পূজায় পছন্দের খাবার খান, তবে…
মন্দিরে কাসার ঘণ্টার ঢং ঢং আওয়াজ আর ঢাক-ঢোলের বাজনার তালে তালে পূজার উৎসব শুরু হয়েছে। কেউবা মনোহারী খাবার খেয়ে আবার কেউ লগ্ন ধরে উপোস করে উপলব্ধি করছেন পূজার মাহাত্ম্য। তবে পূজার সঙ্গে জমিয়ে পেট পুজো করবেন, নাকি বিশেষ কিছু খাবার গ্রহণে সতর্ক হবেন- এ বিষয়ে খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
আসুন জেনে নিই পূজার খাবার গ্রহণে বিশেষ যেসব প্রস্তুতি নেয়া দরকার-
পূজার আনন্দের অন্যতম অনুষঙ্গ হলো খাবার। সমস্ত দিনে নানা পদের খাবার থাকবে। মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন- সন্দেশ, রসগোল্লা, চমচম, মিষ্টি দই, রাজভোগ, কালোজাম, রসমালাই, প্রাণহারা, ছানামুখী, মণ্ডা, মকড়ম, ক্ষীর, বাতাসার আয়োজন থাকে। এছাড়া ঢেঁকিছাঁটা চিড়া, ঝোলাগুড় মাখানো মুড়ির মোয়া, নারকেলের নাড়ু, তালের বড়া, নকশি পিঠা ইত্যাদি লোভনীয়ভাবে উপস্থাপন করা হয়। যা না খেয়ে থাকা যায় না।
এসময় রান্নার মধ্যেও আসে ভিন্নতা। লুচি আলুর দম, বেগুন ভাজি, আলু পোস্ত, ছোলার ডাল, শুক্ত, কাঁচকলার কোফতা, ভেটকি মাছের পাতুরি, চিংড়ি মাছের মালাইকারী, চিতল মাছের মুইঠ্যা, সরিষা ইলিশ, খিচুড়ি এসব খেতে খুব সুস্বাদু। দুই-এক দিন বেশি খেতে যদিও খুব বেশি বাধা নেই, তবুও রয়ে-সয়ে খাবার খাওয়া উচিত। এসব খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে পেটের পীড়া, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা হৃদরোগ আছে এমন মানুষদের বিশেষ সতর্ক হতে হবে।
নিজের বাসায় তো বটেই, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের বাসায় ঘুরে ঘুরে, এবং উৎসবস্থল থেকে প্রায় সারাদিনই টুকিটাকি এটা-সেটা খাওয়া হয়। আমরা কী খাচ্ছি, কতটুকু খাচ্ছি, বিভিন্ন খাবার গ্রহণের প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে এসব বিষয়ের ওপর আমাদের একটু নজর দেয়া দরকার।
দুর্গাপূজায় অনেকেই উপোস করেন। তবে উপোস করার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের দিকেও নজর দিতে হবে। যেসব ডায়াবেটিস রোগী ওষুধ খান বা ইনসুলিন নেন, তাদের খাবারটা সঠিক সময়ে খেয়ে নিতে হবে। অথবা যারা গ্যাস্ট্রিক আলসারের রোগী, তারা অনেকক্ষণ খাবার না খেয়ে থাকলে ব্যথায় ভুগতে পারেন। তাদের উচিত হবে উপোসের সময় তরল জাতীয় খাবার, যেমন দুধ, ফলের রস ইত্যাদি খাওয়া।
ষষ্ঠীতে দুপুরে খিচুড়ি আর বেগুনভাজা খেতে পারেন। পাঁচমিশালি সবজি থাকতে পারে। ঢেকিছাঁটা চাল, মসুর বা হরেক ধরনের ডাল দিয়ে রান্না খিচুড়ি খেতে পারেন। মোটকথা বেশি মশলাযুক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো। খাবারের তালিকায় বেশি বেশি সবজি রাখুন।
আরও পড়ুন :
জিএ/এসএস
মন্তব্য করুন