• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

স্বামী হওয়ার আগে জেনে নিন

লাইফস্টাইল ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২০:০৬

একটা সময় ছিল অনেক প্রতিষ্ঠিত ছেলেরা বিয়ের জন্য ভাল, সুন্দর, বনেদি পরিবার ও শিক্ষিত মেয়ে খুঁজত। আর মেধাবী হলে তো ষোলোকলা পূর্ণ। তবে শর্ত একটাই, বিয়ের পর বাড়ির বউ চাকরি করতে পারবে না। কর্মক্ষেত্রে নিজের যোগ্যতায় সফল মেয়েটি স্বীয় স্বামী বা শ্বশুর-শাশুড়িকে খুশি করতে চাকরি ছাড়তে বাধ্য হতেন। চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় ইস্তফা দেয়ার আর একটি কারণ ছিল বিয়ের দু’তিন বছর পর যখন কোলজুড়ে সুন্দর ফুটফুটে একজন নতুন অতিথির আগমন ঘটত। নিজের সন্তানের কথা ভেবেও চাকরি ছাড়তে বাধ্য হতেন অনেকেই। তবে কালের আবর্তে আমাদের মন মানসিকতার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। পুরুষরাও এখন বাচ্চা লালনপালনসহ সংসারের সকল কাজে সরাসরি নিজেকে যুক্ত রাখতে চাইছেন। বিয়ের জন্য কর্মজীবী নারী খুঁজছেন। তবে চাকরিজীবী হোক বা গৃহিণীই হোক, প্রত্যেক নারীই স্বামীর কাছ থেকে সংসারের কাজে একটু সাহায্য কামনা করে থাকেন। আর স্ত্রী যদি চাকরিজীবী হয়ে থাকেন তাহলে তো সংসারের সকল কাজ সমানভাবে ভাগ করে নেয়া উচিত। মনে রাখতে হবে আপনার স্ত্রী আপনার মতোই একজন মানুষ। জেনে নিন আপনি কিভাবে আপনার স্ত্রীর কাজে সহায়তা করতে পারেন।

ঘরদোর পরিপাটি রাখুন

দুজনেই যেহেতু ব্যস্ত থাকেন দিনের বেশিরভাগ সময় তাই স্ত্রী যখন ঘরের কাজে ব্যস্ত থাকে আপনিও তাকে সাহায্য করতে পারেন। স্ত্রী রান্নার কাজে ব্যস্ত আছেন হাতে ঝাড়ুটা নিয়ে আপনার সাধ্যানুযায়ী ঘরটা ঝাড় দিয়ে রাখুন। বিছানাটা একটু পরিপাটি করে রাখুন। কিংবা বেডসিটটা নোংরা হয়ে গেছে পাল্টিয়ে লন্ড্রি বক্সে রেখে দিন।

রান্নাঘরে সামান্য সহযোগিতা

আপনাকে পুরো রান্না করে দিতে হবে না। আপনি যদি পাশে দাঁড়িয়ে থেকে একটু মিষ্টি কথা বলেন স্ত্রীকে। আর এই কথার ছলে যদি এটা ওটা এগিয়ে দিয়ে থাকেন তাহলেও স্ত্রীকে অনেক বেশি সহযোগিতা করা হবে। আর যদি চাকরিজীবী স্ত্রী হয়ে থাকেন তাহলে একটু বেশিই না হয় সহযোগিতা করলেন স্ত্রীকে। যেমন তরকারিটা কেটে দিলেন বা সবজিটা ধুয়ে দিলেন। মাছ হয়তো আপনি কাটতে জানেন না তাই বাজার করার সময় মাছটা কাটিয়ে বা মুরগিটা ছিলে বাসায় ফিরুন। দেখবেন স্ত্রী অনেক খুশি হবেন।

খাবার টেবিলে পরিবেশন

সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, সন্ধ্যাবেলার স্ন্যাকস, আবার রাতের খাবার সবই তো আপনার স্ত্রীকে পরিবেশন করতে হয়। এছাড়া অতিথি আসলে তো কথাই নেই যখন তখন চা-নাস্তা পরিবেশন করতে হয়। এক্ষেত্রে আপনি কি হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন? নাকি মেহমানের সঙ্গে গল্পে মেতে থাকবেন? এটা কখনোই করবেন না। আপনি মেহমানকে টিভিটা ছেড়ে দিয়ে রিমোটটা তার হাতে দিয়ে ভদ্রতাবশত বলুন ‘আপনি দেখতে থাকুন আমি একটু আসছি’। ফাঁকে স্ত্রীর কাছে জেনে নিন তার কী কী সহযোগিতা দরকার। আবার খাওয়া-দাওয়া শেষে আপনি নিজেই উঠে গিয়ে থালাবাসন ধুয়ে ঠিক ঠিক জায়গায় রেখে দিন, দেখবেন আপনার সঙ্গিনী অনেক খুশি হয়েছে।

বাজারে সহযোগিতা

অনেক পুরুষই নিজে বাজার করে আনেন। কিন্তু অনেকেই এই কাজটি ছেড়ে দেন স্ত্রীর উপরে। ছেড়েই না হয় দিলেন কিন্তু যদি তার সঙ্গে থাকেন বাজার করার সময় তাহলেও কিন্তু আপনার স্ত্রী অনেক বেশি খুশি হয়ে যাবেন। আর তিনি এতটুকুই আশা করেন আপনার কাছ থেকে। টাকার ব্যাগটা স্ত্রীর হাতে থাক কিন্তু বাজারের ব্যাগটা তো আপনি বহন করতে পারেন।

ঘরের গাছগুলোর একটু যত্নআত্তি

অনেকেই শখ করে বাগান করেন ঘরে আবার বাগান করার ধৈর্য না থাকলেও কয়েকটি গাছপালা রাখেন নিজের ঘরে। এই গাছগুলোর যত্ন করার দায়িত্ব কিন্তু শুধুমাত্র আপনার স্ত্রীর উপরেই বর্তায় না। ৫টি মিনিট বের করে যদি একটু পানি দিয়ে দেন তাতেই স্ত্রীর অনেক সাহায্য হয়ে যাবে।

সন্তান থাকলে তাদের সময় দেয়া

যদি ঘরে সন্তান থাকে তাহলে চাকরিজীবী হোক বা গৃহিণীই হোক না কেন স্ত্রীরা চান ঘরে ফিরে স্বামী তার সন্তানদের সঙ্গে একটু সময় কাটান। তাদের পড়ালেখায় একটু হলেও সাহায্য করুক। এতে অনেক বড় একটি দায়িত্ব পালন করা হয়ে যাবে।

বাচ্চাদের স্কুলে আনা-নেওয়া

বাচ্চাদের স্কুল থেকে আনা-নেওয়ার কাজটি মাকেই করতে দেখা যায়। সন্তানের পিতার উপস্থিতি খুবই নগণ্য। চাকরিজীবী মায়েদের দেখা যায় স্কুলে দিয়ে আবার অফিসের ফাঁকে বাচ্চাকে বাসায় পৌঁছে দেয়। এক্ষেত্রে দু‘জনের আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করে নেওয়া ভালো যে কে কোনদিন সুযোগ করে বাচ্চা আনা-নেওয়ার কাজটি করবে।

সর্বোপরি, সংসার মানেই দু’জনের সমঝোতা পরস্পরের বোঝা-পড়া। সংসারে একজন অন্যজনের পরিপূরক। সংসারে দায়িত্ব একজনের ওপর চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়।

আরকে/জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • লাইফস্টাইল এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh