• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

কর্মব্যস্ত সময়ে ফুটপাত নির্মাণ, বাড়ছে ভোগান্তি

মিথুন চৌধুরী

  ১৭ এপ্রিল ২০১৭, ১৭:২০

প্রায় ৩শ’ বর্গ কিলোমিটারের রাজধানী ঢাকায় বসবাস করে প্রায় ২ কোটি মানুষ। আর ব্যস্ততম এ শহরে প্রতিদিন ১ কোটি মানুষ যাতায়াত করে। শহরের সৌন্দর্য বাড়াতে ও মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ করতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনায় তাল মিলিয়ে উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নানামুখী উন্নয়ন কর্মসূচি নিচ্ছে। রাজধানী ঢাকাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে।

কিন্তু উন্নয়নের কাজের কারণে প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। যা সাধারণ সড়ক থেকে শুরু করে ভিআইপি সড়কেও পৌঁছে গেছে।

ঢাকার দু’ সিটি করপোরেশনের (ডিসিসি) পরিসংখ্যান অনুযায়ী নগরীতে ১৬৩ কিলোমিটার ফুটপাত রয়েছে।

তবে এসব ফুটপাতে বছরে প্রায় অধিকাংশ সময় কোথাও না কোথাও নির্মাণকাজ চলে। কিন্তু নির্মাণকাজ যতদিন চলে ততদিন নির্মাণসামগ্রীর দখলে থাকে ফুটপাত।

সেখানে ইট, খোয়া, বালু, রডের সমাহার দেখা যায়। পাশাপাশি সুতা দিয়ে ফুটপাত বন্ধ করে কর্মব্যস্ত সময়ে নির্মাণকাজ চলে।

ফলে রীতিমত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্যস্ততম রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয় সাধারণ মানুষকে। পাশাপাশি হাঁটাচলায় ভোগান্তির পাশাপাশি প্রচণ্ড ধুলাবালিরও সমস্যা হয়। কিন্তু নগর কর্তৃপক্ষ এসব বিষয়ে উদাসীন।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ৯৫ ভাগ ভবন নির্মাতাই তাদের নির্মাণ সামগ্রী সড়ক কিংবা ফুটপাতের উপর রাখেন। এতে মানুষের স্বাভাবিক চলাচল যেমন ব্যাহত হচ্ছে তেমনি ঘটছে দুর্ঘটনা। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন দুরুল ইসলাম। প্রতিদিন বাংলামটর দিয়ে হেঁটে অফিসে আসেন তিনি। কিন্তু ফুটপাতে নির্মাণকাজ চলায় রীতিমত ব্যস্ততম রাস্তায় হাঁটতে বাধ্য হচ্ছেন তিনি। এ বুঝি গায়ের উপর গাড়ি উঠে আসবে। তবুও তিনি পথ চলছেন। ক্ষোভে গালমন্দ করতে করতে জানান, কি করবো ভাই। প্রতিদিন এ পথ দিয়ে চলাচল করি। কারওয়ান বাজারে অফিস। ছোট পথ হওয়ায় বাস বা রিকশায় না উঠে হেঁটে যাতায়াত করি। কিন্তু কয়েক মাস ধরে ফুটপাতের নির্মাণকাজ রীতিমত বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, উন্নয়নের কাজ চলবে। কিন্তু তাই বলে চলাচলে বাধা দিয়ে না। কাজের সময় রাস্তা বন্ধ করে বিকল্প রাস্তা করে দেয়া সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব। দুরুলের মতো অনেকে এমন অভিযোগ করেন।

সাধারণত বর্ষাকালেই ঠিকাদারদের ব্যস্ততা বাড়ে। সেসময় নানা দরকারেই রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলে। ফলে একদিকে যেমন কাজে আসে ধীরগতি, তেমনি বাড়ে জনদুর্ভোগ।

বিশ্লেষকদের মতে, সরকারি সংস্থাগুলোর দায়িত্বে অবহেলা, স্বচ্ছতা আর সদিচ্ছার অভাবেই এ ধরণের চিত্র অপরিবর্তিতই থেকে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলা আর জবাবদিহিতার অভাবেই বছরের পর বছর এ অবস্থার কোন উন্নতি হচ্ছে না।

নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়গুলোতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর তদারকি থাকতে হবে।

এমসি/ এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh