• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ইরানের ইফতার

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

  ০৩ জুন ২০১৭, ১২:১৮

ইরানে নানা ধরনের ফলমূল, পানীয় ও মিষ্টান্ন দিয়ে রোজাদার মুসলমানরা ইফতার করে থাকেন। ফলের মধ্যে থাকে খেজুর, আপেল, চেরি, তরমুজ আখরোট, তলেবি বা এক ধরনের বাঙ্গি, কলা, আঙ্গুর ইত্যাদি। এছাড়া, মধু, রুটি, পনির, দুধ, পানি, চা উল্লেখযোগ্য।

ইফতারিতে অনেকটা অবশ্যম্ভাবী উপাদান হিসেবে থাকে টমেটো, শসা, লেটুসপাতার সালাদ এবং পুঁদিনা ও ধনিয়া পাতাসহ নানা রকমের সুগন্ধযুক্ত পাতা।

আর থাকে এক রকমের জিলাপি, তার স্বাদ ঠিক বাংলাদেশি জিলাপির মতো নয়। হালিম নামে একটি খাবারও ইফতারিতে খাওয়া হয়। তবে এই হালিমের স্বাদ বাংলাদেশের হালিমের মতোও নয়।

ছোট চাল, চিনি আর জাফরান দিয়ে রান্না হয় এক ধরনের ক্ষির বা পায়েশ যার ইরানি নাম ‘শোলে জার্দ’।

এছাড়া আরো কয়েকটি মিষ্টি জাতীয় খাবার যা বাংলাদেশের হালুয়ার মতো।

বাংলাদেশে যেমন মসজিদে মসজিদে সাধারণ মানুষের জন্য ইফতারের আয়োজন করা হয়, তেমনি ইরানের সব মসজিদে থাকে ইফতারের আয়োজন। এসব আয়োজন স্থানীয় ব্যবসায়ী, এলাকাবাসী বা কোন কোন মসজিদে সরকারিভাবে ইফতারের আয়োজন করা হয়। তবে সবচেয়ে বড় ইফতারের আয়োজন হয় পারস্যের মাটিকে ধন্য করে শুয়ে থাকা ইসলামের আলোকিত ব্যক্তিত্বদের মাজারে। মাশহাদে ইমাম রেজা (আ.)-এর মাজারে ইফতারের বিশাল আয়োজনের ছবি। এসব ইফতারে নারী-পুরুষ উভয়েই একসঙ্গে অংশ নেন। ইমাম রেজার মাজারে প্রতিদিন অন্তত ১২ হাজার মানুষ ইফতার করে থাকেন।

মসজিদে কিংবা আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীর বাড়িতে ইফতারি দেয়ার রেওয়াজ ইরানেও আছে। এছাড়া যেসব অফিস ইফতারের সময়ও খোলা থাকে সেখানে অফিস থেকেই ইফতার সরবরাহ করা হয়।

এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • লাইফস্টাইল এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh