গহনায় নারীর ভালোবাসা
কিনে দে রেশমি চুড়ি
নইলে যাবো বাপের বাড়ি
দিবি বলে কাল কাটালি
জানি তোর জারিজুরি।
আশা ভোঁসলের এ গানটিতে ভালোবাসার আবেগে গহনার প্রতি নারীর চাহিদা ফুটে ওঠে। চিরচেনা সাজে নারীমনের সবচেয়ে বড় আবেদন হচ্ছে গহনা। প্রাচীনকাল থেকেই সাজগোজের অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে গহনাকেই প্রাধান্য দেন নারীরা। বিয়েশাদি, আচার-অনুষ্ঠান, পূজা-পার্বণ যেখানেই পা বাড়ানো হোক না কেনো, নারীর সাজে গহনা থাকবে না-এমনটা চিন্তাও করা যায় না। কেননা নারীর সৌন্দর্যকে আরো একধাপ এগিয়ে নেয়া যায় এ গহনার স্পর্শেই। পোশাকের সঙ্গে মানানসই গহনা জড়ালেই যেনো নারী তার প্রতিমারূপ লাভ করে, সৌন্দর্যের চরম সোপানে অধিষ্ঠিত হয়। হয়ে ওঠে সৌন্দর্যের আধার।
যেকোনো পোশাকের সঙ্গে মানানসই গহনা যোগ করে বাড়তি সৌন্দর্যের মাত্রা সৃষ্টি করা যায়। মেয়েরা সব ধরনের গহনাতেই নিজেকে ভালোভাবে মানিয়ে নিতে পারে। তাই বিভিন্ন দিবস এলে নারীদের পোশাকের সঙ্গে ম্যাচিং করে গহনা কিনতে দেখা যায়।
ভালোবাসা দিবস ঘিরেও কাপড়ের সঙ্গে ম্যাচ করে নারীরা নিজেকে আরো সাজিয়ে নিতে নানা রঙ আর ঢঙের গহনা কিনছেন। বিশেষ করে তারা পাথর, গোল্ড প্লেট, পিতল, কাপড় ও মাটির তৈরি গহনা কিনছেন। বাদ দিচ্ছেন না ডায়মন্ড ও গোল্ডের হালকা অলংকারও।
নগরীর শপিংমল, চাঁদনীচক, রাইফেল স্কয়ার, জেনেটিক প্লাজা, বসুন্ধরা, ইস্টার্ন প্লাজা, বায়তুল মোকাররমসহ বিভিন্ন মার্কেটে রয়েছে গহনার চমকপদ সংগ্রহ। এছাড়া বিভিন্ন গিফটের দোকান ও ফ্যাশন হাউজগুলোতেও পাওয়া যাচ্ছে নানা রঙ ও ঢঙের গহনা।
বাজারে ঘুরে দেখা যায়, ভালোবাসা দিবস ঘিরে বিভিন্ন অলংকার ও উপহার সামগ্রীর দোকান ছাড় দিয়ে গহনা বিক্রি করছে। ডায়মন্ডে ২০ থেকে ৩১ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, এ দিবস উপলক্ষ্যে গহনা তৈরির মজুরিতে ছাড় দেয়া হচ্ছে।
এসবের বাইরে দোকানগুলোতে ইমিটেশন, বিভিন্ন পাথরের গহনার সেট ৩০০-১০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া চুড়ি, আংটি, ব্রেসলেট, কানের দুল, নথ—এগুলো ৫০-৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন :
এমসি/ডিএইচ
মন্তব্য করুন