তেল ছাড়াই খাবার খান রেস্টুরেন্টে
তেল ছাড়া আবার রান্না করা যায়? হয়তো ভাবছেন এমনটাই। কিন্তু আপনি জানেন- তেলে চর্বিজাতীয় পদার্থ বা ট্রাইগ্লিসারাইড থাকে। যা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এক গ্রাম তেলে ৯ ক্যালরি রয়েছে। মানুষের স্থূলতা, ডায়াবেটিস এবং উচ্চরক্তচাপের কারণ। পূর্ণবয়স্ক কিংবা যাদের শারীরিক বৃদ্ধি থেমে গেছে তাদের তেল ছাড়া খাবার খাওয়া দরকার বলে মনে করেন ডায়েটেশিয়ানরা।
এ লক্ষ্যেই চালু হলো দেশের প্রথম তেল ছাড়া খাবারের রেস্টুরেন্ট ‘সাওল ক্যাফে’। বাংলাদেশে বিনা অপারেশনে হৃদরোগ চিকিৎসার পথিকৃৎ প্রতিষ্ঠান সাওল হার্ট সেন্টারের উদ্যোগে ‘অয়েল ফ্রি রেস্টুরেন্ট ফুড’ শ্লোগান নিয়ে রাজধানীর ২৬ ইস্কাটন গার্ডেন রোডে মনোরম পরিবেশে এর যাত্রা শুরু।
উপমহাদেশের চেইন চিকিৎসালয় সাওল হার্ট সেন্টার বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা কবি মোহন রায়হান এর উদ্যোগতা। শনিবার সন্ধ্যায় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা, সাম্য ও বিপ্লবের কবি বললেন, ‘তেল-চর্বিযুক্ত খাদ্যাভ্যাসের কারণে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ থেকে মানুষকে রক্ষার উদ্দেশে ‘সাওল ক্যাফে’র যাত্রা শুরু। ক্রমান্বয়ে বৃহদাকারে আরো অয়েল ফ্রি ‘সাওল ক্যাফে’র শাখা সারাদেশে প্রতিষ্ঠা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেহে যতোটুকু তেলের দরকার তা প্রাকৃতিকভাবেই বিভিন্ন খাবারের মধ্যে আছে। তাই বিনাতেলে রান্না মানে তেলবিহীন খাদ্য নয়। আমরা দেহের সমস্যাগুলো তৈরি করি অপ্রয়োজনীয় চর্বি বা তেল এবং খাবার গ্রহণ করে।’
অনুষ্ঠানে আসা অন্যরা বলেন- হার্ট, ডায়াবেটিস ইত্যাদি নীরবঘাতক রোগ- যা নীরবে এসে নীরবেই সবশেষ করে দিয়ে যায়। এ নীরবঘাতক যেনো আর না আসতে পারে তার জন্য প্রতিরোধের চেষ্টা করা উচিত। কারণ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম। অয়েল ফ্রি ‘সাওল ক্যাফে’ সে সুযোগই করে দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে সাওলের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য।
শনি থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত রেস্টুরেন্টটি খোলা থাকছে। যেখানে সুলভ মূল্যে সকাল ও বিকেলের নাস্তা এবং দুপুরের খাবার পাওয়া যাবে। একইসঙ্গে অর্গানিক আঁশযুক্ত লাল আটা, ঢেঁকিছাটা চাল, যাঁতায় ভাঙা ডাল ও অন্যান্য খাদ্যসামগ্রীও পাওয়া যাবে এ রেস্টুরেন্টে।
আরকে/ এস
মন্তব্য করুন