গৃহসজ্জায় পূজার ছোঁয়া
শরৎ মানেই পূজার ডাক, আর এই উৎসবকে ঘিরে সবারই কিছু পরিকল্পনা থাকে। শারদীয় দুর্গোৎসবের দশমীতে মূলত অতিথি আগমন বেশি হয়।
তাই শুধু ঘর সাজালেই কী চলে?
না। দেখতে হবে ঘরে যেন কোনও দুর্গন্ধ না থাকে। এর জন্য খুব বেশি পরিশ্রম করারও দরকার নেই। বদ্ধ আবহাওয়া দূর করে বাড়ি সতেজ রাখার কিছু সহজ উপায় রয়েছে।
পূজার আগে সব বাড়িতেই অল্পস্বল্প গোছগাছ চলে। অনেকে সব আসবাব সরিয়ে গোটা ঘর পরিষ্কার করেন। ঘরে ঝুল জমে থাকলে সেটা ঝেড়ে ফেলুন। তবে ধুলো জমবে বলে ঘরের জানলা দরজা সব সময় বন্ধ রাখবেন না। আলো-হাওয়া না খেললে ঘরে দুর্গন্ধ হবে।
এ সমস্যা দূর করার সহজ উপায় রুম ফ্রেশনার। ঘরের এসি মেশিনের সামনে এয়ার ফ্রেশনার রাখতে পারেন। সব চেয়ে ভালো উপায় সুগন্ধি ধূপ জ্বালানো। অতিথি আসার আধঘণ্টা আগে ঘরের এককোণে ধূপ জ্বালাতে পারেন। কর্পূরও দারুণ কাজ করে। মশা-মাছি তাড়াতেও কর্পূর কাজ করে। তাছাড়া সেন্টেড ক্যান্ডেল তো রয়েছেই। পটপিউরিও রাখতে পারেন ঘরের এক কোণে।
ইনডোর প্ল্যান্ট শুধু সৌন্দর্যের জন্যই নয়। ঘরের আবহাওয়ায় সতেজতা আনতেও সাহায্য করবে। ঘর সজ্জায় আমরা পাম, অর্কিড , লিলি বা কিছু তাজা ফুল রাখলে ঘর এমনিই সুগন্ধে ভরে যাবে।
চটজলদি ঘরের দুর্গন্ধ দূর করার একটা সহজ উপায় রয়েছে। কোনো ল্যাম্পের বাল্বে কয়েক ফোঁটা ভ্যানিলা এসেন্স মাখিয়ে দিন। তারপর ল্যাম্প জ্বালালে যত বাল্ব গরম হবে, তত ঘর মিষ্টি গন্ধে ভরে যাবে।
বাড়িতে বেশি অতিথি এলে বাথরুম পরিষ্কার রাখাটা খুব সমস্যা হয়ে যায়। চেষ্টা করুন যতটা সম্ভব পরিচ্ছন্ন রাখার। দেয়ালে এয়ার ফ্রেশনার অবশ্যই রাখবেন। কোণে পটপিউরিও রাখতে পারেন।
রান্নাঘর দুর্গন্ধ হবার সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা। নিয়ম করে ডাস্টবিন অবশ্যই খালি করবেন। ডাস্টবিনে ডিসপোজাল ব্যাগ রাখার আগে একটু লেবু ঘষে নিতে পারেন।
সিঙ্ক বা রেফ্রিজারেটর বেকিং সোডা আর ভিনিগার দিয়ে পরিষ্কার করুন। সব গন্ধ চলে যাবে। তাছাড়া রান্নাঘরে সুগন্ধ ছড়ানোর সহজ উপায় কুকি বেক করা।
আরও পড়ুন :
আরকে/ এসজেড
মন্তব্য করুন