জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ মোটা, বাড়ছে কিডনি রোগ
স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ওজন হলে পুষ্টিহীনতার চেয়েও অধিক মৃত্যু হয়। বিশ্বে মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ মোটা। আর বাংলাদেশে প্রায় এক-চতুর্থাংশ। ফলে কিডনি রোগের পরিমাণ দেশে বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশে এ রোগে আক্রান্ত প্রায় ২ কোটি মানুষ। জানালেন কিডনী বিশেষজ্ঞরা।
আসছে ৯ মার্চ বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে ‘স্থূলতা কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায় : সুস্থ কিডনির জন্য সুস্থ জীবনধারা’ শীর্ষক সেমিনারে তারা এসব কথা বলেন। কিডনি অ্যাওয়ারনেস মনিটরিং অ্যান্ড প্রিভেনশন সোসাইটি (ক্যাম্পস) এ সেমিনারের আয়োজন করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষার বরাত দিয়ে বিশেষজ্ঞরা জানান, আগে বিশ্বে মৃত্যুর প্রধান কারণ ছিল সংক্রামক ব্যাধি। কিন্তু এখন তা দখল করে নিয়েছে অসংক্রামক ব্যাধি। বাংলাদেশে অসংক্রামক ব্যাধিতে মৃত্যু হয় ৬৫ ভাগ। আর অসংখ্য ব্যাধির জন্ম দেয় স্থূলতা। রোগগুলো হলো-উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, হাড়জোড়া ক্ষয় ও ব্যথা, স্লিপ অ্যাপনিয়া বা ঘুমের মধ্যে শ্বাস বন্ধ হওয়া ও নাকডাকা, টোবোলিক সিনড্রোম, মানসিক অবসাদ ও নিরানন্দভাব, কোলন ও মেয়েদের ব্রেস্ট ক্যানসারের মতো মারাত্মক ব্যাধি।
তারা জানান, পরোক্ষভাবে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগের মাধ্যমে কিডনির ক্ষতি হয়। বাড়তি ওজন সরাসরি কিডনির ছাঁকনি নষ্ট করে দেয়। কিডনি বিকলের চিকিৎসা অতি ব্যয়বহুল, বিধায় এ দেশের শতকরা ১০ জন রোগী চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারেন না। অর্থাভাবে অকালে প্রাণ হারান সিংহভাগই। কিন্তু সচেতনতার মাধ্যমে ৫০ থেকে ৬০ ভাগ এ রোগ দমন সম্ভব। যার মধ্যে স্থূলতা পরিহার অন্যতম। শুধু খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে ৬৮ শতাংশ মৃত্যুঝুঁকি কমানো সম্ভব।
ক্যাম্পস প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদ এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এছাড়া বক্তব্য রাখেন কিডনি ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশিদ, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মুহিবুর রহমান, শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রণজিত রায়সহ অনেকে।
এমসি/ডিএইচ
মন্তব্য করুন