• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

চিকুনগুনিয়া জ্বর, চাই সচেতনতা

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১২ জানুয়ারি ২০১৭, ১৮:১৮

চিকুনগুনিয়া একটি মশাবাহিত রোগ। এ রোগটি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ৯০ দশকের পরে ধরা পড়ে। ওই সময় দেশটিতে পাওয়া যায় বেশ কয়েকজন রোগী। এরই সূত্র ধরে ২০০০ সালের পর বাংলাদেশের আইইডিসিআর (জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট) জরিপ চালিয়ে কুষ্টিয়া, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রথম চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করে।

চিকিৎসকরা বলছেন, এ রোগে আক্রান্ত রোগিদের প্রচণ্ড জ্বর, মাথা, শরীর, শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে, মাংসপেশিতে ব্যথা অনুভূত হয়। এছাড়া একটু পরপরই তৃষ্ণা পাবার মতো লক্ষণ দেখা দেয়।

চিকুনগুনিয়া রোগের বাহক এডিস মশা। তবে এ রোগে কেউ মারা যান না বলে জানান চিকিৎসকরা। কিন্তু এ রোগে আক্রান্ত কাউকে কামড়ানোর পর কোনো মশা অন্য কাউকে কামড়ালে ওই ব্যক্তির মধ্যেও সংক্রমণ হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ আরটিভি অনলাইনকে বললেন, অন্য বছরের তুলনায় সাম্প্রতিক সময়ে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। ডেঙ্গুর মতোই এ রোগটিও এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের সহাকারি অধ্যাপক ডা. শামীম আহমেদ বলেন, এ রোগ হলে আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। যদি কেউ এতে আক্রান্ত হন তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি হবার কারণ হিসেবে তিনি মনে করছেন, যারা ভারতে যাচ্ছেন বা সেখান থেকে বাংলাদেশে আসছেন তাদের মাধ্যমেও এটা ছড়াতে পারে। তাই ভ্রমণের ক্ষেত্রে অবশ্যই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। পাশাপাশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। আর ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা আরটিভি অনলাইনকে বললেন, এসব রোগের ক্ষেত্রে সবার আগে নিজেদের সতর্ক থাকতে হবে। রাতের বেলায় মশারি টানিয়ে ঘুমানো, জানালায় নেট ব্যবহার করা, পারলে শরীরে মশা প্রতিরোধক ক্রিম ব্যবহার করা যায়।

ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়ররা বললেন, জনগণের সুবিধার জন্য আমরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। তারই ধারাবাহিকতায় মশক নিধন কর্মসূচি আমাদের নিয়মিত কাজের অংশ। এ কাজটি আমরা প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছি। এ বিষয়ে আরো সচেতন হয়ে মশক নিধন কর্মসূচি বাড়ানো হয়েছে।

চিকিৎসকরা আরো বলেন, ডেঙ্গুতে যেমন রক্তক্ষরণ হয়; এ রোগে তেমন হয় না। তবে চিকুনগুনিয়া ভালো হয়ে গেলেও রোগী প্রায় এক-দেড় মাসের মতো ক্লান্তি, অবসাদ, দুর্বলতা ও গিঁটে ব্যথার উপসর্গে ভোগে। তবে এ রোগের কারণে কেউ মারা যান না। এতে আক্রান্তদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। প্রচুর পরিমাণে পানি ও তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। সেইসঙ্গে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে।

আরওয়াই/ডিএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • লাইফস্টাইল এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh