠিক বোতলব্রাশের মতো। হয়তো একারণেই গাছটির এরকম নামকরণ। শাখার আগায় স্পাইক জাতীয় মঞ্জরিতে লালচে ফুল হয়। পুরো গ্রীষ্ম ও বর্ষায় গাছে ফুলের প্রাচুর্য দেখা যায়।

ফুল ছাড়া গাছও বেশ দৃষ্টিনন্দন। এর চাষও খুব সহজ। ফলের ভেতরেই অসংখ্য বীজ থাকে। বীজ বা শাখা কলম করে এর বংশবৃদ্ধি করা যায়।

এর ফুলের দিকে কেউ তেমন নজর দেয় না। সাধারণত চিরল চিরল পাতার কারণে বাগানের শোভা বর্ধনের জন্যই বৃক্ষপ্রেমিরা এই গাছ লাগিয়ে থাকেন।

গেলো ২৬ মে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ছাত্র হোস্টেল থেকে ছবিগুলো তোলা হয়েছে।

গুড মর্নিং ফ্লাওয়ার

গুড মর্নিং ফ্লাওয়ার নামেই পরিচিত এই ফুল। অবশ্য একে অনেকেই টাইমফুল বলে থাকেন। কেউ বলেন ঘাস ফুল।

আবার কেউ কেউ নাইন ক্লক, টেন ক্লক বা অফিস টাইম ফুল নামেও ডাকেন। এই নামগুলো যার যার মত করেই আসলে দেয়া। মূলত অফিস যাবার সময়ে ফোটে বলেই কেউ এমন নামকরণ করেছেন।

সাধারণত বসন্তের শেষ দিকে ফুটতে দেখা যায়। গেলো ১৫ মে ছবিগুলো ময়মনসিংহ থেকে তেলা।

এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh