শীতে ফ্যাশনেবল পঞ্চ [ভিডিও]
পাঁচ কোণার পঞ্চ হালকা শীতে উষ্ণতা দেয়ার পাশাপাশি বেশ ফ্যাশনেবল একটি পোশাক। এ ধরনের পোশাকের প্রচলন বহু আগে থেকে। তবে ফ্যাশনের সঙ্গে এর সম্পর্ক ছিল সামান্যই। এ পোশাকটি নতুন করে বাজারে আসার পরই তরুণ-তরুণীদের কাছে দারুণ সমাদৃত হয়েছে। এটি অনেকটা এক ছাঁটের পোশাকের মতো। কাপড়টাকে একটা ভাঁজ করে গলা এবং দুটো হাতার জায়গা করে নিলেই তৈরি হয়ে যায় পঞ্চ। জনপ্রিয় হওয়া পঞ্চ তৈরির প্রথম দিকে ম্যাটেরিয়াল ছিল শুধু উল। তবে দিন বদলের হাওয়ায় এখন খাদি, লিলেন, জর্জেট কাপড়ের কুরুশ-কাঁটার কাজে তৈরি হচ্ছে বাহারি পঞ্চ। এর নকশাকে আরো জমকালো করতে জুড়ে দেয়া হচ্ছে পুঁতি, চুমকি, বিডস, ডলার, ব্লক, বাটিক, অ্যামব্রয়ডারি প্রভৃতি।
শীতের এ পোশাকটি একাধারে স্টাইলিশ ও শীতের উপযোগী হওয়ায় চার দিকে এখন এর কদর বেড়ে গেছে দারুণভাবে। এটি চাদর ও সোয়েটারের ফিউশনে তৈরি হয়। কিছুটা সোয়েটারের আদলে করা হলেও ঢিলেঢালা ভাবটা থাকে।
গোল তো রয়েছেই সেই সঙ্গে পঞ্চতে রয়েছে ভি, তিন কোণা, চার কোণা গলাও। কিছু কিছু পঞ্চে হুড দেয়া থাকে। ফলে বাড়তি করে মাফলারের প্রয়োজন হয় না।
আবার অনেক পঞ্চের কাঁধের দু’ দিকে দু’ টুকরো কাপড় থাকে যা মাফলারের মতো করে পেঁচিয়ে নিতে পারেন।
পঞ্চ যেহেতু একটু ফ্যাশনেবল এক্সেসরিজ তাই শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে পঞ্চ পরাটা বেমানান। এটি সাধারণত জেগিংস, লেগিংস বা স্কিনি জিন্সের ওপর পরতে হয়।
ওপরের টপসটি অবশ্যই ফুলহাতার হতে হবে।
কারণ পঞ্চে সোয়েটার স্টাইলে হাতা থাকে না। কিন্তু এর গঠনের কারণে পুরো হাত ঢেকে থাকে। এবং ত্রিকোণা কাটিং এ ঝুলে যায়।
তবুও ফুলস্লিভের টপস পরলে হাত ওঠানামা করলেও ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা কম থাকবে।
পঞ্চের স্টাইলে ও শেপে ইদানীং এসেছে খানিকটা পার্থক্য।বিশেষ করে দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো তরুণীদের ওয়েস্টার্ন আউটফিট হিসেবে পঞ্চকে জনপ্রিয় করে তুলেছে।
দেশীয় হাউসগুলো দেশি কাপড়কে প্রাধান্য দিয়েই পঞ্চ তৈরি করে থাকে। সেক্ষেত্রে উলের পাশাপাশি খাদি কাপড়, কিংবা দেশীয় মোটা কাপড়েও পঞ্চ তৈরি হয়।
কারণ খাদি কাপড় একটু ভারী হয়।
এ ধরনের ভারী কাপড় শীতের জন্য বেশি উপযোগী।
রঙ বাংলাদেশ, আড়ং, আলমারি, থ্রি উইসেস, ওটু, ওয়ারাহ, এক্সট্যাসি, ক্যাটস আই, সাদাকালো প্রভৃতি ফ্যাশন হাউসগুলো ক্যাজুয়াল, এক্সক্লুসিভ সবধরনের প্যাটার্নেই পঞ্চ নিয়ে এসেছে।
শীতের উপযোগী ডিজাইন ও স্টাইলের পাশাপাশি এর দামও রাখা হয়েছে ক্রেতাদের হাতের নাগালে।
আরকে/এমকে
মন্তব্য করুন