পাঁচমিশালি সবজি
অনেকেই সবজি খেতে খুব ভালোবাসেন। তবে এবার সবজির রেসিপিতে একটু ভিন্নতা আনতে তৈরি করে ফেলতে পারেন পাঁচমিশালি সবজি।
রুটি বা ভাতের সঙ্গে পাঁচমিশালি সবজি খেতে দারুণ লাগে।
তাহলে জেনে নিন পাঁচমিশালি সবজি তৈরি করতে কী কী উপকরণ লাগবে এবং কীভাবে তৈরি করবেন।
উপকরণ : আলু, কপি, বেগুন, মুলা, পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া, পটল, গাজর, বরবটি, টমেটো টুকরো ৪ কাপ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, জিরা বাটা ১ চা চামচ, হলুদ ১ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, পেঁয়াজ বাটা ১ টেবিল চামচ, আস্ত পাঁচফোড়ন আধা চা চামচ, তেজপাতা ২ টি, পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, আস্ত শুকনা মরিচ ৩-৪ টি, লবণ স্বাদ মতো, চিনি ১ চা চামচ, তেল ৪ টেবিল চামচ, ঘি ১ টেবিল চামচ, মুগের ডাল আধা কাপ।
প্রণালী : প্রথমে সবজি কেটে পানি ঝরিয়ে নিন।এরপর টমেটো, গাজর, বেগুন, আলাদা করুন।ডাল ভেজে সিদ্ধ করুন।কড়াইয়ে তেল গরম করে তেজপাতা, পাঁচফোড়ন, মরিচ দিন।এরপর পেঁয়াজ কুচি ও সব বাটা মসলা দিয়ে কষান। এবার হলুদ, মরিচ, লবণ দিন। টমেটো, গাজর, বেগুন বাদে বাকি সবজি দিয়ে কষান। ৫ মিনিট ঢেকে রাখুন।
সব সবজি সিদ্ধ হয়ে এলে ধনেপাতা, ঘি ও চিনি দিয়ে নামিয়ে নিন।
আরকে/এসজে
মন্তব্য করুন
ইফতারে রাখুন চিড়ার ডেজার্ট
সারাদিন পর যেহেতু ইফতার খাওয়া হয়, তাই ভুল খাবারে পেট না ভরিয়ে ভালো ও স্বাস্থ্যকর খাবার রাখা উচিত এ সময়। তাহলে শরীর দ্রুত অ্যানার্জিও পাবে আবার সুস্থও থাকবেন। আর সারাদিন না খেয়ে থাকার পর ইফতারে একটু ঠান্ডা ডেজার্ট খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। তবে স্বাস্থ্যের দিকেও তো খেয়াল রাখতে হবে।
এজন্য ইফতারে রাখতে পারেন প্রাণ জুড়ানো চিড়ার ডেজার্ট। এই খাবার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
জেনে নিন কীভাবে তৈরি করবেন-
উপকরণ:
১. চিড়া আধা কাপ
২. গুঁড়া দুধ আধা কাপ
৩. চিনি স্বাদমতো
৪. বেদানা পরিমাণমতো
৫. কলা পরিমাণমতো ও
৬. জেলো আধা কাপ।
পদ্ধতি:
প্রথমে চিড়া পানি দিয়ে ২-৩ বার ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর চিড়া ৫-৬ মিনিটের মতো রেখে দিন। এরই মধ্যে চিড়া ফুলে উঠবে অনেকটাই। তারপর চুলায় একটা প্যান বসিয়ে তাতে ২ কাপ পানি দিন। এর মধ্যে গুঁড়া দুধ ও পরিমাণমতো চিনি মিশিয়ে নিন। তারপর চুলার আঁচ মিডিয়ামে রেখে ৩-৪ মিনিট জ্বাল করে নিন দুধ।
এরপর নামিয়ে দুধ একেবারে ঠান্ডা করে নিতে হবে। এবার ২-৩টি ছোট ছোট বাটি বা কাপ নিয়ে তার মধ্যে চিড়া, জ্বালানো দুধ, ফল ও জেলো মিশিয়ে নিন। আপনি চাইলে পছন্দসই অন্যান্য ফলও মেশতে পারেন এই ডেজার্টে। এরপর ফ্রিজের নরমালে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন।
ইফতারের আগে বের করে পরিবেশন করুন ঠান্ডা ঠান্ডা চিড়ার ডেজার্ট।
ইফতারে স্বাস্থ্যকর স্প্রাউট সালাদ
সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারে স্বাস্থ্যকর খাবার শরীরের জন্য অনেক উপকারী। আর তাই ইফতারে স্বাস্থ্যসম্মত স্প্রাউট সালাদ রাখতে পারেন। স্প্রাউড সালাদ সাস্থ্যের জন্য খুবি উপকারী। স্প্রাউডে ভিটামিন এ,বি,সি ভরপুর। এ ছাড়াও এ সালাদটি হজম শক্তি বাড়ায়। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক স্প্রাউট সালাদের রেসিপি।
যা যা লাগবে-
অঙ্কুরিত ছোলা আধা কাপ
সবুজ অঙ্কুরিত মুগ ডাল
সবুজ পেঁয়াজ (পেঁয়াজ শাকের পেঁয়াজ) ৪টি
১টা ছোট গাজর
ক্যাপসিকাম আধা কাপ
ডাবের শাঁস ১/৪ ভাগ
শসা অর্ধেক
টমেটো ১টি
লেবু ১টি
আধা চা চামচ আমচুর পাউডার
আধা চামচ গোলমরিচের গুঁড়া
বিট লবণ স্বাদমতো
চিনা বাদাম ২ চা চামচ
ধনেপাতা, পুদিনা পাতা সামান্য পরিমাণ
যেভাবে তৈরি করবেন-
প্রথমে একটি বাটিতে ছোলা আর মুগডাল ৮ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। ৮ ঘণ্টা পর পানি থেকে তুলে একটা ভেজা তোয়ালে দিয়ে ঢেকে আরও ৮ ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর তোয়ালে তুললেই দেখবেন অঙ্কুর বেড়িয়েছে। আপনি যদি চান আরও একটু বেড়ে উঠুক, তাহলে তোয়ালে ভিজিয়ে আবারও ৮-১০ ঘণ্টা রেখে দিলেই দেখবেন বেশ খানিকটা বড় হয়েছে। এবার এগুলোকে আধাঘণ্টার জন্য ভিজিয়ে রাখুন। এবার সালাদ তৈরির পালা।
এর জন্য সবগুলো সবজি ধুয়ে কুচি করে কেটে একটি বাটিতে নিন। এরপর সবজি, অঙ্কুরিত ছোলা, ডাল, বিটলবণ, আমচুর পাউডার, বাদাম, সবুজ পেঁয়াজ, লেবুর রস মিশিয়ে হালকা করে মাখিয়ে নিতে হবে। এবার ওপর থেকে গোলমরিচের গুঁড়া ছড়িয়ে দিন।
ডেকোরেশনের জন্য ক্যাপসিকাম গোল করে কেটে নিয়ে তার মাঝখানে গোলাপ ফুলের শেইপে টমেটো কেটে মাঝখানে বসিয়ে দিন। দেখতে বেশ লাগবে।
পাউরুটি দিয়েই হবে সুস্বাদু রসমালাই
যারা মিষ্টি পছন্দ করেন রসমালাই তাদের কাছে খুব লোভনীয় একটি পদ। অনেকেই ইফতারে ভাজাপোড়া খাবারের পাশাপাশি মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন। আর মিষ্টির স্বাদে ভিন্নতা আনতে আপনি নিজের হাতেই বানিয়ে দিতে পারেন পাউরুটির রসমালাই। জেনে নিন রেসিপি।
যা যা লাগবে-
পাউরুটি ৬ টুকরা
দুধ এক লিটার
কনডেন্সড মিল্ক দুই টেবিল চামচ
এলাচ তিনটি
কাঠবাদাম কুচি আটটি
কাজুবাদাম নয়টি
পেস্তাবাদাম সাতটি
এক চিমটি জাফরান
চিনি পরিমাণমতো
যেভাবে বানাবেন-
প্রথমে কড়াইয়ে দুধ দিয়ে বেশি আঁচে জ্বাল দিয়ে নিন। এবার চুলার আঁচ কমিয়ে দুধ শুকিয়ে অর্ধেক পরিমাণ করে নিতে হবে। অর্ধেক হয়ে গেলে তাতে এলাচ, চিনি, কনডেন্সড মিল্ক, কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, পেস্তাবাদাম, জাফরান দিয়ে জ্বাল দিন।
মাঝারি আঁচে জ্বাল দিয়ে দুধের পরিমাণ কমিয়ে আরো ঘন করে নিতে হবে। এরপর চুলা বন্ধ করে দুধ নামিয়ে ফেলুন। এবার পাউরুটির টুকরাগুলো গোল করে কেটে সাজিয়ে নিন। দুধ ঠান্ডা হলে পাউরুটির ওপর ঢেলে দিন।
দুধ গরম অবস্থায় দিলে রুটি ভেঙে যেতে পারে, তাই ঠান্ডা হলে দিতে হবে। এবার ওপরে কিছু কাজুবাদাম, কাঠবাদাম কুচি ছিটিয়ে দিন। এবার পরিবেশন করতে পারেন। চাইলে এটি ফ্রিজে রেখেও খেতে পারেন।
এই গরমে পেট ঠান্ডা রাখবে মিলেট কার্ড রাইস
এই গরমে সারাদিন রোজা রেখে তেল-মসলাযুক্ত খাবার খেতে অনেকেই পছন্দ করে না। তখন পেট ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে এমন খাবারটাই তালিকায় রাখতে পছন্দ করেন। ফলে গরমে পেট খারাপ, বদহজমের সমস্যা এড়াতে খেতেই পারেন মিলেট কার্ড রাইস। শুনতে অদ্ভুত মনে হলেও খুব সহজেই বানিয়ে নিতে পারবেন এই পদ।
জেনে নিন রেসিপি-
এর জন্য প্রথমে একটি পাত্রে ভালো করে ধুয়ে রাখা বাজরা (মিলেট) দিয়ে ১৫-২০ মিনিট রান্না করুন। মাঝে মাঝে খুন্তি দিয়ে নেড়ে নিন। মাঝারি আঁচে বাজরা রান্না করুন। রান্না হয়ে গেলে এটি ঠান্ডা করার জন্য আলাদা রাখুন। তারপরে একটি পাত্রে দই নিয়ে তাতে কুঁচি করা শসা, গাজর, পেঁয়াজ, সবুজ ধনেপাতা এবং ক্যাপসিকাম দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর দইয়ে দুধ এবং লবণ দিয়ে নিন এবং ভালোভাবে মেশান। আপনি দুধের পরিবর্তে বাটারমিল্ক দিতে পারেন। এবার এই পুরো মিশ্রণটা একপাশে রাখুন।
এবার একটি প্যানে কিছু তেল দিয়ে তাতে সরিষা দিন। এরপর অরহর ডাল, ছানার ডাল, হিং, চিনাবাদাম, শুকনা মরিচ, কাঁচা মরিচ এবং কারিপাতা দিন। কয়েক সেকেন্ডের জন্য ভাজুন, যাতে তা থেকে কাঁচা গন্ধ না বের হয়, সেই দিকে নজর রাখতে হবে। মাঝারি আঁচে ভাজার চেষ্টা করবেন, নাহলে পুড়ে যেতে পারে। এবার আগে থেকে সরিয়ে রাখা বাজরা দই মিশ্রণে গরম গরম সব মিশিয়ে দিন। তারপরে ভালো করে মিশিয়ে নিন। ব্যস, এবার তৈরি হয়ে গেল আপনার মিলেট কার্ড রাইস।
ইফতার শেষে ডুমুর-চিংড়িতেই হোক রাতের ভোজন
নতুন কিছু পদ রান্না করলে ঘরের ছোট-বড় সবাই বেশ পছন্দ করে। কিন্তু নতুন কিছু রান্না করতে চাইলে প্রথমেই মাথায় আসে কি রান্না করা যায়। এমন ভাবনার সমাধানে তৈরি করতে পারেন ডুমুর চিংড়ির নতুন পদ। নিরামিষ বা আমিষ উভয়তেই ডুমুর কিন্তু স্বাদে অতুলনীয়। এমনকী, শরীরের জন্যও খুব ভালো এই ডুমুর।
যা যা লাগবে :
ডুমুর, চিংড়ি মাছ, লবণ, হলুদ, আস্ত জিরা, কাঁচামরিচ, আলু, জিরের গুঁড়ো, মরিচের গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, চিনি, নারকেল কোরা, ঘি ও গরম মশলা, সরিষার তেল।
যেভাবে তৈরি করবেন :
প্রথমে ডুমুর কেটে আগের দিন রাতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর রান্নার আগে ভালো করে লবণ-হলুদ দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার পর ভালো করে চটকে নিন। কড়াইতে সরিষার তেল দিয়ে জিরে, কাঁচামরিচ ফোড়ন দিয়ে ছোট ছোট ডুমো করে কেটে রাখা আলু দিয়ে ভেজে তুলে রাখুন। একটি বাটিতে জিরার গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ি পানিতে গুলে তেলে ঢেলে দিন। মসলা ভালো করে কষে গেলে লবণ, চিনি আর নারকেল কোরা দিয়ে আরও খানিকক্ষণ রান্না করে সেদ্ধ করা ডুমুর দিয়ে ঢেকে দিন। হালকা আঁচে কিছুক্ষণ রাঁধুন। রান্না মাখা মাখা হয়ে এলে, ভেজে রাখা চিংড়ি মাছ, ঘি আর গরম মশলা গুঁড়ো ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। গরম ভাতের সঙ্গে ডুমুর চিংড়ি কিন্তু অসাধারণ লাগবে খেতে।
ডিহাইড্রেশন দূর করবে টক দইয়ের শরবত
দই কমবেশি সবারই অনেক পছন্দের একটা খাবার। আর টক দই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। টক দইকে সুপারফুডও বলা হয়ে থাকে। দইতে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন এবং আরও অনেক ভিটামিন রয়েছে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। ছোট থেকে বড় সবার জন্য কিন্তু দই অনেক উপকারী একটা খাবার। সারাদিন রোজা রেখে আমাদের শরীরে ইলেকট্রোলাইটের যে ঘাটতি হয় তা একগ্লাস দইয়ের লাচ্ছি, মাঠা বা ঘোল পূরণ করতে সাহায্য করে।
যার জন্য সেহরির খাবার তালিকায় দই রাখতে বলা হয় সব সময়। কারণ দই আমাদের অল্প অল্প করে সারাদিন এনার্জি দিতে সাহায্য করে। সারাদিন রোজা রেখে যাদের ঘন ঘন পানির পিপাসা লাগে তারা অবশ্যই সেহরি তে দই রাখবেন। দইয়ের শরবত খেলে আর ডিহাইড্রেশনের ভয় পেতে হবে না। এ ছাড়াও দই চিড়া, দই বড়া, দই দিয়ে ওটস, দই ভাত ও দই দিয়ে ফ্রুট সালাদও খেতে পারেন যা শুধু পেট ঠান্ডা রাখবে না পাশাপাশি দিবে নানান স্বাস্থ্য উপকারিতাও। বাড়িতেই এই শরবত বানিয়ে ফেলুন সহজ উপায়ে।
জেনে নিন রেসিপি-
যা যা লাগবে:
টক দই চার কাপ, একটা কাঁচামরিচ, ৫-৬টা পুদিনা পাতা, ২ টেবিল চামচ চিনি, পরিমাণমতো লবণ ও অল্প ঠান্ডা পানি।
তৈরি করবেন যেভাবে:
প্রথমে একটি ব্লেন্ডার বা মিক্সারে টক দইয়ের সঙ্গে কাঁচামরিচ ও পুদিনা পাতা নিন। এবার উপকরণগুলো ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে তাতে চিনি ও লবণ দিয়ে দিন। এবার মিশ্রণটি একটি পাত্রে ঢেলে নিয়ে ঠান্ডা করে নিন কিছুক্ষণ। চাইলে ফ্রিজেও রাখতে পারেন।
এবার ফ্রিজ থেকে বের করে তাতে অল্প ঠান্ডা পানি মিশিয়ে ভালো করে গুলে নিন। পরিবেশনের আগে চাইলে ওপর থেকে অল্প ভাজা মশলা ছড়িয়ে দিতে পারেন। এতে স্বাদটা দারুণ আসবে।
টক দইয়ের শরবত নিয়মিত খেলে পেট খারাপ হওয়ার আশঙ্কা কমে। গরমে শরীরে পানি কমে যায়, যার সেরা সমাধান টক দই।
টক-ঝাল-মিষ্টি স্বাদের বেগুন রান্না
বেগুন সহজলভ্য সবজি। সারাবছরই এটি কম বেশি পাওয়া যায়। গোল ও লম্বা দুই আকৃতিতেই বেগুনের ফলন হয়। দুইটির স্বাদেরও ভিন্নতা রয়েছে। সবভাবেই তো বেগুন খেয়ে দেখেছেন। এবার বেগুন দিয়ে নতুন একটি রেসিপি বানিয়ে নিন। যা একসঙ্গে টক- মিষ্টি- ঝালের স্বাদ দিবে। গরম ভাতের সঙ্গে বাড়ির সদস্যরা মজা করে খেয়ে নিবে। চলুন দেখে নেই টক-মিষ্টি-ঝাল স্বাদের বেগুন তরকারি রান্নার রেসিপি।
যা যা লাগবে-
গোল বেগুন-২টি, লবণ, মরিচ গুড়া, হলুদ গুড়া, ধনিয়া গুড়া, জিরা গুড়া, কর্নফ্লাওয়ার, দারচিনি, এলাচ, আদা বাটা, রসুন বাটা, পেয়াজ বাটা, টমেটো ও টমেটো সস, চিনি
ধনে পাতা
যেভাবে বানাবেন-
বেগুন গোল করে কেটে নিন। এতে লবণ, মরিচের গুঁড়া, হলুদের গুঁড়া ও কর্ন ফ্লাওয়ার দিয়ে মেখে রাখুন। এরপর তেলে হালকা ভেজে নিন। এবার প্যানে তেল গরম করে দুই টুকরা দারচিনি ও লবঙ্গ দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ ভেজে আধা কাপ পেঁয়াজ বাটা দিন। এবার ১ চা চামচ আদা বাটা ও রসুন বাটা দিয়ে ভালোভাবে ভেজে নিন। এতে সামান্য পানি দিয়ে আধা চা চামচ করে ধনিয়া ও জিরার গুঁড়া দিন। ১ চা চামচ হলুদের গুঁড়া, স্বাদ মতো মরিচের গুঁড়া ও লবণ দিয়ে নাড়তে থাকুন। এরপর এতে টমেটো সস ও টমেটো কুচি ছেড়ে দিন। স্বাদ মতো চিনি দিন। ভালোভাবে কষিয়ে নিন। তেল ভেসে উঠলে বেগুন দিয়ে দিন। এরপর আধা কাপ পানি দিয়ে ঢেকে দিন। ঝোল শুকিয়ে এলে ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে নিন।
টক-ঝাল-মিষ্টি স্বাদের বেগুন গরম ভাত অতবা খিচুড়ি প্রেমিরা ভুনা খিচুড়ি দিয়েও খেতে পারেন।