• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মিডিয়া যখন নির্বাচন নিয়ন্তা

শামীমা নাসরিন

  ০৪ নভেম্বর ২০১৬, ১২:০৬

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম। প্রধান দুই রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থীদের সরাসরি সমর্থন দেয় তারা। এবারের নির্বাচনে গুটিকয়েক ছাড়া মূলধারার প্রায় সব গণমাধ্যম সমর্থন দিচ্ছে হিলারি ক্লিনটনকে। অন্যদিকে খুব কম সংবাদমাধ্যমেরই সমর্থন পাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সাধারণতঃ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ছ’টি করপোরেশন নিয়ন্ত্রণ করে দেশটির ১০ হাজারের বেশি গণমাধ্যম অর্থাৎ ৯০ ভাগ। এর মধ্যে আছে টেলিভিশন চ্যানেল, সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন, রেডিও স্টেশন ও অনলাইন সংস্করণ। দেশটির মিডিয়া নিয়ন্ত্রণে নেই কোন সেন্সরশিপ। তাই অনেকাংশেই একচেটিয়া হয় মিডিয়া প্রচারণা।

দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের প্রার্থীকে সমর্থন দিতে কোন রাখ-ঢাক করে না, গণমাধ্যমগুলো। নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থীকে জেতাতে বড় ভূমিকা রাখে এসব গণমাধ্যম। এবারের নির্বাচনে ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে সমর্থন দিয়েছে বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ সংবাদপত্র।

একশো পঁয়ষট্টি বছরের ইতিহাস ভেঙে হিলারির মাধ্যমে এবারই প্রথম কোন প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়েছে প্রভাবশালী পত্রিকা ‘নিউইয়র্ক টাইমস’। সরাসরি সমর্থন দিচ্ছে ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’ও। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি ও কর ফাঁকির বিষয়গুলো প্রথম তুলে আনে এ দু’পত্রিকাই।

রিপাবলিকান সমর্থক হিসেবে পরিচিত অনেক সংবাদমাধ্যমও দাঁড়িয়েছে হিলারির পাশে। ঐতিহ্য ভেঙে ট্রাম্পকে প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানিয়েছে রক্ষণশীল পত্রিকা ‘ইউএসএ টু ডে’। ঊনিশশো চৌষট্টি সাল থেকে রিপাবলিকান প্রার্থীকে সমর্থন দেয়া রক্ষণশীল পত্রিকা ‘ডালাস মর্নিং নিউজ’ও হাঁটছে এবার উল্টো পথে। একই অবস্থা ‘অ্যারিজোনা রিপাবলিক’র। রক্ষণশীল ঘরানার পত্রিকাটি রিপাবলিকানদের সমর্থন দিলেও, এবার হিলারির পাশে।

রিপাবলিকান ঘরানার অনেক সংবাদপত্রেরও সমর্থন মেলেনি, ডোনাল্ড ট্রাম্পের। তবে প্রতিকূলতার মধ্যেও তার পাশে আছে রিপাবলিকানদের সবচে’ বড় সমর্থক, ‘ফক্স নিউজ’। আছে, ‘লাস ভেগাস রিভিউ জার্নাল’ আর ‘ব্রেইটবার্ট নিউজ’ নামে অনলাইন পত্রিকা। আল্ট্রা কনজারভেটিভ কিছু রেডিও স্টেশনও আছে ট্রাম্পের পক্ষে।

এ অবস্থায়, গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছে, রিপাবলিকান শিবির। তবে একে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়ে বিশ্লেষকদের দাবি নৈতিক অবস্থানে থেকেই দায়িত্ব পালন করছে গণমাধ্যমগুলো।

এবারের নির্বাচনে শক্তিশালী গণমাধ্যম হিসেবে বারবার আসছে ফেইসবুকের নাম। ভোটারদের প্রভাবিত করতে যেকোন গণমাধ্যমের চেয়ে সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে মনে করছেন রাজনৈতিক বোদ্ধারা।

আরকে/ এসজেড

মন্তব্য করুন

daraz
  • যুক্তরাষ্ট্র এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh