• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

১৬ বছরেও শেষ হয়নি রমনা বোমা হামলার বিচার

অনলাইন ডেস্ক
  ১৪ এপ্রিল ২০১৭, ১০:২০

পহেলা বৈশাখ বাঙালি জীবনে সবচে’আনন্দের দিন। পুরোনো বছরের সব গ্লানি মুছে বাঙালি নতুনভাবে সুন্দর আগামির প্রত্যাশায় শুরু করে বছরের প্রথম দিনটি। প্রতিবছর পহেলা বৈশাখ আসে আবার চলে যায়।

কিন্তু ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে ঘটে ভয়াবহ বোমা হামলা। যাতে প্রাণ হারান ১০ জন। আহত হন আরো বেশ কয়েকজন। আলোচিত রমনায় বোমা হামলার ১৬ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো শেষ হয়নি বিচারকাজ।

এরই মধ্যে রমনা বটমূলে বোমা হামলার প্রধান আসামি মুফতি হান্নানের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে অন্য মামলায়।

তবে উচ্চ আদালতে এখনো রমনায় বোমা হামলা মামলা নিষ্পতি না হওয়ায় অন্য আসামিদের দণ্ড কার্যকর করা যাচ্ছে না। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের ওপর নির্ভর করছে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া অপর ৭ আসামির ভাগ্য।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, রমনা বোমা হামলার প্রধান আসামি মুফতি হান্নানের ফাঁসি হয়ে গেছে। হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে বিচারিক আদলতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ৭ আসামির আপিল ও ডেথ রেফারেন্স।

২০১৭ সালের ৮ জানুয়ারি বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি শুরু হয়। আসছে ১৪ মে এই মামলায় পরবর্তী শুনানি হবে। সেদিনই হাইকোর্টের শুনানি শেষ হবে।

১৬ বছর আগে বৈশাখী অনুষ্ঠানে এসে নিহত হওয়া স্বজনসহ দেশবাসী উচ্চ আদালতের রায়ের দিকে তাকিয়ে আছে। ঘাতকদের কি সাজা হয় তা দেখার জন্য।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, রমনা বটমূলে বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনায় করা হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে রায় হয়েছে ঘটনার ১৩ বছর পর ২০১৪ সালের ২৩ জুন। রায়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।

একইবছর বিচারিক আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্তদের মধ্যে মাওলানা তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই, মাওলানা আবু বকর ও আরিফ হাসান ওরফে সুমন হাইকোর্টে আপিল দায়ের করেন।

এ ছাড়া মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত মুফতি আবদুল হান্নান, মাওলানা আকবর হোসাইন ওরফে হেলাল উদ্দিন, আরিফ হাসান ওরফে সুমন জেল আপিল দায়ের করেন।

২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় ১০ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হন। ঘটনাস্থলেই মারা যান ৯ জন। তারা হলেন, আল-মামুন হোসেন, রিয়াজুল ইসলাম, জান্নাতুল ফেরদৌস শিল্পী, আবুল কালাম আজাদ, মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, মোহাম্মদ এমরান হোসেন, অসীম চন্দ্র সরকার, ইসমাইল হোসেন স্বপন ও আনসার আলী। এক জনের পরিচয় জানা যায়নি। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে রমনা থানায় হত্যা মামলা করে।

এইচটি/জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh