যেভাবে খুন হন উত্তর কোরিয়ার নেতার সৎ ভাই
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের বিমানবন্দরে খুন হন উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনের সৎভাই কিম জং ন্যাম(৪৫)। ময়নাতদন্তের আগে থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল, রাসায়নিক বিষ প্রয়োগে মৃত্যু হয়েছে ন্যামের।
বুধবার ময়নাতদন্তের পরে নিশ্চিত হওয়া যায়, বিষ প্রয়োগেই মারা গেছেন ন্যাম। আর এ বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে রুমাল অথবা ফাউনটেন পেনের সাহায্যে। কাজটি করেছেন দু’জন নারী এজেন্ট।
এদিকে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পরেছে ‘লাফ এন্ড লাউড’ লেখা মিনিস্কার্ট পরা এক নারীর ছবি। আটক করা হয় ছোট চুলের সে নারীকে।
গ্রেপ্তার হওয়া ২৮ বছরের ওই নারীর নাম ডোয়ান থি হুওং। তিনি একজন প্রশিক্ষিত গুপ্তঘাতক। তার দেয়া তথ্য অনুসারে অনুমান করা হয় কিভাবে খুন করা হয়েছে কিম জং ন্যামকে।
ঘটনাটি অনেকটা এরকম- সোমবার সকালে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দর লাউঞ্জে অপেক্ষা করছিলেন কিম জং ন্যাম। তখন কিম জং ন্যামের সঙ্গে ছিলো ‘কিম চোল’ নামের তার একটি ভুয়া পাসপোর্ট।
পাসপোর্ট কন্ট্রোলে পৌঁছার আগেই তাকে দু’জন নারী আক্রমণ করেন। একজন তার মুখ রুমাল দিয়ে চেপে ধরেন। অন্যজন ন্যামের শরীরে ফাউনটেন পেন অথবা কোন সুইয়ের সাহায্যে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ প্রবেশ করান।
এর ফলে তাৎক্ষণিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন ন্যাম এবং সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে থাকেন। তখন তাকে বিমানবন্দর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপরে তাকে পুত্রজায়া হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কিম জং ন্যাম পরিবারতন্ত্রের উত্তরাধিকার প্রথার বিরোধী ছিলেন। তিনি প্রকাশ্যেই নিজেদের পারিবারিক শাসন এবং নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে কথা বলতেন। এসব কারণে উত্তর কোরিয়াই ন্যামকে হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এফএস/এসএস
মন্তব্য করুন