মিশরের রমজান সংস্কৃতি (ভিডিও)
এবার মাহে রমজানে আরটিভির বিশেষ আয়োজন ‘রমজান দেশে দেশে’। আজ তুলে ধরা হচ্ছে মিশরের রমজান সংস্কৃতির কিছু দিক।
ভূ-মধ্যসাগরের পূর্ব-পশ্চিম উপকূলে পিরামিড, নীল-নদ ও তুর পাহাড়ের দেশ মিশর। প্রাচীন কৃষ্টি সভ্যতাসমৃদ্ধ দেশটিতে রোজা শুরু হয় বেশ ধুমধাম করেই। সেখানে প্রতিটি বাড়ি, রাস্তা, দোকানে লন্ঠন জ্বালানো রমজানের সংস্কৃতি।
ফেরাউনের স্মৃতিবিজড়িত মিশরে কামানের গোলার শব্দে শুরু করা হয় সেহরি ও ইফতার। দুপুরের পরই অলিগলিতে বসে, ইফতারির পসরা।
সাধারণত পানি ও খেজুর দিয়ে রোজা ভাঙা হলেও ফলের রস, চা পানের মাধ্যমে ইফতার শুরু করেন মিশরীয়রা। তবে প্রধান ইফতার আইটেমে থাকে আটা, মধু, কিশমিশ, বাদাম ছড়ানো কেকজাতীয় কোনাফা ও কাতায়েফ। খেজুর, খুবানি কালোজাম মেশানো ফলের ককটেল খুশাফ, মুখরোচক মলোকিয়া।
সেহরিতে থাকে সাধারণ খাবার রুটি, মাংস, ফল। সঙ্গে টক দই- জাবাদি।
পারস্পরিক সম্পর্ক মজবুতে স্বজন ও বন্ধুদের বাসায় ইফতার করার রেওয়াজ মিশরে। তবে ক্যাফে বা রেস্তোরা পছন্দ সেখানকার তরুণদের। তাদের আকৃষ্ট করতে পাঁচতারা হোটেলে তাবু বানিয়ে ঐতিহ্যবাহী খাবারের পসরা সাজানো হয় অ্যারাবিয়ান ডেকোরেশনে।
ইফতারের পরই অন্য রূপে ধরা দেয় মিশর। খোলা আকাশে তারাবির নামাজের দৃশ্য মুগ্ধ করার মতো। ওই সময় আল্লাহর ইবাদতে মশগুল হয় শ্রেষ্ঠ কোরআন তেলাওয়াতের দেশের মানুষেরা।
রমজানে সিয়াম সাধনার জন্য কমানো হয় কর্মঘন্টা। দিনে কর্মব্যস্ততা আর রাতে ইবাদত-বন্দেগিতে মগ্ন থাকেন মুসলমানেরা।
রমজানে রোজাদারকে খাওয়ান ধনীরা। অলি-গলির ইফতারি স্টলগুলোও থাকে তাদের জন্য একেবারে ফ্রি। রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে ইফতার করানোও মিশরীয়দের ঐতিহ্য।
আরকে/এসএস
মন্তব্য করুন