• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

সঙ্গী বাছাইয়ে পুরুষদের পছন্দ

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

  ২৯ জুলাই ২০১৭, ১১:২৫

নারী ও পুরুষ উভয়েই জীবনসঙ্গী হিসেবে একজন বুদ্ধিদীপ্ত ও হাস্যরস মানুষকে পেতে আগ্রহী। মানুষের জীবনটা যতটা না বড় তার চে’ তার আশা-আকাঙ্ক্ষা অনেকগুণ বড়। আশা আকাঙ্ক্ষার মধ্যে সবার আগে মানুষের ভাবনায় যে বিষয়টি আসে তা হলো জীবন কাটাতে একজন উপযুক্ত জীবনসঙ্গী খোঁজা। এই উপযুক্ততার কোন মাপকাঠি নেই। জীবনসঙ্গী পছন্দের ক্ষেত্রে সবার চাহিদা ও রুচিবোধ এক রকম নয়। তবে কিছু মৌলিক বিষয় আছে যার সঙ্গে সবাই এক মত হবেন। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের বিষয় হচ্ছে সঙ্গী বাছাইয়ে পুরুষদের পছন্দ।

শিক্ষিত ও মার্জিত

‘তোমরা আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদের একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দেবো’। নেপোলিয়নের এই বিখ্যাত উক্তিটি নিশ্চয়ই সবাই জানেন। সত্যিই শিক্ষাই আসলে জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে বহুদূর। আর একজন মা-ই দিতে পারেন নিজের সন্তানকে সুশিক্ষার প্রথম পাঠ। সঙ্গী নির্বাচনে আজকাল সবাই শিক্ষিত মেয়েকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।

মনের সৌন্দর্য

পুরুষরা জীবনসঙ্গী হিসেবে শুধুমাত্র দৈহিক সৌন্দর্য খোঁজে না। প্রাথমিকভাবে চোখের দেখায় ভালো লাগলেও, প্রথম দর্শনে প্রেমে পড়ে গেলেও, চূড়ান্তভাবে কিন্তু মনের সৌন্দর্যেই আকৃষ্ট হন তারা। যে নারী তার পৃথিবীটাকে সুন্দর করে দেখাতে পারে তাকেই জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেন পুরুষরা।

প্রাণোচ্ছল নারী

পুরুষরা জীবনসঙ্গী হিসেবে প্রাণোচ্ছল বা প্রাণখোলা নারী পছন্দ করেন। মন মরা ও গম্ভীর নারীদের সঙ্গে জীবনের সকল বিষয়ে শেয়ার করা যায় না। খুঁতখুঁতে বা সন্দেহপ্রবণ স্বভাবের নারীদের পুরুষরা পছন্দ করে না। কারণ তাদের মনের কোণে ক্ষোভ জমে থাকলে তা বোঝা যায় না। ফলে সম্পর্কের উষ্ণতা রক্ষার ক্ষেত্রে তার প্রভাব পড়ে। হাস্যরস ও প্রাণোচ্ছল কথাবার্তা পুরুষদের মনোযোগ আকর্ষণ করে।

দায়িত্বশীল

একজন দায়িত্ববান জীবনসঙ্গীর প্রয়োজন অপরিসীম। ভবিষ্যতে স্বামীর অবর্তমানে সংসার ও সন্তানের দায়িত্ব নিতে পারবেন এমন নারীদের জীবনসঙ্গী হিসেবে পছন্দ করেন পুরুষেরা। পরনির্ভরশীল নারীদের সঙ্গে স্বল্পকালীন জীবন কাটানো যায় কিন্তু পুরো জীবন কাটাতে গেলে হাঁপিয়ে উঠতে হয়। সংসার জীবনে দুজনে হাত ধরাধরি করে চলতে পারবেন এমন দায়িত্বজ্ঞান সম্পূর্ণ নারীদের জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেয় পুরুষেরা।

স্বচ্ছ ও সত্যবাদী

সত্যবাদিতা মানবজীবনের শ্রেষ্ঠ গুণের একটি। যার মাঝে যত বেশি সত্যবাদিতা রয়েছে তার মাঝে ততবেশি বিশ্বস্ততা রয়েছে। নারী যদি সত্যবাদী হয় পরিবারের প্রত্যেকটি লোকই সত্য বলতে শেখে। তাই মনীষীরা বলেন সত্যই (মানুষকে) মুক্তি দেয়, মিথ্যা মানুষকে ধংস করে। সত্য কথা বলার পাশাপাশি কথাবার্তায়ও স্বচ্ছতা আনতে হবে। তাই একজন নারীর কপটতাহীন কথাবার্তা ও স্বচ্ছতা পুরুষদের অনেক আকৃষ্ট করে। যেমন, যে নারীকে পুরুষ জীবনসঙ্গী হিসেবে চায় সে তাকে সত্যিই ভালোবাসে কী না সে বিষয়ে স্বচ্ছতা না থাকলে পুরুষসঙ্গীটি পরবর্তীতে ভোগান্তি ও অবহেলার আশঙ্কায় পিছিয়ে পড়ে।

ধৈর্যশীল নারী

ধৈর্য মহৎ গুণ। পারিবারিক জীবনে ধৈর্যশীল নারীর বিকল্প নেই। পরিবার প্রতিপালনে ভালো-মন্দ, অভাব-অনটন, বিপদ আপদ, সুখ দুঃখ থাকবেই। সর্বাবস্থায় ধৈর্য ধারণ করতে হবে। তাই সঙ্গী নির্বাচনে একজন পুরুষ ধৈর্যশীল নারীকে বেশি গুরুত্ব দেন।

কথাবলার ধরন

কথাবলার বাচনভঙ্গি সুন্দর ও সাবলীল হতে হবে। একজন নারীর দৈহিক সৌন্দর্য নাও থাকতে পারে, কিন্তু তার কথা বলার স্টাইলে একজন পুরুষ মুগ্ধ হবেই যদি সে নিজেকে সেভাবে উপস্থাপন করতে পারে। কথায় কথায় যাতে আঞ্চলিকতার টান না আসে সেদিকে বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখতে হবে। শুদ্ধ ভাষায় কথা বলাই উত্তম। কথা বলার ধরন বা স্টাইল সুন্দর হলে পুরুষের নজর কাড়বেই।

আরকে/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • লাইফস্টাইল এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh