এই বৃষ্টিতে পায়ের যত্ন
বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছে টানা বর্ষণ আর কালবৈশাখী ঝড়ের মাতম। বৃষ্টি শুরু হলেই শহর কিংবা গ্রাম- সব জায়গায়ই কাদাপানিতে জীবন অতিষ্ঠ। জুতা ভিজে তো একাকার, সেইসঙ্গে পায়েরও বারোটা। অন্যদিকে তীব্র গরমে অতিরিক্ত ঘাম থেকে পায়ের জীবাণু ও ছত্রাকঘটিত রোগ হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। এই বৃষ্টির মৌসুমে চলুন পায়ের যত্নে কী করা যেতে পারি জেনে নিই।
১. বাইরে থেকে এসে সবসময়ই পা ধুয়ে নিন আগে। তারপর একটি তোয়ালে কিংবা পেপার ন্যাপকিন দিয়ে শুকিয়ে নিন।
২. সম্ভব হলে পানিনিরোধী জুতা ব্যবহার করুন। এতে করে আপনার ভেজা জুতা থেকে তৈরি চুলকানি থেকে বাঁচতে পারবেন।
৩. প্রতিদিন একই জুতা পড়বেন না। বিকল্প একটি জুতা রাখুন।
৪. বাসার ভেতরে থাকলে আপনার পা যাতে বাতাস পায় এরকম ব্যবস্থা করুন। আপনার পা যেন সবসময় শুকনো থাকে সেটা নিশ্চিত করুন। আপনার পায়ের পাতার মাঝখানে অ্যান্টি ফাঙ্গাল পাউডার দিয়ে রাখতে পারেন।
৫. নখ লম্বা রাখবেন না। নিয়মিত নখের ভেতর এবং কোনা থেকে ময়লা পরিষ্কার করুন।
৬. যদি আপনার পা অনেকক্ষণের জন্য ভেজা থাকে তাহলে পায়ে ময়েশ্চারের অভাব ঘটে। পা ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার অথবা লোশন ব্যবহার করুন।
৭. জুতো শুকিয়ে নিয়ে পরার চেষ্টা করুন। পা ঢাকা জুতো এসময় ব্যবহার না করাই ভালো। স্যান্ডেল ব্যবহার করতে পারেন।
৮. প্রতিদিন বাড়ি ফিরে হালকা গরম পানিতে লবণ, লেবু বা কোনো সুগন্ধি তেল মিশিয়ে কিছুক্ষণ পা ডুবিয়ে রাখুন।
৯. গোলাপজল, গ্লিসারিন ও লেবুর রস মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি পায়ে লাগিয়ে রাখুন আধঘণ্টা।
১০. অলিভ অয়েল দিয়ে নিয়মিত মালিশ করলে পা সুন্দর থাকে।
১১. মোজা ছাড়া জুতা পড়ার চেষ্টা করুন। পা যতো খোলা রাখবেন ততোই দুর্গন্ধ কম হবে।
পায়ে যদি খুব বেশি দুর্গন্ধ হয় বা চুলকানি হতে থাকে, তবে ডাক্তার দেখিয়ে নেয়াই ভালো। ঘাম ও ভেজাভাবের কারণে পায়ে জীবাণু জন্মায়। অ্যান্টিফাঙ্গাল বেশকিছু ওষুধ বাজারে পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে এগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
কেএইচ/পি
মন্তব্য করুন