বাংলাদেশের চাওয়া সব তথ্য দেয়নি ফেসবুক
সম্প্রতি ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য চেয়ে ৪৯টি অনুরোধ জানিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। এর মধ্যে ২৫টি ব্যবহারকারীর তথ্যের জন্য 'জরুরি' অনুরোধ ছিল। সরকারের চাওয়া তথ্যগুলোর মধ্যে সব দেয়নি সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম জনপ্রিয় এ মাধ্যমটি।
আবেদন ছিল গেলো বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তথ্যের জন্য। বাংলাদেশ সরকারকে ৪৯টি অনুরোধের জন্য মোট ২৪.৪৯% তথ্য দেয়া হয়। আর ওই ২৫ ব্যবহারকারীর জন্য ৪০% তথ্য দিয়েছে ফেসবুক। যদিও আগের তুলনায় এবার বেশী তথ্য পেয়েছে সরকার।
ফেসবুক গেলো বছরের দ্বিতীয়ার্ধের 'গ্লোবাল গর্ভমেন্ট রিকুয়েস্ট রিপোর্ট' প্রকাশ করে শুক্রবার। এতে বাংলাদেশ সরকারে চাওয়া অনুরোধের প্রেক্ষিতে এসব তথ্য দেয়া হয়।
এতে বলা হয়, ফৌজদারি অভিযোগের তদন্ত চলায় সরকারের অনুরোধে ১৫টি অ্যাকাউন্টের রেকর্ড ৯০ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
তবে বরাবরের মতো এবারো ব্যবহারকারীর কোনো ধরণের তথ্যই প্রতিবেদনে প্রকাশ করেনি ফেসবুক।
নিরাপত্তা মহড়ার অংশ হিসেবে গেলো বছর অগাস্টে বাংলাদেশ থেকে সাময়িকভাবে ফেসবুক ব্যবহার করতে না পারার বিষয়টিও এবারের প্রতিবেদনে এসেছে।
এর আগে গেলো বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাসের তথ্যের ভিত্তিতে ২১ ডিসেম্বর ফেসবুক প্রকাশিত ‘গভর্নমেন্ট রিকোয়েস্টস রিপোর্ট’-এ দেখা যায়, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ৯টি অ্যাকাউন্টের তথ্যের ব্যাপারে ১০টি অনুরোধ করা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে ফেসবুকের পক্ষ থেকে ২০ শতাংশ সাড়া দেয়া হয়। এছাড়া ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত তথ্য নিয়ে ২৮ এপ্রিল ফেসবুকের রিপোর্টে বলা হয়, সরকারেরে পক্ষে সে সময় ১২ অনুরোধে ৩১ অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়। সেবারের অনুরোধে সাড়া দেয়ার হার ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
সে বছর ১২ নভেম্বর ফেসবুক প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, জানুয়ারি থেকে জুন এই ছয় মাসে ফেসবুকের কাছে তিনটি অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য চেয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। তবে সরকারের ওই অনুরোধে সাড়া দেয়নি ফেসবুক।
এর আগে ২০১৪ সালের শেষ ছয় মাসে পাঁচজনের অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য জানতে চায় বাংলাদেশ। একই বছরের প্রথমার্ধে ১৭টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়। আর ২০১৩ সালের আগস্টে চাওয়া হয়েছিল ১২ জনের তথ্য। সেগুলোর কোনটিরই সাড়া দেয়নি ফেসবুক।
গেলো ১৪ এপ্রিল ফেসবুকের টেকনিক্যাল প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাবনাম শেখ ফেসবুকের সিকিউরিটি ব্লগে বিশ্বজুড়ে ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধে বিশেষ অভিযানের কথা জানান।
এতে বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশের নাম উল্লেখ করেন তিনি।
অন্যদিকে ফেসবুক ব্যবহারকারীর দিক থেকে বিশ্বের শহরগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। চলতি মাসেই ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর ‘উই আর সোশ্যাল’এবং ‘হোটস্যুট’ নামে দুটি ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের করা প্রতিবেদনে এ তথ্য দেখা যায়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গেলো এক বছরে বাংলাদেশে ১১ মিলিয়ন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বেড়েছে। যেটি দ্রুত বৃদ্ধির মধ্যে বিশ্বে অষ্টম।
সে অনুযায়ী ইন্টারনেট ব্যাবহারকারী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর মাধ্যমে অপরাধের হারও বেড়েছে।
ওয়াই/এমকে
মন্তব্য করুন