• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

৩ জঙ্গির মরদেহ দাফন

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৩ এপ্রিল ২০১৭, ০৮:৪৬

নিষিদ্ধ ঘোষিত হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষনেতা ‘মুফতি’ আব্দুল হান্নান ও তার দুই সহযোগী শরীফ শাহেদুল আলম বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন রিপনের দাফন শেষ হয়েছে।

বুধবার রাতে ওই তিন জঙ্গির ফাঁসি কার্যকরে পর তাদের মরদেহ তাদের নিজ নিজ গ্রামের বাগিতে পৌঁছে দেয়া হয়। পরে বৃহস্পতিবার ভোরের আগে তাদের নিজ নিজ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

মুফতি হান্নানের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার হিরন গ্রাম, বিপুলের চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়নের বকশি পাটওয়ারী বাড়ি এবং রিপনের বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের কোনাগাঁও গ্রামে।

এর আগে বুধবার রাত ১০ টার দিকে মুফতি আব্দুল হান্নান ও তার দু’সহযোগী শরীফ শাহেদুল আলম বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন রিপনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

হুজি নেতা হান্নান ও তার সহযোগী শরীফ শাহেদুল আলম বিপুলের ফাঁসি কার্যকর করা হয় কাশিমপুর কারাগারে।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, রাত ১০টায় মুফতি আবদুল হান্নান ও তার সহযোগী শরীফ শাহেদুল ওরফে বিপুলের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

অপর জঙ্গি মুফতি হান্নানের সহযোগী দেলোয়ার হোসেন রিপনের ফাঁসি কার্যকর করা হয় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের।

সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ ছগির মিয়া এ খবর নিশ্চিত করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, দেলোয়ার হোসেন রিপনের ফাঁসি বুধবার রাত ১০টা ১ মিনিটে কার্যকর করা হয়েছে।

২০০৪ সালের ২১মে সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজারে গ্রেনেড হামলায় আনোয়ার চৌধুরীসহ আরো অনেকে আহত হন। নিহত হন পুলিশের দু’কর্মকর্তাসহ তিনজন। পরে পুলিশ বাদী হয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে।

২০০৭ সালের ৩১ জুলাই হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশের (হুজি-বি) নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়। পরবর্তীতে সম্পূরক চার্জশিটে আরেক জঙ্গি মঈন উদ্দিনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ ও মুফতি মঈনউদ্দিন ওরফে আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এরপর উচ্চ আদালতে তারা আপিল করলে গেলো বছরের ৭ ডিসেম্বর নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখেন হাইকোর্ট। এরপর তারা রিভিউ আবেদন করলে সেটাও ২২ মার্চ খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh