• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বহু রূপে গামছা

লাইফস্টাইল ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ২৩ মে ২০১৭, ১৫:২৭

বাঙালির কাছে গামছা শুধু প্রয়োজন মেটাবার উপকরণই নয় বরং তা আমাদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি বা এক কথায় বাংলার শাশ্বত রূপের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। গ্রাম বাংলার যে কোনো পেশার যে কোনো মানুষের কাছে এই গামছার কদর কতখানি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। গামছা দেশীয় ঐতিহ্য আর সমকালীন ট্রেন্ডের যথাযথ সমন্বয়। কেউ চাইলে নিজের নকশায় গামছা দিয়ে পোশাক বানিয়ে নিতে পারেন। আবার ফ্যাশনের একটি আলাদা অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে গামছা। পাতলা কাপড়ের ধরন এবং প্যাটার্নটি নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে আলাদা একটি ফ্যাশন জগৎ। গামছা নিয়ে বিশ্বের ফ্যাশন জগৎ মাতিয়ে চলছেন আমাদের ডিজাইনাররা। আর এই গামছা ফ্যাশনের মূল কারিগর হলেন বিখ্যাত ডিজাইনার বিবি রাসেল। তিনিই একে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেন।

রঙ-বেরঙের চেক প্যাটার্নের গামছা শুধু পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা আর শরীরের ঘাম ক্লান্তি মোছার জন্যই নয়, গামছা শোভা পাচ্ছে শাড়ি, ফতুয়া, টপস, পাঞ্জাবিসহ বিভিন্ন পোশাকে। এ ফ্যাশনের জন্য কিন্তু আমাদের দেশের আবহাওয়াও এক ধরনের নিয়ামক হিসেবে কাজ করে, গামছার কাপড় অনেক নরম, পাতলা এবং পানি শোষণে বিশেষ সহায়ক বলে গরমে বেশ আরামদায়ক হয়।

দেশের অনেক ফ্যাশন হাউসে এখন শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, টপস কিংবা ওড়নায় গামছার কাপড় ব্যবহৃত হচ্ছে। অনেকেই আবার ভিন্ন ধরনের কাপড়ের সঙ্গে গামছার কাপড় যোগ করে তৈরি করছেন ফিউশন। স্কার্ট এবং বিভিন্ন ধরনের প্যান্টে ফিউশনের মধ্যে অন্যতম। ছেলেরাও ঐতিহ্য আর ফ্যাশন এক করে নিয়ে গামছা ফ্যাশনে পিছিয়ে নেই কিন্তু! গামছা কম্বিনেশন দেখা যাচ্ছে পাঞ্জাবি, প্যান্ট, শার্ট ও ফতুয়াতেও।

সাজে

গামছা মূলত প্রকৃতিতে আমরা যেসব রঙ দেখে অভ্যস্ত তার ওপর প্রাধান্য দিয়েই তৈরি হয়। ক্যাজুয়াল পোশাক হিসেবে গামছা বেছে নিলে হালকা আইশ্যাডো আর একটুখানি লিপস্টিকের ছোঁয়াই যথেষ্ট। তবে যদি কোনো অনুষ্ঠানের জন্য গামছা ডিজাইনের শাড়ি কিংবা অন্য কোনো পোশাক বেছে নেন তবে একটু ভারী মেকআপ নেয়া যেতে পারে পোশাকের রঙের সঙ্গে মিল রেখে কিংবা কন্ট্রাস্টে। তবে মেকআপ যাতে উজ্জ্বলভাবে উপস্থাপিত হয় সেদিকে নজর রাখা চাই। আর গামছা পোশাকের সঙ্গে ভালোভাবেই মানিয়ে যাবে এন্টিক ধরনের কোন গহনা। এ ছাড়া কাঠের কিংবা পুঁতির মালা, কানের দুল কিংবা বাজু সাজে এনে দিতে পারে ভিন্নতা।

ফ্যাশনে

শাড়ি, ফতুয়া, টপস, স্কার্ট, ওড়না, সালোয়ার-কামিজ এমনকি পাঞ্জাবিতেও ব্যবহার হচ্ছে পিওর গামছা। পোশাকে গামছা শুধু কাপড় হিসেবেই নয়, ফ্যাশন দুনিয়ায় গামছার রয়েছে বহু ব্যবহার। ফ্যাশনেবল ব্যাগ তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে গামছা। এ ছাড়া রয়েছে রুমাল, জুয়েলারি বক্স, মাথার ব্যান্ড ও ফিতা।

শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, কুর্তি, পাঞ্জাবির পাশাপাশি তৈরি করা হচ্ছে বটুয়া ব্যাগ, ভ্যানিটি ব্যাগ, স্যান্ডেল, পার্স ব্যাগ, অলংকার, টুপি ও উত্তরীয়। ঘর সাজানোর সামগ্রীও তৈরি করা হচ্ছে গামছা দিয়ে। ল্যাম্পশেড, কুইল্ট, ডাইনিং টেবিলের রানার ও প্লেসমেটও তেরি হচ্ছে গামছা দিয়ে।

গৃহসজ্জায়

আবার ঘর সাজানোর অনুষঙ্গ হিসেবে গামছা মানানসই বিছানার চাদর ও জানালায় পর্দায় ফিউশন ডিজাইন করে গামছা ব্যবহার করা যায়। গামছার নকশা থেকে যেকোনো একটি উজ্জ্বল রং বেছে নিতে পারেন পর্দা আর চাদরে। খাবার ঘরে গামছা মোটিফ চাইলে নিতে পারেন গামছা, টেবিল রানার ও ন্যাপকিন। টিস্যু হোল্ডারেও গামছা নকশা পাবেন। সাজে ষোলোআনা সামঞ্জস্য পেতে বেসিনের পাশে টাওয়েলের পরিবর্তে একটা গামছা রাখুন।

পাওয়া যাবে

আড়ং, বিবিয়ানা, যাত্রা, সোর্স, দেশি দশ, স্বদেশিসহ প্রায় সব দেশীয় ফ্যাশন হাউস কাজ করেছে গামছা নিয়ে। পোশাকের পাশাপাশি ফ্যাশন হাউসে মিলবে গামছার গৃহসজ্জা সামগ্রী ও অন্যান্য অনুষঙ্গ। পটের বিবি, প্রিয়তমেষু, বিজেন্সসহ বেশ কিছু অনলাইন শপে পাবেন গামছা শাড়ি। দোকানভেদে গামছা সামগ্রীর দামের তারতম্য হতে পারে।

আরকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • লাইফস্টাইল এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh