• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

খালি পেটে লিচু দেবেন না শিশুকে

অনলাইন ডেস্ক
  ২৪ মে ২০১৭, ২০:০৭

খালি পেটে লিচু খেলে শিশুর মৃত্যু হতে পারে। এমন তথ্য শিশু বিশেষজ্ঞদের।

২০১৫ সালের ২৯ মে থেকে ১৮ জুনের মধ্যে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎধীন অবস্থায় মারা গেছে ১১ শিশু। তাদের বয়স ছিল দেড় থেকে ছয় বছরের মধ্যে। এ ঘটনার আগে ও পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে মৌসুমী ফল খেয়ে আরো অনেক শিশু মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ভারতেও ১৯৯৫ সাল থেকে এভাবে শিশুর মৃত্যুর খবর আসছে। তবে শিশু বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভরা পেটে শিশুরা লিচু খেলে কোনো সমস্যা নেই।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) গবেষকরা এতোদিন কারণ হিসেবে লিচু বাগানে ছিটানো কীটনাশক ও রাসায়নিকের কথা বলে আসছিলেন। তবে সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে খালি পেটে লিচু খেলেই শিশুদের শরীরে বিষক্রিয়া দেখা দেয়।

এখন দেখা যাচ্ছে যে মৃত্যুর কারণটা লুকিয়ে রয়েছে ‘লিচু’ফলের মধ্যেই। লিচুতে হাইপোগ্লাইসিন নামে একটি রাসায়নিক থাকে, যা শরীরে শর্করা তৈরি রোধ করে। খালি পেটে অতিরিক্ত লিচু খেয়ে ফেললে শিশুদের শরীরে শর্করার পরিমাণ অত্যন্ত কমে গিয়ে তা মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

আন্তর্জাতিক চিকিৎসা বিজ্ঞান পত্রিকা ‘ল্যানচেট’-এর সাম্প্রতিক সংখ্যায় প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে এ তথ্য উঠে এসেছে। খালি পেটে অনেকগুলো লিচু খেয়ে ফেললে শরীরে যে বিষ তৈরি হয়, তার ফলেই সুস্থ-সবল শিশুদের হঠাৎ খিঁচুনি আর বমি শুরু হয়। তারপরেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে তারা। আর এভাবে আক্রান্ত হওয়া অর্ধেকেরও বেশি শিশু মারা যায়।

ভারতের বিহারে দু’বছর আগে মৌসুমী ফল লিচু খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল ৩৯০টি শিশু। তার মধ্যে ১২২ জনই মারা গিয়েছিল। গবেষকরা এখন বলছেন, খালি পেটে লিচু খাওয়ার ফলেই তাদের শরীরে বিষক্রিয়া দেখা দিয়েছিল।

বিহারের ঘটনায় বিজ্ঞানীরা প্রত্যেকটি শিশুর চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য খুঁটিয়ে দেখে এ সিদ্ধান্তে এসেছেন যে, ওই বাচ্চাগুলো আগের রাতে খাবার খায়নি অথবা কম খেয়েছিল। পরের দিন রাস্তায় পড়ে থাকা, নষ্ট হয়ে যাওয়া অথবা অপরিপক্ব লিচু একসঙ্গে অনেকগুলো খেয়ে ফেলেছিল তারা। তারপরেই অসুস্থ হয়ে পড়ে বাচ্চাগুলো।

অপরিপক্ব লিচু বা লিচু জাতীয় ফল খেয়েই যে বিষক্রিয়ায় বহু শিশু মারা যায়, সেটা অনেক দিন আগেই ক্যারিবিয়ান দ্বীপে গবেষণায় জানা গিয়েছিল। এরপর ‘জামাইকান ভমিটিং সিকনেস’ নামের ওই রোগটির ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য ভারত ও বাংলাদেশসহ এশিয়ার কয়েকটি অঞ্চলে পৌঁছাতে অনেক দেরি হয়েছে।


এপি/জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • লাইফস্টাইল এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh